আ. লীগের শান্তি সমাবেশে মারামারি, যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে জখম

প্রকাশিত: ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে নিজ দলের দুই পক্ষের কর্মীদের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সজল (২৬) নামে এক যুবলীগকর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।

রবিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে পৌরশহরের সুপারমার্কেট এলাকার এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় সজলকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিকেলে শহরের মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স সংলগ্ন সড়কে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সাতটি সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ চলছিল।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস। বক্তব্য চলাকালে হঠাৎ সমাবেশস্থলের পেছনে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন পৌরশহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন ও পঞ্চসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হাসানের সমর্থকরা। 

এ সময় জাহিদ সমর্থক সজলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। আহত হন রুবেল নামের আরেক কর্মী।

পরে উপস্থিত নেতাকর্মীরা আহত সজলকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। 

এদিকে বেশকিছুক্ষণ ধরে সমাবেশস্থলে কর্মীদের মধ্যে মারামারি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা চলতে থাকলে নেতাকর্মীরা পরে তাদের অন্যত্র সরিয়ে দেন।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রুহুল আমিন বলেন, দুজন আহত রোগী হাসপাতালে এসেছিলেন। এরমধ্যে সজলের অবস্থা গুরুতর ছিল।

তার মাথায় পিঠে এবং পায়ে ধারাল অস্ত্রের আঘাত ছিল। এখান থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যালে রেফার করা হয়েছে। অপর আহত রুবেলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

মুন্সীগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেন বলেন, হট্টগোল মারামারি হয়েছে, তবে কারা কি জন্য করেছে তা নিশ্চিত না। আমি সমাবেশস্থলের সামনে ছিলাম মারামারি করা কাউকে দেখিনি।

একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে জেনেছি। 

এ বিষয়ে পঞ্চসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হাসানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ তিনি করেননি।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, সমাবেশস্থলে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।