‘একসময়ের আশ্রিতরা এখন ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস করছে’ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২৩ দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে ইসরায়েলি বোমা হামলার পর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছেন অন্যরা। ছবি : এএফপি নিজস্ব প্রতিবেদক ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা জানিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতিসহ পাঁচটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গত শনিবার সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনের ইসরায়েলি আগ্রাসন শীর্ষক অষ্টম আরব ও ইসলামী বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গাজার পরিস্থিতি কেবল জাতিগত নির্মূলের উৎকৃষ্ট উদাহরণ নয়, বরং তা রাষ্ট্রীয় শক্তির মাধ্যমে সংঘটিত গণহত্যা। এতে সহায়তা করেছেন মুক্ত বিশ্বের নেতারা এবং মানবাধিকার, মানবিক আইন ও সব নৈতিক মূল্যবোধের প্রবক্তারা। তা মোটেও কোনো যুদ্ধ নয়। বাস্তবে তা একটি বর্বর ও সম্মিলিত শাস্তি এবং অবরুদ্ধ নিরপরাধ পুরুষ ও নারীদের, বিশেষ করে শিশুদের হত্যা করা, যারা যোদ্ধা হতে পারে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘যখন সারা বিশ্বের সব শ্রেণি, বর্ণ, জাতি, গোষ্ঠী ও বিশ্বাসের মানুষ- মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদিসহ অন্যরা এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করছে, তখনো জায়নবাদীদের একটি গোষ্ঠী নৃশংসভাবে হত্যা অব্যাহত রেখেছে। হাস্যকর বিষয় হলো, একসময় যে নির্যাতিত ইহুদিদের ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় দিয়েছিল তারাই এখন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, পরিবার ও সব আশা ধ্বংস করছে।’ যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি পাঁচটি প্রস্তাবের কথা জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলকে নারী ও শিশু হত্যা এবং দখলদারি বন্ধ করতে হবে। গাজাবাসীর জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দ্রুত ও নিরাপদ সরবরাহে মানবিক করিডর খুলতে হবে। গাজার চলমান সংঘাত চূড়ান্তভাবে নির্মূল করতে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘ, আরব শান্তি উদ্যোগ ও কোয়ার্টেট রোডম্যাপ পুনর্বিবেচনা করে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তে একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য একটি সুস্পষ্ট সময়রেখা পরিকল্পনা করতে হবে। সর্বোপরি মুসলিম জাতির ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ৭৫ বছর ধরে চলমান ইসরায়েলি দখলদারি ও হত্যাযজ্ঞ চিরতরে বন্ধ করতে হবে। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৭৪ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে চার হাজার ৫০৬টি শিশু ও তিন হাজার ২৭ জন নারী রয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর প্রতি সপ্তাহে ইউরোপের শহরগুলোতে গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধসহ যুদ্ধবিরতির দাবিতে মিছিল হচ্ছে। গত শনিবার লন্ডন শহরে ‘ন্যাশনাল মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’-এর ধারাবাহিক মিছিলে তিন লাখের বেশি লোক অংশ নেয়। সূত্র : ইউএনবি SHARES ইসলাম বিষয়: গাজায় হত্যাযজ্ঞফিলিস্তিন
ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা জানিয়ে গাজায় যুদ্ধবিরতিসহ পাঁচটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গত শনিবার সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনের ইসরায়েলি আগ্রাসন শীর্ষক অষ্টম আরব ও ইসলামী বিশেষ শীর্ষ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গাজার পরিস্থিতি কেবল জাতিগত নির্মূলের উৎকৃষ্ট উদাহরণ নয়, বরং তা রাষ্ট্রীয় শক্তির মাধ্যমে সংঘটিত গণহত্যা। এতে সহায়তা করেছেন মুক্ত বিশ্বের নেতারা এবং মানবাধিকার, মানবিক আইন ও সব নৈতিক মূল্যবোধের প্রবক্তারা।
তা মোটেও কোনো যুদ্ধ নয়। বাস্তবে তা একটি বর্বর ও সম্মিলিত শাস্তি এবং অবরুদ্ধ নিরপরাধ পুরুষ ও নারীদের, বিশেষ করে শিশুদের হত্যা করা, যারা যোদ্ধা হতে পারে না।’ তিনি আরো বলেন, ‘যখন সারা বিশ্বের সব শ্রেণি, বর্ণ, জাতি, গোষ্ঠী ও বিশ্বাসের মানুষ- মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদিসহ অন্যরা এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করছে, তখনো জায়নবাদীদের একটি গোষ্ঠী নৃশংসভাবে হত্যা অব্যাহত রেখেছে। হাস্যকর বিষয় হলো, একসময় যে নির্যাতিত ইহুদিদের ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় দিয়েছিল তারাই এখন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, পরিবার ও সব আশা ধ্বংস করছে।’
যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি পাঁচটি প্রস্তাবের কথা জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলকে নারী ও শিশু হত্যা এবং দখলদারি বন্ধ করতে হবে। গাজাবাসীর জন্য খাদ্য, পানি, ওষুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দ্রুত ও নিরাপদ সরবরাহে মানবিক করিডর খুলতে হবে। গাজার চলমান সংঘাত চূড়ান্তভাবে নির্মূল করতে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘ, আরব শান্তি উদ্যোগ ও কোয়ার্টেট রোডম্যাপ পুনর্বিবেচনা করে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তে একটি দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য একটি সুস্পষ্ট সময়রেখা পরিকল্পনা করতে হবে।
সর্বোপরি মুসলিম জাতির ঐক্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ৭৫ বছর ধরে চলমান ইসরায়েলি দখলদারি ও হত্যাযজ্ঞ চিরতরে বন্ধ করতে হবে। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ৭৪ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে চার হাজার ৫০৬টি শিশু ও তিন হাজার ২৭ জন নারী রয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর প্রতি সপ্তাহে ইউরোপের শহরগুলোতে গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধসহ যুদ্ধবিরতির দাবিতে মিছিল হচ্ছে। গত শনিবার লন্ডন শহরে ‘ন্যাশনাল মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’-এর ধারাবাহিক মিছিলে তিন লাখের বেশি লোক অংশ নেয়। সূত্র : ইউএনবি