মুসলিম বিশ্ব

গাজা ইস্যুতে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে আলোচনায় আরবদেশগুলো

প্রকাশিত: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০২৩
গাজার আল-জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলার পর বিধ্বস্ত ভবনে অক্ষতদের উদ্ধার অভিযান চলছে। ছবি : রয়টার্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞের ৪৫ দিন পার হতে চলেছে। এ সময়ে প্রায় ১২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে; যার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের বেশি শিশু ও নারী রয়েছে। জাতিসংঘের আহ্বানের পরও হামলা বন্ধ না করে ইসরায়েলকে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন বিশ্বনেতারা। তা ছাড়া সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত আরব ও মুসলিম দেশগুলোর জরুরি শীর্ষ সম্মেলন ফিলিস্তিনিদের জন্য বড় সুফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে।

এতে শুধু ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও ফিলিস্তিনিদের জন্য সহায়তা পাঠিয়ে ক্ষান্ত হয়েছেন আরব নেতারা। 

টাইমস অব ইসরায়েল সূত্রে জানা যায়, ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করা, যুদ্ধবিরতির জন্য ইউরোপের ওপর চাপ তৈরিসহ ছয়টি প্রস্তাব থাকলেও পাঁচটিতে ভেটো দেয় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা কিছু আরবদেশ। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে ছিল এই অঞ্চলের বিভিন্ন ঘাঁটি থেকে ইসরায়েলে মার্কিন সমরাস্ত্রের স্থানান্তর প্রতিরোধ করা, ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, তেল ব্যবহারে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা, আরব রাষ্ট্রগুলোর আকাশসীমায় ইসরায়েলের বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করা এবং যুদ্ধবিরতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও রাশিয়ায় একটি প্রতিনিধিদল পাঠানো।

মূলত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখা দেশগুলো এ ধরনের রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণে আগ্রহী নয়; বরং তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে চায় এবং গাজায় সহায়তা কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে চায়।

সেই দেশগুলো হলো সৌদি আরব, আমিরাত, জর্দান, মিসর, বাহরাইন, সুদান, মরক্কো, মৌরিতানিয়া ও জিবুতি। 

এদিকে গাজায় সহায়তার অংশ হিসেবে ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর পাশাপাশি যুদ্ধাহত এক হাজার শিশুকে পরিবারসহ চিকিৎসা দিতে আমিরাতে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর মধ্যে তাদের ১৫ ফিলিস্তিনি আবুধাবিতে পৌঁছেছেন। তা ছাড়া গাজার তুর্কি হাসপাতালে থাকা ক্যান্সার রোগীদের ইস্তাম্বুলে নিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক সরকার।

এদিকে ওআইসি ও আরব লীগের সম্মেলনে ব্যর্থ হয়ে আরব নেতারা এবার চীনের পথে পা বাড়াচ্ছেন। গাজায় সংঘাত বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করতে আজ বেইজিংয়ে সমবেত হয়েছেন মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। গত শনিবার বাহরাইনে অনুষ্ঠিত মানামা সংলাপ শেষে এ ঘোষণা দেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান। তিনি জানান, চীন সফরের পর একটি প্রতিনিধিদল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করবে।

সূত্র : আরব নিউজ ও টাইমস অব ইসরায়েল