করতেন মডেলিং, গাইতেন গান, ছিলেন উপস্থাপক―এখন তিনি ওটিটির নির্ভরশীল অভিনেতা ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:১৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২৩ অভিনেতা এফ এস নাঈম বিনোদন প্রতিবেদক একসময় গান করতেন তিনি। বন্ধুদের নিয়ে গড়েছিলেন ব্যান্ড। বাজাতেন নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র। সেই মানুষটা এখন দেশের ওভার দ্য টপ বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সবচেয়ে নির্ভরশীল অভিনেতা। তিনি এফ এস নাঈম। যার শুরুটা হয়েছিল গান আর মডেলিং দিয়ে। জীবনে প্রথম মডেলিং করেন ২০০০ সালের দিকে। ফ্যাশন ব্র্যান্ড কে ক্রাফটের হয়ে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। তখন অবশ্য ক্যামেরার অ-আ কিছুই জানতেন না। সেই ছবি অবশ্য পছন্দ করেছিলেন কে ক্রাফটের স্বত্বাধিকারী। ব্যবহার করেছিলেন সবগুলোই। তারপর টুকটাক মডেলিং আর গান চলছিল সমান তালে। বন্ধুদের নিয়ে গড়া ব্যান্ডদল নিয়ে মাঝেমধ্যেই চলে যেতেন নানা জায়গায়। যেটাকে ওই সময় বলা হতো ‘খেপ’। গান নিয়ে এক ঘটনার স্মৃতি মনে করলেন এই অভিনেতা, ‘১৯৯৯ বা ২০০০ সালের ঘটনা। ওই সময় মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় গান গাইতে যেতাম। একবার একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে গাইতে গেলাম বর্তমানের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে। সেখানে গিয়ে যে সম্মানীটা পেয়েছিলাম সেটা আমার জন্য ওই সময়ের অনেক বেশি সম্মানী। এত টাকা পেয়ে আমি সত্যি ভড়কে গিয়েছিলাম। কী করব এত টাকা (হাসি)।’ মডেলিং জীবনের শুরুতে নাঈম অবশ্য গানে বেশি দিন থাকেননি। যেহেতু মডেলিং করেন তাই সুযোগ আসে চ্যানেল আইয়ে স্টেশন ভিজে হিসেবে যোগ দেওয়ার। এ জন্য অবশ্য পরীক্ষায় বসতে হয়। পরীক্ষা দিয়ে পাস করে কাজ শুরু করেন ভিজে হিসেবে। ২০০২ সালে চ্যানেল আইয়ে শুরু করেন প্রথম অটোমোবাইল বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা। তারপর একে একে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন তিনি। সবগুলোই ছিল দর্শকের পছন্দের তালিকায়। ২০০৬ সালে প্রথম নাটক করেন এই অভিনেতা। এটা অবশ্য অনুরোধে ঢেঁকি গেলার মতো করে। সেই স্মৃতি মনে করে বলেন, “ওই সময় আমাকে আসলে জোর করে অভিনয় করানো হয়। সেই কাজটি করেন রুমানা রশিদ ঈশিতা আপু। তিনি বলেন, ওই চরিত্রের জন্য আমাকেই লাগবে। এবং এটাও বলে দেন, আমাকে অভিনয় করতে হবে না। উনি যা বলবেন তাই করতে হবে শুধু। সেটা শুনে প্রথমবার অভিনয় শুরু করলাম। এরপর খিজির হায়াত খানের ‘জাগো’ সিনেমায় অভিনয় করলাম। এইতো।” ওই সময়ই অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন অনেক। খোদ জাহিদ হাসানও তার অভিনীত ‘ওল্ড ভার্সেস নিউ’ নাটকটা দেখে মধ্যরাতে ফোনে প্রশংসা করেছেন। নিজের ব্যান্ডের সঙ্গে নাঈম নাঈম বলেন, ‘২০১০ থেকে নিয়মিত অভিনয় করি। অনেক মানুষের প্রশংসা পেয়েছি। ভালোবাসা পেয়েছি। কখনো টাকার পেছনে ছুটিনি। কাজ করে গেছি। এমনও হয়েছে, শুটিং সেটে পরিচালক হয়তো টাকা দিতে পারছেন না, তখন নিজের টাকা দিয়ে শুটিং চালিয়ে নিয়ে গেছি। আমি এমনই।’ ‘ভালো মানুষ’ হিসেবে তকমা আছে নাঈমের। এ কারণেই আজ তার জন্মদিনে ফেসবুক জুড়ে তার স্তুতি। জন্মদিনে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু নাঈমেরটা আলাদা। কেন? বললেন, ‘জন্মদিন আসলে আমি একেবারে বাচ্চা হয়ে যাই। সবার ভালোবাসা খুব উপভোগ করি। সারপ্রাইজ উপভোগ করি। সবার উইশ আমার জন্য পরম পাওয়া।’ সবার এমন ভালোবাসা পাওয়ার পরও মাঝে অভিনয় থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ছিলেন এই অভিনেতা। যদিও পরে ফিরেছেন প্রচণ্ড প্রতাপে। ওটিটির একজন নির্ভরশীল অভিনেতা হিসেবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘কারাগার’, ‘মিশন হান্টডাউন’, ‘ওভারট্রাম্প’, ‘গোলা’ ও ‘সুন্দরী’ নামের সিরিজে তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। কিন্তু বিরতি নেওয়ার কারণ কী? নাঈম বলেন, ‘আমার আসলে মনে হয়েছে নিজেকে সময় দেওয়া দরকার। এই ভিউ ভিউ নিয়ে যেটা চলছে সেটা হয়তো একসময় এত গুরুত্ব পাবে না। এবং আমি বুঝতে পারছিলাম নতুন কিছু আসছে পৃথিবীতে। সেটার সঙ্গে খাপ খাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। সেটা করার জন্যই বিরতি নিয়ছিলাম।’ সেই বিরতি ভেঙে নাঈম ফিরেছেন। সেই ফেরার সূত্রে হাতে আছে বেশ কিছু কাজ। সেগুলো খুব দ্রুতই আসবে দর্শকের সামনে। পরিশ্রম করলে আর লেগে থাকলে সফলতা আসে, সেটার জ্বলন্ত উদাহরণ এফ এস নাঈম। SHARES গণমাধ্যম বিষয়: এফ এস নাঈম
একসময় গান করতেন তিনি। বন্ধুদের নিয়ে গড়েছিলেন ব্যান্ড। বাজাতেন নানা ধরনের বাদ্যযন্ত্র। সেই মানুষটা এখন দেশের ওভার দ্য টপ বা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সবচেয়ে নির্ভরশীল অভিনেতা।
তিনি এফ এস নাঈম। যার শুরুটা হয়েছিল গান আর মডেলিং দিয়ে। জীবনে প্রথম মডেলিং করেন ২০০০ সালের দিকে। ফ্যাশন ব্র্যান্ড কে ক্রাফটের হয়ে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি।
তখন অবশ্য ক্যামেরার অ-আ কিছুই জানতেন না। সেই ছবি অবশ্য পছন্দ করেছিলেন কে ক্রাফটের স্বত্বাধিকারী। ব্যবহার করেছিলেন সবগুলোই। তারপর টুকটাক মডেলিং আর গান চলছিল সমান তালে।
বন্ধুদের নিয়ে গড়া ব্যান্ডদল নিয়ে মাঝেমধ্যেই চলে যেতেন নানা জায়গায়। যেটাকে ওই সময় বলা হতো ‘খেপ’। গান নিয়ে এক ঘটনার স্মৃতি মনে করলেন এই অভিনেতা, ‘১৯৯৯ বা ২০০০ সালের ঘটনা। ওই সময় মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় গান গাইতে যেতাম। একবার একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে গাইতে গেলাম বর্তমানের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে।
সেখানে গিয়ে যে সম্মানীটা পেয়েছিলাম সেটা আমার জন্য ওই সময়ের অনেক বেশি সম্মানী। এত টাকা পেয়ে আমি সত্যি ভড়কে গিয়েছিলাম। কী করব এত টাকা (হাসি)।’ মডেলিং জীবনের শুরুতে নাঈম অবশ্য গানে বেশি দিন থাকেননি। যেহেতু মডেলিং করেন তাই সুযোগ আসে চ্যানেল আইয়ে স্টেশন ভিজে হিসেবে যোগ দেওয়ার। এ জন্য অবশ্য পরীক্ষায় বসতে হয়। পরীক্ষা দিয়ে পাস করে কাজ শুরু করেন ভিজে হিসেবে। ২০০২ সালে চ্যানেল আইয়ে শুরু করেন প্রথম অটোমোবাইল বিষয়ক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা। তারপর একে একে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন তিনি। সবগুলোই ছিল দর্শকের পছন্দের তালিকায়। ২০০৬ সালে প্রথম নাটক করেন এই অভিনেতা। এটা অবশ্য অনুরোধে ঢেঁকি গেলার মতো করে। সেই স্মৃতি মনে করে বলেন, “ওই সময় আমাকে আসলে জোর করে অভিনয় করানো হয়। সেই কাজটি করেন রুমানা রশিদ ঈশিতা আপু। তিনি বলেন, ওই চরিত্রের জন্য আমাকেই লাগবে। এবং এটাও বলে দেন, আমাকে অভিনয় করতে হবে না। উনি যা বলবেন তাই করতে হবে শুধু। সেটা শুনে প্রথমবার অভিনয় শুরু করলাম। এরপর খিজির হায়াত খানের ‘জাগো’ সিনেমায় অভিনয় করলাম। এইতো।” ওই সময়ই অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছেন অনেক। খোদ জাহিদ হাসানও তার অভিনীত ‘ওল্ড ভার্সেস নিউ’ নাটকটা দেখে মধ্যরাতে ফোনে প্রশংসা করেছেন। নিজের ব্যান্ডের সঙ্গে নাঈম নাঈম বলেন, ‘২০১০ থেকে নিয়মিত অভিনয় করি। অনেক মানুষের প্রশংসা পেয়েছি। ভালোবাসা পেয়েছি। কখনো টাকার পেছনে ছুটিনি। কাজ করে গেছি। এমনও হয়েছে, শুটিং সেটে পরিচালক হয়তো টাকা দিতে পারছেন না, তখন নিজের টাকা দিয়ে শুটিং চালিয়ে নিয়ে গেছি। আমি এমনই।’ ‘ভালো মানুষ’ হিসেবে তকমা আছে নাঈমের। এ কারণেই আজ তার জন্মদিনে ফেসবুক জুড়ে তার স্তুতি। জন্মদিনে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু নাঈমেরটা আলাদা। কেন? বললেন, ‘জন্মদিন আসলে আমি একেবারে বাচ্চা হয়ে যাই। সবার ভালোবাসা খুব উপভোগ করি। সারপ্রাইজ উপভোগ করি। সবার উইশ আমার জন্য পরম পাওয়া।’ সবার এমন ভালোবাসা পাওয়ার পরও মাঝে অভিনয় থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ছিলেন এই অভিনেতা। যদিও পরে ফিরেছেন প্রচণ্ড প্রতাপে। ওটিটির একজন নির্ভরশীল অভিনেতা হিসেবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘কারাগার’, ‘মিশন হান্টডাউন’, ‘ওভারট্রাম্প’, ‘গোলা’ ও ‘সুন্দরী’ নামের সিরিজে তার অভিনয় দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। কিন্তু বিরতি নেওয়ার কারণ কী? নাঈম বলেন, ‘আমার আসলে মনে হয়েছে নিজেকে সময় দেওয়া দরকার। এই ভিউ ভিউ নিয়ে যেটা চলছে সেটা হয়তো একসময় এত গুরুত্ব পাবে না। এবং আমি বুঝতে পারছিলাম নতুন কিছু আসছে পৃথিবীতে। সেটার সঙ্গে খাপ খাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। সেটা করার জন্যই বিরতি নিয়ছিলাম।’ সেই বিরতি ভেঙে নাঈম ফিরেছেন। সেই ফেরার সূত্রে হাতে আছে বেশ কিছু কাজ। সেগুলো খুব দ্রুতই আসবে দর্শকের সামনে। পরিশ্রম করলে আর লেগে থাকলে সফলতা আসে, সেটার জ্বলন্ত উদাহরণ এফ এস নাঈম।