ফেক আইডি ব্যবহার সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা কী ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২৩ প্রতীকী ছবি নিজস্ব প্রতিবেদক প্রযুক্তির কল্যাণে অথবা মানুষের প্রয়োজনে দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সামনে এমন অনেক বিষয় আসে, যা ইসলামের সোনালি যুগে অর্থাৎ রাসুল (সা.)-এর সময়ে ছিল না। নবসৃষ্ট কোনো বিষয়ের ওপর রায় প্রদান করাকে ইসলামী শরিয়ায় ‘ফতোয়ায়ে ওয়াকিয়াত’ নামে অভিহিত করা হয়। তেমনি একটি ফতোয়া হলো ফেসবুক-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেক আইডি ব্যবহারের শরয়ি দৃষ্টিভঙ্গি। ইসলামে যেকোনো ধরনের বেআইনি কাজ নিষিদ্ধ। ইসলাম ধর্মের নির্দেশনা বিরোধী নয়, এমন যেকোনো রাষ্ট্রীয় ও আইনি বিধি-নিষেধ সর্বসাধারণের জন্য মেনে চলা আবশ্যক। ফেসবুকে ফেক আইডি পরিচালনার মাধ্যমে সাধারণত বেশ কিছু অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে, যেমন : ১. মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করা হয়। তৈরি করা হয় সমাজে অস্থিতিশীলতা। সৃষ্টি করা হয় দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ নানা ধরনের অনৈতিক, অসামাজিক ও অনৈসলামিক অপরাধ। ২. রাষ্ট্র ও দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়। ৩. ব্যক্তিগত আক্রোশ, মন্তব্যসহ উসকানিমূলক কাজ করা হয়। ৪. সমাজ ও রাষ্ট্রে নানা ধরনের গুজব, মিথ্যা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা হয়। ৫. ধর্মীয় বিদ্ধেষ, উসকানিসহ ইসলাম ধর্মের অবমাননাকর কনটেন্ট, পোস্ট, মন্তব্য ইত্যাদি করা হয়। উপরোক্ত কারণে ফেক আইডি ব্যবহার করা জায়েজ নেই। (শুআবুল ইমান, হাদিস: ৬৯৭৮) তা ছাড়া ফেক আইডি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে যেমন বেআইনি, তেমনি দেশীয় আইনেও এর ব্যবহার বেআইনি। এ ধরনের আইডি ব্যবহার মানে প্রতারণার শামিল। প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি ইসলামে জায়েজ নেই। রাসুল (সা.) বলেন, যে প্রতারণা করে, সে আমার দলভুক্ত নয়। (মুসলিম : ১০২) রাসুল (সা.) আরো বলেন, নিশ্চয়ই প্রতারণাকারীর জন্য আল্লাহ তাআলা কিয়ামত দিবসে একটি পতাকা উড্ডীন করবেন। তখন বলা হবে যে এটি অমুকের ধোঁকাবাজির পতাকা। (বুখারি, হাদিস ৬৯৬৬) সুতরাং ফেক আইডি যেহেতু বেআইনিভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে খোলার মাধ্যমে নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়, তাই এটির ব্যবহার ইসলামে জায়েজ নেই। SHARES ইসলাম বিষয়: ফেক আইডি
প্রযুক্তির কল্যাণে অথবা মানুষের প্রয়োজনে দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সামনে এমন অনেক বিষয় আসে, যা ইসলামের সোনালি যুগে অর্থাৎ রাসুল (সা.)-এর সময়ে ছিল না। নবসৃষ্ট কোনো বিষয়ের ওপর রায় প্রদান করাকে ইসলামী শরিয়ায় ‘ফতোয়ায়ে ওয়াকিয়াত’ নামে অভিহিত করা হয়। তেমনি একটি ফতোয়া হলো ফেসবুক-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেক আইডি ব্যবহারের শরয়ি দৃষ্টিভঙ্গি। ইসলামে যেকোনো ধরনের বেআইনি কাজ নিষিদ্ধ।
ইসলাম ধর্মের নির্দেশনা বিরোধী নয়, এমন যেকোনো রাষ্ট্রীয় ও আইনি বিধি-নিষেধ সর্বসাধারণের জন্য মেনে চলা আবশ্যক। ফেসবুকে ফেক আইডি পরিচালনার মাধ্যমে সাধারণত বেশ কিছু অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে, যেমন : ১. মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করা হয়। তৈরি করা হয় সমাজে অস্থিতিশীলতা। সৃষ্টি করা হয় দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ নানা ধরনের অনৈতিক, অসামাজিক ও অনৈসলামিক অপরাধ।
৩. ব্যক্তিগত আক্রোশ, মন্তব্যসহ উসকানিমূলক কাজ করা হয়। ৪. সমাজ ও রাষ্ট্রে নানা ধরনের গুজব, মিথ্যা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা হয়। ৫. ধর্মীয় বিদ্ধেষ, উসকানিসহ ইসলাম ধর্মের অবমাননাকর কনটেন্ট, পোস্ট, মন্তব্য ইত্যাদি করা হয়।
উপরোক্ত কারণে ফেক আইডি ব্যবহার করা জায়েজ নেই। (শুআবুল ইমান, হাদিস: ৬৯৭৮) তা ছাড়া ফেক আইডি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে যেমন বেআইনি, তেমনি দেশীয় আইনেও এর ব্যবহার বেআইনি। এ ধরনের আইডি ব্যবহার মানে প্রতারণার শামিল। প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি ইসলামে জায়েজ নেই। রাসুল (সা.) বলেন, যে প্রতারণা করে, সে আমার দলভুক্ত নয়।
(মুসলিম : ১০২) রাসুল (সা.) আরো বলেন, নিশ্চয়ই প্রতারণাকারীর জন্য আল্লাহ তাআলা কিয়ামত দিবসে একটি পতাকা উড্ডীন করবেন। তখন বলা হবে যে এটি অমুকের ধোঁকাবাজির পতাকা। (বুখারি, হাদিস ৬৯৬৬) সুতরাং ফেক আইডি যেহেতু বেআইনিভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে খোলার মাধ্যমে নানা ধরনের অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়, তাই এটির ব্যবহার ইসলামে জায়েজ নেই।