অনুপম রায়ের জন্য ‘সহানুভূতি’ ভুলে পাঠানো হচ্ছে অনুপম হাজরাকে!

প্রকাশিত: ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২৩
অনুপম হাজরা (বামে) ও অনুপম রায় (ডানে)

বিনোদন প্রতিবেদক

এই মুহূর্তে দুই বাংলায় সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে টলিউড অভিনেতা ও পরিচালক পরমব্রত চ্যাটার্জি ও পিয়ার বিয়ে। জনপ্রিয় গায়ক অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী, সংগীতশিল্পী তথা সমাজকর্মী ও মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী পিয়া চক্রবর্তী বিয়ে করেছেন পরমব্রতকে। যা নিয়ে আলোচনায় মুখর অনলাইন। দুজনকে ঘিরে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপও কম হচ্ছে না।

 

তেমনি অনুপম রায়ের প্রতিও সহমর্মিতা প্রকাশ করছেন অনেকে। যদিও এসব আলোচনা-সহমর্মিতাকে মোটেও আমলে নিচ্ছেন না অনুপম রায়। তবে কোনো একজনকে এসব আমলে নিতেই হচ্ছে। কারণ তার নামও যে অনুমপ! আর নামের ভুলেই তিনি এখন এই আলোচনার অংশ! 

জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সোমবার বিয়ে হয়েছে সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তীর।

একান্ত ঘরোয়াভাবে এই বিয়ে সেরেছেন তাঁরা। পিয়া অনুপমের প্রাক্তন স্ত্রী। অনুপমের সঙ্গে ডিভোর্সের পর পরমব্রতকে বিয়ে করেছেন তিনি। এর পরই নেটিজেনদের একটি বড় অংশ সহানুভূতি দেখিয়েছেন অনুপম রায়কে।
অনেকেই অনুপমের পাশে দাঁড়াতে বার্তাও পাঠিয়েছেন। তা করতে গিয়ে ভুলও করেছেন অনেকেই। এর জেরে বিভ্রাট বেড়েছে তৃণমূলের প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও বর্তমানে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার। গায়কের বদলে অনেকেই এই রাজনীতিককে সহানুভূতি বার্তা পাঠিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। গত ২ দিন ধরে ক্রমাগত ‘সহানুভূতি বার্তা’ পেয়ে বিরক্ত অনুপম হাজরা নিজেই ফেসবুক পোস্টে এবং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন একথা।
 

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ডেকে অনুপম হাজরা বলেছেন, “অনুপম রায়ের যে সহানুভূতিটা পাওনা সেটা আমাকে, অনুপম হাজরাকে পাঠানো হচ্ছে। এখনও মেসেজ পাচ্ছি। ১০-১৫ মিনিট আগেই একটা মেসেজ ঢুকেছে। তাই আমার মনে হল এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেদন জানানো উচিত। আপনারা রায়কে পাঠাতে গিয়ে হাজরাকে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সহানুভূতি আপনারা পাঠাতেই পারেন। কিন্তু ঠিক মানুষকে পাঠান। আমার এখনও বিয়েই হল না। বিয়ে না হওয়া মানুষকে এ রকম মেসেজ পাঠাচ্ছেন। এগুলি বিব্রত করে। আমরা বিভিন্ন কাজের মধ্যে থাকি। সেখানে বার বার আসছে ‘ভেঙে পড়ো না’ মেসেজ। ভেঙে পড়ার তো প্রশ্নই আসছে না। আমার বিয়েই হয়নি এখনো!”

অনুপমের অভিযোগের পর সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কবে বিয়ে করেছেন?’ সেই প্রশ্নের জবাবে এই বিজেপি নেতা বলেছেন, ‘বিয়ে নিয়ে চিন্তাভাবনা নেই। এখন ২০২৪ নিয়ে চিন্তা করছি।’ অর্থাৎ বিয়ে নয়, রাজনীতিকের লক্ষ্য এখন লোকসভা ভোট।