অদৃশ্য শক্তির দাপটে ধরাছোঁয়ার বাইরে মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা ডন জাহাঙ্গীর আলম বাদশা। ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪ মো: জিল্লুর খান। বিশেষ প্রতিনিধি। (পর্ব-০১) বর্তমানে যুবসমাজ ধ্বংসের সবচেয়ে বড় কারণ মরণ নেশা ইয়াবা। মায়ানমার হতে টেকনাফ তারপর কক্সবাজার হয়ে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে এই ইয়াবা। ইয়াবার এই সিন্ডিকেটের খোঁজে কক্সবাজারে তথ্য সংগ্রহ করার সময় সামনে আসে মাদকসম্রাট ইয়াবা ডন জাহাঙ্গীর আলম বাদশার নাম। অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৮৯ ইংরেজি সালের ৩রা এপ্রিল দিনমজুর আব্দুল খালেকের ঘরে জন্ম নেন তিনি। তার বর্তমান আবাসস্থল কক্সবাজার সদর থানা অন্তরাধীন খরুলিয়া ইউনিয়নে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে স্থানীয় এক মাদক ব্যবসায়ীর মেয়েকে বিয়ে করে পদার্পণ করেন ইয়াবা সাম্রাজ্যে। বিয়ের পর দিনমজুরের ছেলে রাজমিস্ত্রি জাহাঙ্গীর আলম বাদশা একই গ্রামের ছেলে ইউনুস, রনি প্রকাশ ইয়াহিয়া, রহমাতুল্লাহ এর সহযোগিতায় দুই কানি জমির উপর গড়ে তোলেন “অনিশা পোল্ট্রি ফার্ম ” নামের একটি বিশাল আকারের মুরগির ফার্ম। ফার্মের ভেতর চলতে থাকে ইয়াবার ফিটিং এবং প্যাকেটিং আর ছড়িয়ে দেওয়া হয় সারাদেশে। অল্প কয়েক বছরের মধ্যে বাদশা বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক বনে যান। ক্রয় করেন প্রায় ১ কোটি টাকা মূল্যের তিন গন্ডা জমি। যা কিনা বিলাসবহুল এলাকা কলাতলী এলাকার ঝিলন্জা ১ নাম্বার ওয়ার্ডের চৌদ্দগ্রামে।খরুলিয়া রাস্তার মাথায় তিন গন্ডা জমির উপর ছয় তালা একটি বাড়িও আছে তার। কক্সবাজারে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের একটি পাঁচতলা বাড়ির কাজও নির্মাণাধীন রয়েছে। তাছাড়াও টেকনাফ সেন্টমার্টিনে তার নামে এবং বেনামে অসংখ্য সম্পত্তি রয়েছে বলে জানা যায়। এমনকি লোক দেখানোর জন্য বড়সড় গরুর ফার্ম মুরগির ফার্ম ও তার রয়েছে। আর এই ফার্মের ব্যবসার আড়ালেই চলে তার ইয়াবার সিন্ডিকেট। শুধু যে মাদক ব্যবসা তা নয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৬ই জুন তার এলাকার দিলদার বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর মামলায় আয়নাবাজির আশ্রয় নিয়ে তার স্থানে অন্য আরেকজনকে আসামি বানিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন জাহাঙ্গীর আলম বাদশা। আর তার এই আয়নাবাজিতে তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট নজরুল এবং মুন্সী রানা। যার মামলা নাম্বার ৩৯-৩৯৪। কক্সবাজার থানা, কক্সবাজার। এ মামলা ছাড়াও মাদকসম্রাট ইয়াবা ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাদশা এর নামের টেকনাফ, কক্সবাজার ও দেশের বেশ কয়েকটি থানায় মাদক মামলা রয়েছে। আরো জানা যায়, মো: জাহাঙ্গীর আলম বাদশার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের একটি আবেদনপত্র দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং মাননীয় পুলিশ পরিদর্শক বরাবর দাখিলকৃত রয়েছে।(চলবে) SHARES অপরাধ/দূর্নীতি বিষয়: