মিরপুরে নূর মোহাম্মদের প্রতারণা শিকার ব্যবসায়ী গাজী বাদশা

প্রকাশিত: ১২:১১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি :

রাজধানীর মিরপুরে কোম্পানির পরিচালক বানানোর লোভ দেখিয়ে নিরক্ষর গাজী বাদশা নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা প্রতারণা মাধ্যমে আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে জানা যায়, মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনের বাসিন্দা নূর মোহাম্মদ , নূর কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে গাজী বাদশাহকে ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বানানোর কথা বলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে অফিসের কাজের অজুহাত দেখিয়ে টাকাগুলো আত্মসাৎ করে। টুসি বিডি ডট কম, টুসি এন্টারপ্রাইজ ও নূর কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর পরিচালক করার কথা বলে গাজী বাদশা কে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নূর মোহাম্মদ সুকৌশলে হাতিয়ে নেয় কষ্টে অর্জন করা ক্ষুদে ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া টাকা। অভিযোগকারী বাদশা জানান , লেখাপড়া না জানায় তিনি তাহার নাম কোনমতে লিখতে পারে । সেই সুযোগে নূর মোহাম্মদ গাজী বাদশার টাকা দিয়ে উক্ত অফিস নির্মাণ করে। যেহেতু সহজ সরল খেটে খাওয়া ক্ষুদে ব্যবসায়ী বাদশা কোম্পানির পরিচালক হবার আশায় অফিসের সকল প্রকার ফার্নিচার এবং কম্পিউটার ইত্যাদি প্রায় ৫ লাখ টাকার আসবাবপত্র ক্রয় করেন। পরিচালক হবার আশায় বাদশা, নূর মোহাম্মদ এর কথামতো উক্ত অফিসের স্টাফদের কয়েক মাসের বেতন দিয়েছে বলে জানা যায়। প্রতিষ্ঠানটির কাগজপত্র জমা করে রিসিভ কপি আনে কিন্তু কোন কাগজপত্রে বাদশার নাম নেই । নাম না থাকায় বাদশা তাৎক্ষণিক নূর মোহাম্মদ কে প্রতিবাদ স্বরূপ বলে আমার টাকার অফিস নিয়ে আর সব আপনার নামে করে নিয়েছেন কেন ! জবাবে নূর মোহাম্মদ বলে তুমি তো লেখা পড়া জানো না তোমার নামে তাই কোন কাগজপত্র হয়নি। অভিযোগ কারীর কথা আমি তো লেখাপড়া জানিনা জেনে সত্ত্বেও তুমি আমার টাকা নিয়ে আমাকে পরিচালক বানানোর কথা বলে কোম্পানি করেছ । আমাকে অর্ধেক ভাগ দিবে ব্যবসার এই প্রতিশ্রুতিতে তাই আমি তোমাকে টাকা দিয়েছি। এই নিয়ে সৃষ্টি হয় বাদশা ও নূর মোহাম্মদের সাথে বিতর্ক। বাদশা বলে তাহলে আমার ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে সেই টাকাগুলো ফেরত দেন। জবাবে নূর মোহাম্মদ বলে তোমাকে কোন টাকা ফেরত দেওয়া হবে না। এক পর্যায়ে ১০০ টাকার তিনটি স্ট্যাম্পেএলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাক্ষী রেখে বাদশাহ ও নূর মোহাম্মদের মধ্যে একটি ব্যবসায়িক সমঝোতা চুক্তিনামা স্বাক্ষর হয়। উক্ত চুক্তিনামায় উল্লিখিত তিনটি চেক নাম্বার সহ ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার চেক দিয়েছেন নূর মোহাম্মদ ব্যবসায়ী বাদশা কে।

চেক নাম্বার সি হাইফেন ৩০৯৫০১১ শহী নং হাইপেন ০১৭০২১০০২৭৫৬৯ ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড মিরপুর শাখা টুসি এন্টারপ্রাইজ টাকা ২ লাখ মাত্র। ১ নং এমসিএইচ হাইপেন ৩ ০ ৩ ০ ৭ ২ ৪ সহ হি নং হাইপেন 20 50 27 40 20 14 92 50 3 ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড পল্লবী শাখার টাকা ২ লাখের একটি চেক প্রধান করেন নুর মোহাম্মদ। চেক নং সিবি অবলিক সিডি হাইপেন 90 35 156 সহিনং হাইফেন ১৫০ ২৮৩ ৫২৪ ২০০১ সিটি ব্যাংক লিমিটেড পল্লবী মিরপুর ঢাকা ঢাকা 270000 মাত্র। বর্তমানে কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর এই প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নূর কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর বর্তমানে কর্মরত ২ জন কর্মকর্তা বৃন্দর সাক্ষাৎকারে জানা যায়, একজনকে উক্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বানানোর কথা বলে তার কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়েছে নুর মোহাম্মদ। তার অভিযোগে জানতে পারি ঘটনার সত্যতা যেখানে উঠে এসেছে নূর মোহাম্মদের প্রতারণার তথ্য।

এ ব্যাপারে গাজী বাদশা ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডাইরিরী করেন।উক্ত ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের অন্যায়কারীকে আইনের মাধ্যমে সঠিক বিচারের দাবিতে গণমাধ্যম ঘটনাটি সততা যাচাই করে সংবাদ আকারে প্রকাশ করেন।