ক্রনিক রোগ থাকলে ঈদে যা খাবেন

প্রকাশিত: ১১:৪১ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিনিধি

রোজা শেষে ঈদের বাহারি, মুখরোচক ও ক্যালরিবহুল গুরুপাক খাবার হঠাৎ করে আমাদের অন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং হজমে সমস্যা করে। ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী দিনগুলোতে সুস্থ থাকতে কিডনি রোগী, হার্টের রোগী ও ডায়াবেটিক রোগীরা যা মেনে চলবেন :

কিডনি রোগীরা যা খেতে পারবেন

* রেডমিটে (লাল মাংস) সোডিয়াম বেশি থাকে। তাই গরু-খাসির পরিবর্তে মুরগির মাংস দিয়ে ঈদের মূল খাবার তৈরি করতে হবে। যেমন—মুরগির রোস্টকোরমা ইত্যাদি।

* সাদা পোলাও বা ভাত খাওয়া যাবে।

* ঝিঙা, চিচিঙ্গা, পটোল, চালকুমড়া, ডাঁটা, লাউ, শসা দিয়ে মিক্সড সবজি রান্না করা যেতে পারে। যেসব সবজি সিদ্ধ করে পানি ফেলে রান্না করতে হবে (মিষ্টিকুমড়া, আলু, কাঁচা পেঁপে, কাঁচা কলা, করলা, গাজার, টমেটো, মুলা)।

* ফল (পেয়ারা, আপেল, নাশপাতি পাকা পেঁপে, আনারস, বেল) দিয়ে সালাদ বা ডেজার্ট হিসেবে খেতে পারবেন কিডনি রোগীরা।

ডায়াবেটিক রোগীরা যা খেতে পারবেন

* ডায়াবেটিক রোগীরা ঈদের সময় মাংসের তৈরি খাবার কোরমাকাবাব, রেজালা, রোস্ট, গ্রিল, শিক কাবাব, শামী কাবাব, টিকিয়া কাবাব খেতে পারবেন।

* ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের মাছের তৈরি খাবার (যেমন—কাটলেট, কোফতা, মাছ ভাজা)।

* ডিমের কোরমা ও ডাল ভুনা ইত্যাদি।

* ফল (কমলা, জাম্বুরা, তরমুজ, স্ট্রবেরি, আপেল, কলা, নাশপাতি, আলুবোখারা, কিশমিশ, জামজাতীয় ফল) সালাদ বা ডেজার্ট হিসেবে খাওয়া যাবে।

 

* দুধ বা দই, ছানা, পনির, সেমাই, লাচ্চা, লাচ্চি অল্প পরিমাণে খাওয়া যাবে।

হার্টের রোগীরা যা খেতে পারবেন

* সকালে হালকা মিষ্টি দিয়ে লাচ্চা, সেমাই, জর্দা খাওয়া যাবে।

* তেল ছাড়া পরোটা বা রুটি, মুরগির কোরমা, চপ, কাটলেট ইত্যাদিও খাওয়া যাবে।

* কম তেলে সাদা পোলাও এবং চামড়া ছাড়া মুরগি বা হাঁসের মাংস খাওয়া যাবে।

* বীট, মিষ্টি আলু, শাকপাতা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো—যেকোনো তিন-চার রকম সবজি দিয়ে মিশ্র সবজি তৈরি করা যাবে।

* যেকোনো তিন বা চার রকম ফল দিয়ে মিশ্র সালাদ বা ডেজার্ট খেলেও সমস্যা নেই।

পরামর্শ দিয়েছেন

ফারজানা রহমান

পুষ্টিবিদ ও ডায়েট কনসালট্যান্ট

কমফোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, উত্তরা, ঢাকা