বেসরকারি ৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধের নির্দেশ ইউজিসির।

প্রকাশিত: ২:২০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২০, ২০২৩

২০ জানুয়ারি ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি

সাময়িক সনদ নিয়ে পরিচালনার অনুমোদন পাওয়া দেশের ১৮ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বৃহস্পতিবার জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম শুরু করলেই শুধু শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি পাবে। পাশাপাশি দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসেও শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। শুধু স্থায়ী ক্যাম্পাসে পরিচালিত বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে।

এছাড়া বাকি ১২ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩ থেকে ৬ মাস সময় দেওয়া হয়েছে। মূলত স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে দৃশ্যমান উন্নতি করায় এসব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা পায়নি। কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাস চালু করতে না পারলে তারাও নিষেধাজ্ঞার মধ্যে চলে আসবে।

গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় চারটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এগুলো হচ্ছে-প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি। স্টেট ইউনিভার্সিটি এবং মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া অস্থায়ী ক্যাম্পাসে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে।

এতে বলা হয়, কমিশনের পত্রের প্রেক্ষিতে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর ও ক্যাম্পাস নির্মাণের বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি বিবেচনায় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিকে ৩১ মার্চের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম শুরু করতে হবে। ব্যর্থ হলে ১ এপ্রিল থেকে সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস বাদে সব অস্থায়ী ক্যাম্পাস বা ভবনগুলো অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দৃশ্যমান অগ্রগতি এবং লিখিত অঙ্গীকার করায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অলটারনেটিভ, গ্রিন ইউনিভার্সিটি, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি এবং দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটিকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সম্পূর্ণ কার্যক্রম স্থানান্তরে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।

ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ জুলাই থেকে সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস ব্যতীত সব অস্থায়ী ক্যাম্পাস বা ভবনগুলো অবৈধ মর্মে বিবেচিত হবে।

এ প্রসঙ্গে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এই প্রতিবেদক কে বলেন, ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১২ বছরের মধ্যে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে সব কার্যক্রম শুরুর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আইনের ১২(১) ধারা অনুযায়ী ইউজিসি এই ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানান তিনি।