নিজস্ব প্রতিবেদক: অতিমারি করোনা ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের উদ্যোগ প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক্সেল ভন ট্রটসেনবার্গ। বিশ্ব ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে আজ (রোববার) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে বাংলাদেশের অর্থনীতির ৫টি বড় খাত সংস্কারে উদ্যোগ নেবার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ব ব্যাংকের এমডি। আর্থিক খাতে কাঠামোগত সংস্কার, কর ব্যবস্থাপনার সংস্কার, রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ, অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন নিশ্চিত করাসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় সরকারকে মনোযোগ দেবার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। আমাদের পরবর্তী টার্গেট ২০৩১ সালে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ স্মার্ট, ডেভেলপড বাংলাদেশ হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

মুস্তফা কামাল বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের উন্নয়ন শুরু।১৯৭২ সালে জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন, বর্তমান সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। মন্ত্রী বলেন, আমাদের দারিদ্র্যের হার কমে হয়েছে ২০ শতাংশ। মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে। গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭৩ বছর। বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু। আর মর্ডান বাংলাদেশের স্থপতি শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক অনেক সহায়তা করছে উল্লেখ করে বিশ^ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী। এসময় বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশন) এক্সেল ভন ট্রটসেনবার্গ, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান, বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।