পরশুরাম সীমান্তে হুন্ডির মাধ্যমে বছরে ৩০০ কোটি টাকা ভারতে পাচার। ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১০:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩ শিবব্রত (বিশেষ প্রতিনিধি) প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে হুন্ডি ব্যবসায় মেতে উঠেছে পরশুরামের অধর্শতাধিক হুন্ডি ব্যবসায়ী। অন্যান্য ব্যবসার আড়ালে নির্বিঘ্নে তারা চালিয়ে যাচ্ছে এ ব্যবসা। ফলে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব । প্রভাব শালী একটি সিন্ডিকেট বছরের পর বছর পরশুরাম সীমান্ত দিয়ে হুন্ডি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ থানা পুলিশের খাতায় তাদের নাম নেই। হুন্ডি ব্যবসা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এর লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছেনা। প্রশাসনের দূর্বল অভিযানের কারনে এমনটি হচ্ছে বলে একাধিক বিশ্বস্ত সুত্রের অভিমত। সীমান্ত এলাকায় একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায় ,উপজেলার সত্য নগর, চন্দনা , রাজষপুর, মালিপাথর, মেলাঘর, বাউর পাথর, খিল পাড়া, বাশঁ পুদুয়া ও গুথুমা সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন যে পরিমান গরু অবৈধপথে ভারত থেকে সীমান্তের তারকাঁটা পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে তার ২৫ শতাংশ টাকা তার কাঁটা পেরিয়ে নগদ আর বাকী টাকা হুন্ডির মাধ্যমে পরিশোধ করা হচ্ছে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ী দেরকে । সীমান্তে প্রতিদিন কম পক্ষে ৩০০ গরু ভারত থেকে এদেশে আসছে। গড়ে প্রতিটি গরুর মূল্য ২০ হাজার টাকা করে হলে প্রতিদিন ৬০ লাখ বছরে ২১৯ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে যাচ্ছে। বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, উপজেলায় প্রায় অর্ধশত হুন্ডি ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে একটি শক্তি শালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। ওই সিন্ডিকেট শুধু গরু নয় বিভিন্ন চোরা কারবারীদের অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করে। পাচারের সমস্ত খরচ বাদে প্রতি লাখে ৬০০-৭০০টাকা কমিশন পায়। এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন মহল জরুরি ভিত্তিতে উপজেলার অবৈধ হুন্ডি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনেরে কাছে দাবী জানিয়েছেন। জানতে চাইলে ফেনী পুলিশ সুপার অফিস সুত্র জানায়, প্রকৃত হুন্ডি ব্যবসায়ী দের টাকা সহ যথাযথ প্রমান পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার আইনে মামলা করা হবে । SHARES অপরাধ/দূর্নীতি বিষয়: