কুমিল্লার তিতাস উপজেলার যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যা মামলায় প্রকৃত মাস্টার মাইন্ড আসবে কিনা এ নিয়ে ধোঁয়াশা ।

প্রকাশিত: ৬:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ২০, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি : কুমিল্লার তিতাস উপজেলার যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন হত্যা মামলায় প্রকৃত মাস্টার মাইন্ডের আসবে কিনা এ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি কুমিল্লার আওয়ামী দলীয় রাজনৈতিক বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী সমর্থকসহ আদালত পাড়া থেকে জনপদ পর্যন্ত নানা আলোচনার জন্ম দিয়ে চলেছে।

আলোচিত এ হত্যা মামলাটির অন্যতম মূল পরিকল্পনাকারীসহ সংশ্লিষ্ট আসামিদের বিচার ও  শাস্তি প্রক্রিয়ায় কোনো অতৎপরতা বাধা হয়ে দাঁড়ানোর আশঙ্কা কাটিয়ে উঠতে পারছেন না বাদীপক্ষসহ তাদের স্বজনরা।হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত হওয়ার পর মাস্টারমাইন্ড হিসেবে যখন তিতাসের আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল সিকদারের নামটি সামনে আসে। আর ঠিক তখন দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ভাই মো. মাসুদের নাম অন্তরালে থেকে যায়। আর তার পরপরই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা ৩টি বিদেশি পিস্তলসহ ৯ মে রাতে কুমিল্লার বুড়িচংয়ের নিমসার বাজার এলাকা থেকে মো. মাজহারুল ইসলাম সৈকত গ্রেপ্তার হন। মাজহারুল ইসলাম সৈকত দেবিদ্বারের বরকামতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তিনি দেবিদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যনের আবুল কালাম আজাদের আস্থভাজনদের অন্যতম একজন। ছাত্রলীগের এই পদটি সৈকত চেয়ারম্যান আজাদের সমর্থনেই পেয়েছে বলে কথিত আছে। এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া সৈকত চেয়ারম্যান আজাদের ভাই মাসুদের ঘনিষ্ঠ কর্মী বলেও জানা যায়।

চেয়ারম্যান আজাদ ও তার ভাই মাসুদ এবং সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা সৈকতসহ গ্রেপ্তারকৃত সোহেল সিকদারের ঘনিষ্ঠ কিছু ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশান আলী মাস্টারের ফাঁস হওয়া ফোনালাপে আজাদকে বলতে শোনা গেছে, আসামি সোহেল সিকদারকে সামনে এগিয়ে আনতে হবে। অর্থাৎ সোহেল সিকদারকে প্রাধাণ্য দেওয়ার জন্য রোশান আলী মাস্টারকে অনুরোধ করেন চেয়ারম্যান আজাদ। এছাড়া ওই ফোনালাপে তিতাস উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকারকে ক্ষতি করার কথাও বলেন, দেবীদের উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। এই ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার থানায় জিডি করেন। এদিকে, সৈকত গ্রেপ্তার হওয়ার পর চেয়ারম্যান আজাদের ভাই মাসুদ গা ঢাকা দেন। গোপনে মালদ্বীপ পালানোর সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গত ১১ মে  গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হন মাসুদ। পরদিন দুপুরে মাসুদকে আদালতে পাঠানো হয়। অবশ্য এ বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদকর্মীরা জানতে পারেনি বা জানতে দেওয়া হয়নি। শুরু হয় আদালতে বিচারিক কার্যক্রমের প্রথম ধাপ। রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত, আবার পরদিন একই  আদালত সেই রিমান্ড বাতিলের আদেশ দেন। একইভাবে রিভিশনের আদেশ দানের পর আদালত কর্তৃক আবার বাতিলের আদেশ প্রদানেরও দৃষ্টান্ত রয়েছে এ মামলায়।