ইব্রাহিমকে ৭৫ রানে থামিয়ে দারুণ ব্রেক থ্রু হাসানের

প্রকাশিত: ৮:৩৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩
ফাইল ছবি : মীর ফরিদ

বিশেষ  প্রতিনিধি:

ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। শেষ পর্যন্ত তাকে ৭৫ রানে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। আফগান ওপেনারের ৭৪ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার এবং ১টি ছক্কার মার। এর সাথেই অবসান হয় ৫৮ বলে ৫২ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আফগানদের সংগ্রহ ২৭.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩৬ রান।পাহাড়সম রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে আফগানিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ১ রানে শরীফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন রহমানুল্লাহ গুরবাজ (১)। এর পরই অপর ওপেনার ইব্রাহিম জারদান ও রহমত শাহ মিলে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন।

মরা উইকেটেও বাংলাদেশি বোলাররা দারুণ বোলিং করছিলেন। সেটা সামলে দুজনে গড়েন ৭৮ রানের জুটি। ১৮তম ওভারে রহমত শাহকে (৩৩) ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। এরপর ৫১ বলে ফিফটি তুলে নেন ইব্রাহিম।

২৩.৩ ওভারে আফগানদের স্কোর তিন অঙ্ক স্পর্শ করে।এর আগে আজ রবিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান তোলে বাংলাদেশ। নাঈম শেখ আর মেহেদী মিরাজ উপহার দেন ১০ ওভারে ৬০ রানের ওপেনিং জুটি। মুজিব উর রহমানের গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান ৩২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ২৮ রান করা নাঈম। ৬ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এটাই তার সর্বোচ্চ স্কোর।

তিন নম্বরে নেমে কোনো রান না করে গুলবাদিন নাঈবের বলে ক্যাচ দেন তাওহীদ হৃদয়। এর পরই ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১৯০ বলে ১৯৪* রানের জুটি।১১৫ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া মিরাজ ১১৯ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় ১১২ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়লে জুটির অবসান হয়। ১০১ বলে ৯ চার ২ ছক্কায় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১০৪ রানে রান আউট হয়ে যান। বাংলাদেশের পতন হওয়া ৫ উইকেটের তিনটিই রান আউট। মুশফিকুর রহিম ১৫ বলে ১ চার ১ ছক্কায় ২৫ এবং অভিষিক্ত শামীম পাটোয়ারী ৬ বলে ১১ রান করে রান আউট হয়ে যান। শেষদিকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ১৮ বলে অপরাজিত ৩২ রানে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান।