মক্কার কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় ও চতুর্থ বাংলাদেশি দুই হাফেজ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৩ মক্কার ডেপুটি গভর্নরের কাছ থেকে সম্মাননা পদক গ্রহণ করছে ফয়সাল আহমেদ (ডানে) ও মো. মুশফিকুর রহমান (বাঁয়ে)। নিজস্ব প্রতিনিধি সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত ৪৩তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় আবারও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে বাংলাদেশের দুই হাফেজ মক্কার ডেপুটি গভর্নরের কাছ থেকে সম্মাননা পদক গ্রহণ করছে ফয়সাল আহমেদ (ডানে) ও মো. মুশফিকুর রহমান (বাঁয়ে)। । প্রতিযোগিতার পূর্ণ কোরআন হিফজ বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ফয়সাল আহমেদ। পুরস্কার হিসেবে সে পেয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫২ লাখ ৬২ হাজার ৫৭৯ টাকা) ও সম্মাননা পদক। প্রতিযোগিতার চতুর্থ বিভাগে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে মো. মুশফিকুর রহমান। পুরস্কার হিসেবে সে পেয়েছে এক লাখ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৩৫ লাখ আট হাজার ৩৮৬ টাকা) ও সম্মাননা পদক। স্থানীয় সময় বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এশার নামাজের পর বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার দিয়েছেন মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান।সৌদি প্রেস এজেন্সি সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট সৌদি আরবের ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মক্কায় ৪৩তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে বিশ্বের ১১৭টি দেশ থেকে ১৬৬ প্রতিযোগী তাতে অংশ নেয়। পাঁচ বিভাগে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের সর্বমোট ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল পুরস্কার দেওয়া হয়।হাফেজ ফয়সাল আহমেদ রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় পড়াশোনা করেছে। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সে পূর্ণ কোরআন হিফজ বিভাগে অংশ নিয়েছে। অপর প্রতিযোগী মো. মুশফিকুর রহমান পবিত্র কোরআনের ১৫ পারা হিফজ বিভাগে অংশ নিয়েছে। সে কক্সবাজারের মা’হাদ আন-নিবরাসে কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেছে। এরপর যাত্রাবাড়ির তাহফিজুল কুরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদরাসায় পড়ে। এদিকে আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলে প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি আলেম দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান এ দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিযোগিতার বিচারকার্য যথাযথ পালন করায় অনুষ্ঠানে তাঁকেও বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতা ছাড়াও বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত দেশের সর্ববৃহৎ হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর’-এর বিচারক ছিলেন।গত বছর বাংলাদেশ থেকে হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম প্রতিযোগিতার তাজবিদসহ ১৫ পারা হিফজ বিভাগে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। বিজয়ী হিসেবে সে এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট লাভ করে।সৌদি আরবের ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি পাঁচটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তা হলো- ১. শাতেবি পদ্ধতিতে সাত কিরাতসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ, ২. তাজবিদসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ এবং একক শব্দগুলোর তাফসির, ৩. তাজবিদসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ, ৪. তাজবিদসহ ১৫ পারা হিফজ, ৫. তাজবিদসহ পাঁচ পারা হিফজ (শেষোক্ত বিভাগটি ওয়াইসিভুক্ত নয় এমন দেশের জন্য প্রযোজ্য)। SHARES ধর্ম বিষয়: বাংলাদেশের দুই হাফেজ৪৩তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা
সৌদি আরবের মক্কায় অনুষ্ঠিত ৪৩তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় আবারও কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে বাংলাদেশের দুই হাফেজ মক্কার ডেপুটি গভর্নরের কাছ থেকে সম্মাননা পদক গ্রহণ করছে ফয়সাল আহমেদ (ডানে) ও মো. মুশফিকুর রহমান (বাঁয়ে)। । প্রতিযোগিতার পূর্ণ কোরআন হিফজ বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ফয়সাল আহমেদ। পুরস্কার হিসেবে সে পেয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৫২ লাখ ৬২ হাজার ৫৭৯ টাকা) ও সম্মাননা পদক। প্রতিযোগিতার চতুর্থ বিভাগে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে মো. মুশফিকুর রহমান।
পুরস্কার হিসেবে সে পেয়েছে এক লাখ ২০ হাজার সৌদি রিয়াল (প্রায় ৩৫ লাখ আট হাজার ৩৮৬ টাকা) ও সম্মাননা পদক। স্থানীয় সময় বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এশার নামাজের পর বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার দিয়েছেন মক্কার ডেপুটি গভর্নর প্রিন্স বদর বিন সুলতান।সৌদি প্রেস এজেন্সি সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট সৌদি আরবের ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে মক্কায় ৪৩তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এতে বিশ্বের ১১৭টি দেশ থেকে ১৬৬ প্রতিযোগী তাতে অংশ নেয়।
পাঁচ বিভাগে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের সর্বমোট ৪০ লাখ সৌদি রিয়াল পুরস্কার দেওয়া হয়।হাফেজ ফয়সাল আহমেদ রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায় পড়াশোনা করেছে। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। সে পূর্ণ কোরআন হিফজ বিভাগে অংশ নিয়েছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক এ প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলে প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি আলেম দায়িত্ব পালন করেছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান এ দায়িত্ব পালন করেন।
প্রতিযোগিতার বিচারকার্য যথাযথ পালন করায় অনুষ্ঠানে তাঁকেও বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত কোরআন প্রতিযোগিতা ছাড়াও বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত দেশের সর্ববৃহৎ হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর’-এর বিচারক ছিলেন।গত বছর বাংলাদেশ থেকে হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরীম প্রতিযোগিতার তাজবিদসহ ১৫ পারা হিফজ বিভাগে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করে। বিজয়ী হিসেবে সে এক লাখ রিয়াল (প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা) পুরস্কার ও সম্মাননা ক্রেস্ট লাভ করে।সৌদি আরবের ইসলাম ও দাওয়াহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাটি পাঁচটি ক্যাটাগরিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তা হলো- ১. শাতেবি পদ্ধতিতে সাত কিরাতসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ, ২. তাজবিদসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ এবং একক শব্দগুলোর তাফসির, ৩. তাজবিদসহ সুন্দর কণ্ঠে পূর্ণ কোরআন হিফজ, ৪. তাজবিদসহ ১৫ পারা হিফজ, ৫. তাজবিদসহ পাঁচ পারা হিফজ (শেষোক্ত বিভাগটি ওয়াইসিভুক্ত নয় এমন দেশের জন্য প্রযোজ্য)।