বিতর্ক যখন দ্বিন প্রচারের মাধ্যম ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৮:৪৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩ নিজস্ব প্রতিবেদক বিতর্কে শাণিত হয় মানুষের মেধা, বুদ্ধি ও চৈতন্য। জ্ঞানভিত্তিক বিতর্ক খুলে দেয় জ্ঞানের অজানা দুয়ার। ইসলাম মানুষকে জ্ঞানভিত্তিক বিতর্কের অনুমতি দেয় এবং অর্থহীন ও মূর্খতাসুলভ বিতর্ক পরিহারের নির্দেশ দেয়। আর বিতর্ককে অর্থবহ করতে ইসলামের রয়েছে সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা। বিতর্ক মানুষের স্বভাবজাত সৃষ্টিগতভাবে মানুষের ভেতর বিতর্কের প্রবণতা রয়েছে, আছে বিতর্কের সত্তাগত যোগ্যতা। তবে বুদ্ধিমান তারাই যারা বিতর্কের এই যোগ্যতাকে ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি মানুষের জন্য এই কোরআনে বিভিন্ন উপমা দ্বারা আমার বাণী বিশদভাবে বর্ণনা করেছি। মানুষ বেশির ভাগ বিষয়ে বিতর্কপ্রিয়।’(সুরা : কাহফ, আয়াত : ৫৪) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ কি দেখে না যে আমি তাদের সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু থেকে? অথচ পরে সে হয়ে পড়ে প্রকাশ্য বিতণ্ডাকারী।’ (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ৭৭) বিতর্কও হতে পারে দ্বিন প্রচারের মাধ্যম বিতর্ক যদি নিয়ম-নীতি ও আদর্শ মেনে করা হয়, তবে তা দ্বিন প্রচারের মাধ্যমও হতে পারে। কেননা আল্লাহ তাআলা উত্তম বিতর্ককে দ্বিন প্রচারের মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান করো হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সঙ্গে তর্ক করবে উত্তম পন্থায়।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১২৫) বিতর্ক দ্বিন প্রচারের মাধ্যম হয় যেভাবে উল্লিখিত আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা হাফেজ ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ‘(দ্বিন প্রচারের স্বার্থে) যদি কারো বিতর্ক ও যুক্তি-তর্কের প্রয়োজন হয়, তবে সে যেন তা করে উত্তম পদ্ধতি, বিনয়, নম্রতা ও সুন্দর সম্বোধনের মাধ্যমে।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৪/৫৩২) প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ও শর্ত পেলে বিতর্ক দ্বিন প্রচারের মাধ্যম বলে গণ্য হয়। তা হলো— ১. বিশুদ্ধ নিয়ত : বিতর্ককারী আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর দ্বিন প্রচারের নিয়ত করবে। নিজের খ্যাতি, সুনাম ও জ্ঞান প্রদর্শনীর নিয়ত করবে না। ২. মানবীয় দুর্বলতা পরিহার : বিতর্কের সময় হিংসা, বিদ্বেষ, ক্রোধ ও কোনো কিছুর অন্ধ অনুসরণের মতো মানবীয় দুর্বলতাগুলো পরিহার করলে বিতর্ক সুন্দর ও অর্থবহ হয়। ৩. জ্ঞানের বিশুদ্ধতা : বিতর্ককারী কোরআন-সুন্নাহের বিশুদ্ধ জ্ঞানের ওপর নির্ভর করবে এবং বিশুদ্ধ উৎস থেকে তা গ্রহণ করবে। মানবীয় জ্ঞান-বুদ্ধির ওপর কোরআন-সুন্নাহকে প্রাধান্য দেবে। ৪. সত্যের অনুসন্ধান : গোঁড়ামি ত্যাগ করে সত্যের অনুসন্ধান করবে বিতর্ককারী। অন্যায় পক্ষপাত ও অন্ধত্বকে আঁকড়ে থাকবে না। ৫. শিষ্টাচার রক্ষা করা : বিতার্কিকরা বিতর্কের সময় শিষ্টাচার ও ভদ্রতা রক্ষা করবে। যেমন ব্যক্তিগত আক্রমণ, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা ও গালমন্দ করা থেকে বিরত থাকবে। ৬. সঠিক বিষয় নির্বাচন : বিতর্ক ফলপ্রসূ হওয়ার জন্য সঠিক বিষয় নির্বাচনও আবশ্যক। ভিত্তিহীন ও অর্থহীন বিষয়ে বিতর্ক করে কখনো সুফল পাওয়া যায় না। ৭. সত্যের আনুগত্য : উভয় পক্ষ ঘোষণা দেবে সত্য প্রকাশিত হলে তারা সত্যের অনুসরণ করবে। এ ক্ষেত্রে অকাট্য দলিল-প্রমাণ দ্বারা বিষয়টিকে সত্য-সঠিক বলে ঘোষণা করা হবে। (ওয়াসাইলুদ দাওয়াহ, পৃষ্ঠা ৯৮-৯৯) বিতর্ক যখন বর্জনীয় ইসলাম কখনো কখনো ব্যক্তিকে বিতর্ক পরিহারের নির্দেশ দেয়। তা হলো : ১. জ্ঞান না থাকলে : সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যক্তির জ্ঞান না থাকলে সে বিতর্ক করবে না। কেননা কোরআনে এমন ব্যক্তিদের নিন্দা করা হয়েছে, ‘মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ সম্পর্কে বিতণ্ডা করে; তাদের না আছে জ্ঞান, না আছে পথনির্দেশ, না আছে কোনো দীপ্তিমান কিতাব।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৮) ২. যে বিতর্ক হয় বিদ্বেষ থেকে : পূর্ব বিদ্বেষ থেকে যে বিদ্বেষ করা হয় ইসলাম তা পরিহার করতে বলে। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে তোমাদের সঙ্গে বিবাদ করতে প্ররোচনা দেয়; যদি তোমরা তাদের কথামতো চলো তবে তোমরা অবশ্যই মুশরিক হবে।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১২৫) ৩. অসৎ ব্যক্তির পক্ষে : আল্লাহ কোনো অসৎ ব্যক্তি ও দলের পক্ষে বিতর্ক করতে নিষেধ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা নিজদের প্রতারিত করে তাদের পক্ষে বিতর্ক কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বাস ভঙ্গকারী পাপীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা: নিসা, আয়াত : ১০৭) ৪. প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্য অসৎ হলে : যে ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে বিতর্ক করে, তার সঙ্গে বিতর্ক করতে আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপেই রাসুলদের পাঠিয়ে থাকি, কিন্তু অবিশ্বাসীরা মিথ্যা অবলম্বনে বিতর্ক করে, তা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য।’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ৫৬) ৫. সত্য উপেক্ষাকারীদের সঙ্গে : যারা সত্য জেনেও না জানার ভান করে এবং সত্য উপেক্ষা করে অসত্যের পক্ষ নেয়, তাদের সঙ্গে বিতর্ক করা অর্থহীন। আল্লাহ বলেন, ‘সত্য স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হওয়ার পরও তারা তোমার সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয়। মনে হচ্ছিল, তারা যেন মৃত্যুর দিকে চালিত হচ্ছে আর তারা যেন তা প্রত্যক্ষ করছে।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৬) অর্থহীন বিতর্কের শাস্তি যারা অর্থহীন বিতর্ক করে এবং যেসব বিতার্কিকের উদ্দেশ্য খারাপ তাদের ব্যাপারে আল্লাহর হুঁশিয়ারি হলো—‘আর আমার নিদর্শন সম্পর্কে যারা বিতর্ক করে তারা যেন জানতে পারে যে, তাদের কোনো নিষ্কৃতি নাই।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ৩৫) অর্থহীন বিতর্ক পরিহারের পুরস্কার কোনো ব্যক্তি অর্থহীন ও নিষ্ফল বিতর্ক পরিহার করলে তার জন্য মহানবী (সা.)-এর ঘোষণা হলো, ‘যে ব্যক্তি ন্যায়সংগত হওয়া সত্ত্বেও বিতর্ক পরিহার করে, আমি তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের জিম্মাদার।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৮০০) আল্লাহ সবাইকে শিষ্টাচার মেনে বিতর্ক করার তাওফিক দিন। আমিন। SHARES ইসলাম বিষয়: দ্বিন প্রচারবিতর্ক
নিজস্ব প্রতিবেদক বিতর্কে শাণিত হয় মানুষের মেধা, বুদ্ধি ও চৈতন্য। জ্ঞানভিত্তিক বিতর্ক খুলে দেয় জ্ঞানের অজানা দুয়ার। ইসলাম মানুষকে জ্ঞানভিত্তিক বিতর্কের অনুমতি দেয় এবং অর্থহীন ও মূর্খতাসুলভ বিতর্ক পরিহারের নির্দেশ দেয়। আর বিতর্ককে অর্থবহ করতে ইসলামের রয়েছে সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা।
বিতর্ক মানুষের স্বভাবজাত সৃষ্টিগতভাবে মানুষের ভেতর বিতর্কের প্রবণতা রয়েছে, আছে বিতর্কের সত্তাগত যোগ্যতা। তবে বুদ্ধিমান তারাই যারা বিতর্কের এই যোগ্যতাকে ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি মানুষের জন্য এই কোরআনে বিভিন্ন উপমা দ্বারা আমার বাণী বিশদভাবে বর্ণনা করেছি। মানুষ বেশির ভাগ বিষয়ে বিতর্কপ্রিয়।’(সুরা : কাহফ, আয়াত : ৫৪)
অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ কি দেখে না যে আমি তাদের সৃষ্টি করেছি শুক্রবিন্দু থেকে? অথচ পরে সে হয়ে পড়ে প্রকাশ্য বিতণ্ডাকারী।’ (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ৭৭) বিতর্কও হতে পারে দ্বিন প্রচারের মাধ্যম বিতর্ক যদি নিয়ম-নীতি ও আদর্শ মেনে করা হয়, তবে তা দ্বিন প্রচারের মাধ্যমও হতে পারে। কেননা আল্লাহ তাআলা উত্তম বিতর্ককে দ্বিন প্রচারের মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান করো হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সঙ্গে তর্ক করবে উত্তম পন্থায়।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১২৫)
বিতর্ক দ্বিন প্রচারের মাধ্যম হয় যেভাবে উল্লিখিত আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা হাফেজ ইবনে কাসির (রহ.) বলেন, ‘(দ্বিন প্রচারের স্বার্থে) যদি কারো বিতর্ক ও যুক্তি-তর্কের প্রয়োজন হয়, তবে সে যেন তা করে উত্তম পদ্ধতি, বিনয়, নম্রতা ও সুন্দর সম্বোধনের মাধ্যমে।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৪/৫৩২) প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ও শর্ত পেলে বিতর্ক দ্বিন প্রচারের মাধ্যম বলে গণ্য হয়। তা হলো— ১. বিশুদ্ধ নিয়ত : বিতর্ককারী আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর দ্বিন প্রচারের নিয়ত করবে। নিজের খ্যাতি, সুনাম ও জ্ঞান প্রদর্শনীর নিয়ত করবে না। ২. মানবীয় দুর্বলতা পরিহার : বিতর্কের সময় হিংসা, বিদ্বেষ, ক্রোধ ও কোনো কিছুর অন্ধ অনুসরণের মতো মানবীয় দুর্বলতাগুলো পরিহার করলে বিতর্ক সুন্দর ও অর্থবহ হয়।
৪. সত্যের অনুসন্ধান : গোঁড়ামি ত্যাগ করে সত্যের অনুসন্ধান করবে বিতর্ককারী। অন্যায় পক্ষপাত ও অন্ধত্বকে আঁকড়ে থাকবে না। ৫. শিষ্টাচার রক্ষা করা : বিতার্কিকরা বিতর্কের সময় শিষ্টাচার ও ভদ্রতা রক্ষা করবে। যেমন ব্যক্তিগত আক্রমণ, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা ও গালমন্দ করা থেকে বিরত থাকবে। ৬. সঠিক বিষয় নির্বাচন : বিতর্ক ফলপ্রসূ হওয়ার জন্য সঠিক বিষয় নির্বাচনও আবশ্যক। ভিত্তিহীন ও অর্থহীন বিষয়ে বিতর্ক করে কখনো সুফল পাওয়া যায় না। ৭. সত্যের আনুগত্য : উভয় পক্ষ ঘোষণা দেবে সত্য প্রকাশিত হলে তারা সত্যের অনুসরণ করবে। এ ক্ষেত্রে অকাট্য দলিল-প্রমাণ দ্বারা বিষয়টিকে সত্য-সঠিক বলে ঘোষণা করা হবে। (ওয়াসাইলুদ দাওয়াহ, পৃষ্ঠা ৯৮-৯৯) বিতর্ক যখন বর্জনীয় ইসলাম কখনো কখনো ব্যক্তিকে বিতর্ক পরিহারের নির্দেশ দেয়। তা হলো : ১. জ্ঞান না থাকলে : সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যক্তির জ্ঞান না থাকলে সে বিতর্ক করবে না। কেননা কোরআনে এমন ব্যক্তিদের নিন্দা করা হয়েছে, ‘মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ সম্পর্কে বিতণ্ডা করে; তাদের না আছে জ্ঞান, না আছে পথনির্দেশ, না আছে কোনো দীপ্তিমান কিতাব।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ৮) ২. যে বিতর্ক হয় বিদ্বেষ থেকে : পূর্ব বিদ্বেষ থেকে যে বিদ্বেষ করা হয় ইসলাম তা পরিহার করতে বলে। ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে তোমাদের সঙ্গে বিবাদ করতে প্ররোচনা দেয়; যদি তোমরা তাদের কথামতো চলো তবে তোমরা অবশ্যই মুশরিক হবে।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১২৫) ৩. অসৎ ব্যক্তির পক্ষে : আল্লাহ কোনো অসৎ ব্যক্তি ও দলের পক্ষে বিতর্ক করতে নিষেধ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা নিজদের প্রতারিত করে তাদের পক্ষে বিতর্ক কোরো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বাস ভঙ্গকারী পাপীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা: নিসা, আয়াত : ১০৭) ৪. প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্য অসৎ হলে : যে ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে বিতর্ক করে, তার সঙ্গে বিতর্ক করতে আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপেই রাসুলদের পাঠিয়ে থাকি, কিন্তু অবিশ্বাসীরা মিথ্যা অবলম্বনে বিতর্ক করে, তা দ্বারা সত্যকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য।’ (সুরা : কাহফ, আয়াত : ৫৬) ৫. সত্য উপেক্ষাকারীদের সঙ্গে : যারা সত্য জেনেও না জানার ভান করে এবং সত্য উপেক্ষা করে অসত্যের পক্ষ নেয়, তাদের সঙ্গে বিতর্ক করা অর্থহীন। আল্লাহ বলেন, ‘সত্য স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হওয়ার পরও তারা তোমার সঙ্গে বিতর্কে লিপ্ত হয়। মনে হচ্ছিল, তারা যেন মৃত্যুর দিকে চালিত হচ্ছে আর তারা যেন তা প্রত্যক্ষ করছে।’ (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৬) অর্থহীন বিতর্কের শাস্তি যারা অর্থহীন বিতর্ক করে এবং যেসব বিতার্কিকের উদ্দেশ্য খারাপ তাদের ব্যাপারে আল্লাহর হুঁশিয়ারি হলো—‘আর আমার নিদর্শন সম্পর্কে যারা বিতর্ক করে তারা যেন জানতে পারে যে, তাদের কোনো নিষ্কৃতি নাই।’ (সুরা : আশ-শুরা, আয়াত : ৩৫) অর্থহীন বিতর্ক পরিহারের পুরস্কার কোনো ব্যক্তি অর্থহীন ও নিষ্ফল বিতর্ক পরিহার করলে তার জন্য মহানবী (সা.)-এর ঘোষণা হলো, ‘যে ব্যক্তি ন্যায়সংগত হওয়া সত্ত্বেও বিতর্ক পরিহার করে, আমি তার জন্য জান্নাতের বেষ্টনীর মধ্যে একটি ঘরের জিম্মাদার।’ (সুনানে আবি দাউদ, হাদিস : ৪৮০০) আল্লাহ সবাইকে শিষ্টাচার মেনে বিতর্ক করার তাওফিক দিন। আমিন।