গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ।

প্রকাশিত: ৪:৫০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আবুল হোসেন নামে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলরের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ১১ সেপ্টেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় গাজীপুরের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এ চিঠি দেওয়া হলেও বিষয়টি এত দিন প্রকাশ পায়নি। আজ সোমবার এটি জানাজানি হয়   অভিযুক্ত আবুল হোসেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের নেতা।

বিষয়টি স্বীকার করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) এ এস এম সফিউল আজম বলেন, ‘গত মাসেই দুদকের চিঠি পেয়েছি। টঙ্গী গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার ১ নম্বর অঞ্চল। তাই ওই অঞ্চলের প্রধান নির্বাহীকে দিয়ে তদন্তের কাজ চলছে। এ নিয়ে এখনই আমরা কিছু বলতে পারছি না। তদন্ত শেষে দুদকে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেব।’

চিঠিতে বলা হয়েছে, টঙ্গীর মধুমিতা এলাকায় মেগা সিটি, অগ্রণী টাওয়ার, মিতালি হাউজিং, বিসমিল্লাহ টাওয়ার এক ও দুই, স্বাপ্লীল হাউজিং, সততা টাওয়ার, সাদেক ও বাসেদ টাওয়ার, মজিদ টাওয়ার ও টঙ্গীর তিতাস টাওয়ারসহ বিভিন্ন বহুতল ভবনে অভিযুক্ত কাউন্সিলরের নামে সম্পদ ও ফ্ল্যাট রয়েছে। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশন এলাকায় আর কোনো প্লট–ফ্ল্যাট ও দোকান বরাদ্দ আছে কি না, তা জানতে চাওয়া হয়। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ওয়ার্ড কাউন্সিল আবুল হোসেনের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে যাবতীয় তথ্য প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে। অভিযুক্ত কাউন্সিলর আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি চারবারের ওয়ার্ড কাউন্সিল। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমার সম্পদের আয়কর আমি নিয়মিত পরিশোধ করি। দুদক ডেকেছে, আমি গিয়েছিলাম। দুদক কর্মকর্তাদের সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছি। আমি টঙ্গী থানা যুবলীগের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে কাজ করছি। আমার কোন অবৈধ সম্পত্তি নেই।’