প্রচলিত হরতাল ও অবরোধ বিষয়ে ইসলাম কী বলে ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:৩৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২৩ প্রতীকী ছবি নিজস্ব প্রতিনিধি একজন মুসলিম সব কাজ মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যর আলোকে যাচাই করবে-এটাই স্বাভাবিক। আল্লাহর নির্দেশ মেনে মানুষকে সৎপরামর্শ দেবে এবং সমাজে অপরাধ দেখলে তা প্রতিহত করবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ কিভাবে করবে তার নির্দেশনা রাসুলুল্লাহ (সা.) দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ কোনো অন্যায় দেখলে সে যেন হাত দিয়ে তা প্রতিহত করে, যদি সে তাতে সক্ষম না হয়, তবে সে যেন মুখে প্রতিবাদ করে; আর যদি সে তাতেও সক্ষম না হয়, তবে মনে মনে তা পরিবর্তনের পরিকল্পনা করে। এটাই ঈমানের দুর্বলতম স্তর।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৯)এখানে আরো একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো ন্যায্য বিষয়ে জনগণ স্বেচ্ছায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সব কিছু বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানালে ইসলাম তার বিরোধিতা করে না। তবে কালক্রমে হরতাল ও অবরোধের পরিবর্তিত সংস্কৃতির আলোকে প্রচলিত হরতাল-অবরোধ ইসলামের নানা নিষিদ্ধ বিষয়ের আওতায় পড়ে। যেমন :এক. প্রচলিত হরতাল ও অবরোধের মাধ্যমে পৃথিবীতে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা জমিনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১১)দুই. প্রচলিত হরতাল ও অবরোধ ভয়তালে রূপ নিয়েছে। হরতাল ও অবরোধের আগের রাতে ও দিনের বেলা জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলমানের জন্য বৈধ নয় অন্য মুসলিমকে ভয় দেখানো।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০০৪) তিন. প্রচলিত হরতাল ও অবরোধে কখনো কখনো মানুষ পোড়ানো হয়। অথচ ইসলাম বিষাক্ত সাপ-বিচ্ছু, কীটপতঙ্গ ও হিংস্র প্রাণীকেও আগুনে দগ্ধ করতে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য আগুন দিয়ে কাউকে শাস্তি প্রদান করা অবৈধ।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৬৭৫)চার. হরতাল-অবরোধে দেশ ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। বিদায় হজের ভাষণে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের রক্ত, সম্পদ ও সম্মান একে অন্যের জন্য হারাম।’ (বুখারি, হাদিস : ১৬৫২) পাঁচ. এতে নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয়। আর অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা হারাম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম, সেখানে যে অনাদিকাল থাকবে। আল্লাহ তার ওপর ক্রোধান্বিত হবেন, তাকে অভিশাপ দেবেন। আর তিনি পরকালে তার জন্য ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত করে রাখবেন।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৯২)ছয়. প্রচলিত হরতালে একের বোঝা অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। সরকারের বিরোধিতার ভাষা জনগণের ওপর প্রয়োগ করা হয়, অথচ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘কেউ অন্যের বোঝা বহন করবে না।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ১৮) সাত. কোনো কোনো আলেম বিজাতিদের উদ্ভাবিত হওয়ায় হরতাল ও অবরোধকে অবৈধ বলেছেন। তবে অনেকেই সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে জানমাল, দেশ ও সমাজের কোনোরূপ ক্ষতি সাধন না করার শর্তে হরতালকে বৈধ বলেছেন। আট. প্রচলিত হরতালে মানুষের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। অথচ পবিত্র কোরআনের প্রথম কথা হলো ইকরা অর্থাৎ তুমি পড়ো। হাদিস শরিফে জ্ঞানার্জনকে ফরজ ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নয়. প্রচলিত হরতাল ও অবরোধে বহু নিরীহ মানুষের ওপর জুলুম-অবিচার করা হয়। অথচ ইসলামের নীতি হলো, ‘তোমরা অত্যাচার করবে না এবং অত্যাচারিতও হবে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৯) দশ. প্রচলিত হরতাল-অবরোধে আগুনে পুড়িয়ে মানুষের অঙ্গহানি ও অঙ্গবিকৃত করার নজির আছে। অথচ পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ১১৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করা শয়তানের কাজ বলে অভিহিত করা হয়েছে। হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) কোনো প্রাণীর বিকৃতি সাধন করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ২৪৭৪) যান চলাচল, অবরোধ ও ইসলাম পবিত্র কোরআনে দুনিয়ায় চলাচল, রাস্তাঘাট ইত্যাদি আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত বলে অভিহিত করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তিনি (আল্লাহ) নৌকা ও চতুষ্পদ জন্তুকে তোমাদের জন্য যানবাহনে পরিণত করেছেন।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ১২) প্রাচীন যানবাহনসহ আধুনিক যানবাহনও আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। কেননা এগুলোতে ব্যবহৃত কাঁচামাল ও ধাতব পদার্থ আল্লাহরই সৃষ্টি। তা ছাড়া জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিবেকও আল্লাহর দান। চলাচলের পথ নিরাপদ রাখার জন্য রাসুল (সা.) বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ন্যূনতম ঈমানের পরিচায়ক হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা।’ (মুসলিম, হাদিস : ৩৫) প্রচলিত হরতাল-অবরোধ বিষয়ে ফতোয়া ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়াতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান যুগে হরতাল-অবরোধ বিভিন্ন পদ্ধতিতে পালন করা হয়। কোনো কোনো হরতালে এমন হয়, তার মধ্যে হত্যা, লুটতরাজ, পাথর নিক্ষেপ, ভাঙচুর, চলন্ত গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধন করা হয়। এমন ভ্রান্ত ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কোনো সভ্যসমাজের লোকজন সমর্থন করে না। স্পষ্টত, ইসলামও এ ধরনের কর্মসূচিকে সমর্থন করে না।’ (ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়া, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৩৫৬) আল্লামা তকি উসমানি লিখেছেন, ‘সরকারের কোনো কাজের প্রতিবাদ করার জন্য যদি লোকজনের কাছে তাদের কায়কারবার বন্ধ রাখতে আবেদন করা হয়, তাদের ওপর কোনোরূপ বলপ্রয়োগ করা না হয়, তাহলে এ আবেদনে সাড়া দেওয়া ও তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ইসলামবিরোধী নয়। এমন হরতাল বৈধ। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, হরতালকারীরা এতটুকুর ওপর সন্তুষ্ট থাকে না; বরং হরতালকারীদের পক্ষ থেকে মানুষের কায়কারবার বন্ধ করতে তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করা হরতালের অত্যাবশ্যক অংশে পরিণত হয়েছে। যদি কেউ গাড়ি চালাতে থাকে, তাহলে তার ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। রাস্তায় প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করা হয়… স্পষ্ট কথা যে এসব পদক্ষেপ শরিয়তের দৃষ্টিতে একেবারেই গর্হিত অপরাধ-হারাম।’ (রাজনীতি ও ইসলাম, মুফতি তাকি উসমানি, পৃষ্ঠা ৪০৮) SHARES ইসলাম বিষয়:
একজন মুসলিম সব কাজ মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যর আলোকে যাচাই করবে-এটাই স্বাভাবিক। আল্লাহর নির্দেশ মেনে মানুষকে সৎপরামর্শ দেবে এবং সমাজে অপরাধ দেখলে তা প্রতিহত করবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ কিভাবে করবে তার নির্দেশনা রাসুলুল্লাহ (সা.) দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ কোনো অন্যায় দেখলে সে যেন হাত দিয়ে তা প্রতিহত করে, যদি সে তাতে সক্ষম না হয়, তবে সে যেন মুখে প্রতিবাদ করে; আর যদি সে তাতেও সক্ষম না হয়, তবে মনে মনে তা পরিবর্তনের পরিকল্পনা করে।
এটাই ঈমানের দুর্বলতম স্তর।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৯)এখানে আরো একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো ন্যায্য বিষয়ে জনগণ স্বেচ্ছায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সব কিছু বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানালে ইসলাম তার বিরোধিতা করে না। তবে কালক্রমে হরতাল ও অবরোধের পরিবর্তিত সংস্কৃতির আলোকে প্রচলিত হরতাল-অবরোধ ইসলামের নানা নিষিদ্ধ বিষয়ের আওতায় পড়ে। যেমন :এক. প্রচলিত হরতাল ও অবরোধের মাধ্যমে পৃথিবীতে নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হয়।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা জমিনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি কোরো না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১১)দুই. প্রচলিত হরতাল ও অবরোধ ভয়তালে রূপ নিয়েছে। হরতাল ও অবরোধের আগের রাতে ও দিনের বেলা জনমনে ত্রাস সৃষ্টি করা হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলমানের জন্য বৈধ নয় অন্য মুসলিমকে ভয় দেখানো।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০০৪)
তিন. প্রচলিত হরতাল ও অবরোধে কখনো কখনো মানুষ পোড়ানো হয়। অথচ ইসলাম বিষাক্ত সাপ-বিচ্ছু, কীটপতঙ্গ ও হিংস্র প্রাণীকেও আগুনে দগ্ধ করতে নিষেধ করেছে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য আগুন দিয়ে কাউকে শাস্তি প্রদান করা অবৈধ।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৬৭৫)চার. হরতাল-অবরোধে দেশ ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। বিদায় হজের ভাষণে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের রক্ত, সম্পদ ও সম্মান একে অন্যের জন্য হারাম।’ (বুখারি, হাদিস : ১৬৫২)
পাঁচ. এতে নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয়। আর অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা হারাম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম, সেখানে যে অনাদিকাল থাকবে। আল্লাহ তার ওপর ক্রোধান্বিত হবেন, তাকে অভিশাপ দেবেন। আর তিনি পরকালে তার জন্য ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত করে রাখবেন।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৯২)ছয়. প্রচলিত হরতালে একের বোঝা অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। সরকারের বিরোধিতার ভাষা জনগণের ওপর প্রয়োগ করা হয়, অথচ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘কেউ অন্যের বোঝা বহন করবে না।’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ১৮) সাত. কোনো কোনো আলেম বিজাতিদের উদ্ভাবিত হওয়ায় হরতাল ও অবরোধকে অবৈধ বলেছেন। তবে অনেকেই সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে জানমাল, দেশ ও সমাজের কোনোরূপ ক্ষতি সাধন না করার শর্তে হরতালকে বৈধ বলেছেন। আট. প্রচলিত হরতালে মানুষের শিক্ষার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। অথচ পবিত্র কোরআনের প্রথম কথা হলো ইকরা অর্থাৎ তুমি পড়ো। হাদিস শরিফে জ্ঞানার্জনকে ফরজ ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নয়. প্রচলিত হরতাল ও অবরোধে বহু নিরীহ মানুষের ওপর জুলুম-অবিচার করা হয়। অথচ ইসলামের নীতি হলো, ‘তোমরা অত্যাচার করবে না এবং অত্যাচারিতও হবে না।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৯) দশ. প্রচলিত হরতাল-অবরোধে আগুনে পুড়িয়ে মানুষের অঙ্গহানি ও অঙ্গবিকৃত করার নজির আছে। অথচ পবিত্র কোরআনের সুরা নিসার ১১৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করা শয়তানের কাজ বলে অভিহিত করা হয়েছে। হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) কোনো প্রাণীর বিকৃতি সাধন করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ২৪৭৪) যান চলাচল, অবরোধ ও ইসলাম পবিত্র কোরআনে দুনিয়ায় চলাচল, রাস্তাঘাট ইত্যাদি আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত বলে অভিহিত করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তিনি (আল্লাহ) নৌকা ও চতুষ্পদ জন্তুকে তোমাদের জন্য যানবাহনে পরিণত করেছেন।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ১২) প্রাচীন যানবাহনসহ আধুনিক যানবাহনও আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। কেননা এগুলোতে ব্যবহৃত কাঁচামাল ও ধাতব পদার্থ আল্লাহরই সৃষ্টি। তা ছাড়া জ্ঞান-বুদ্ধি ও বিবেকও আল্লাহর দান। চলাচলের পথ নিরাপদ রাখার জন্য রাসুল (সা.) বিশেষ তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ন্যূনতম ঈমানের পরিচায়ক হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা।’ (মুসলিম, হাদিস : ৩৫) প্রচলিত হরতাল-অবরোধ বিষয়ে ফতোয়া ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়াতে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান যুগে হরতাল-অবরোধ বিভিন্ন পদ্ধতিতে পালন করা হয়। কোনো কোনো হরতালে এমন হয়, তার মধ্যে হত্যা, লুটতরাজ, পাথর নিক্ষেপ, ভাঙচুর, চলন্ত গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধন করা হয়। এমন ভ্রান্ত ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে কোনো সভ্যসমাজের লোকজন সমর্থন করে না। স্পষ্টত, ইসলামও এ ধরনের কর্মসূচিকে সমর্থন করে না।’ (ফতোয়ায়ে হাক্কানিয়া, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৩৫৬) আল্লামা তকি উসমানি লিখেছেন, ‘সরকারের কোনো কাজের প্রতিবাদ করার জন্য যদি লোকজনের কাছে তাদের কায়কারবার বন্ধ রাখতে আবেদন করা হয়, তাদের ওপর কোনোরূপ বলপ্রয়োগ করা না হয়, তাহলে এ আবেদনে সাড়া দেওয়া ও তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ইসলামবিরোধী নয়। এমন হরতাল বৈধ। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, হরতালকারীরা এতটুকুর ওপর সন্তুষ্ট থাকে না; বরং হরতালকারীদের পক্ষ থেকে মানুষের কায়কারবার বন্ধ করতে তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করা হরতালের অত্যাবশ্যক অংশে পরিণত হয়েছে। যদি কেউ গাড়ি চালাতে থাকে, তাহলে তার ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। রাস্তায় প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করা হয়… স্পষ্ট কথা যে এসব পদক্ষেপ শরিয়তের দৃষ্টিতে একেবারেই গর্হিত অপরাধ-হারাম।’ (রাজনীতি ও ইসলাম, মুফতি তাকি উসমানি, পৃষ্ঠা ৪০৮)