লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৪, ২০২৩

০৪ জানুয়ারি ২০২৩\

কাশিমপুর কারাগারের বন্দি এবং শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া নেহাল উদ্দিনের (৬৫) লাশ নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন গ্রামবাসী ও স্বজনেরা।

কারাগার থেকে সোমবার বিকালে তার লাশ গ্রামের বাড়ি গাজীপুর কালিয়াকৈরের চাপাইর ইউনিয়নের বাগচাপাইর পৌঁছে। জানাজা না দিয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত এ বিক্ষোভ করেন তারা।

এ সময় মারধর, মিথ্যা মামলায় হয়রানি ও মৃত্যুতে বাদীর বিচারের দাবি জানানো হয়। বাদীর বিচার ও গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত লাশ কবর দেওয়া হবে না বলে জানান স্বজনরা। পরে এলাকার গণ্যমান্যরা বিচারের আশ্বাস দিলে জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। নিহত নেহাল উদ্দিন বাগচাপাইর গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় মুদি দোকানদার ছিলেন।

কাশিমপুর কারাগার, এলাবাসী ও পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ৬ নভেম্বর সকালে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ তুলে নেহালের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ ছাড়া তাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করেন আমির উদ্দিনের ছেলে শিপন। এ সময় গ্রামবাসী তাকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। ওই ঘটনায় কালিয়াকৈর থানায় ওই দিনই আমির উদ্দিনের স্ত্রী শিল্পী বেগম মামলা করেন। এতে পুলিশ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ নভেম্বর গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠায়। জেলা কারাগার থেকে এক সপ্তাহ পর কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।

চাপাইর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, শিপন মিয়া মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে নেহাল উদ্দিনকে মারধর করেন। পরে মিথ্যা মামলা দেন তার মা।

কাশিমপুর কারাকর্তৃপক্ষ জানান, রোববার রাত আড়াইটার দিকে গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নেহাল উদ্দিনের মৃত্যু হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে কারাগারের ভেতর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন নেহাল উদ্দিন। এ সময় তাকে কারা হাসপাতলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই হাসপাতালে পাঠানো হয়। কালিয়াকৈর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর থেকে তিনি এ কারাগারে বন্দি ছিলেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আমিরুল ইসলাম জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।