দেশে রাতকানা রোগ শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৪:৩৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিনিধি

দেশে রাতকানা রোগ শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সারা দেশের ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী ২ কোটি ৩০ লাখ শিশুকে ‘ভিটামিন-এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। ভিটামিন এ এর পর্যাপ্ততা পেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শারীরিক নানা জটিলতা দূর হয়। এক সময় ভিটামিনের অভাবে শিশুদের রাতকানা (অন্ধত্ব) রোগের প্রকোপ থাকলেও এখন তা শূন্যের কোটায়।
আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মহাখালী জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে শুরুতে জানানো হয়, সারা দেশে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী ২ কোটি ৩০ লাখের বেশি শিশুকে আজ ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে লাল রঙের ক্যাপুসল খাওয়ানো হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন এই কর্মসূচি হাতে নেন তখন ৪ শতাংশের বেশি শিশু ভিটামিন এ-এর অভাবে অন্ধত্বসহ নানা রোগে ভুগত।

এ ছাড়া এক সময়ে খর্বকায় শিশুর সংখ্যা অনেক ছিল। পুষ্টির মান বাড়ায় এখন সেটি ২০ শতাংশের নিচে চলে এসেছে।জাহিদ মালেক আরো বলেন, আমরা মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যে অনেক এগিয়েছি। আগের তুলনায় মাতৃমৃত্যু হার কমেছে।

এটি আরো কমাতে হলে বাল্যবিয়ে রোধ করতে হবে। একজন অসুস্থ মা সন্তান জন্ম দিলে অপরিণত ও কম ওজনের শিশুর জন্ম হতে পারে। আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারিতে অনেক পিছিয়ে আছি। ক্লিনিক ও হাসপাতালে সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।৮ ঘণ্টা সার্ভিসের হাসপাতালগুলো চলতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এগুলো ২৪ ঘণ্টা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এতে করে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব বাড়বে, কমবে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার। একই সঙ্গে অহেতুক কেউ যাতে সি-সেকশন না করায় সেদিকে নজর দিতে হবে। হাসপাতালে বিশেষ করে উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসার মান বাড়াতে হবে বলেও জানান তিনি।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ।