সিসিইউতে আবারো খালেদা জিয়া; পরিবারের আবেদন বিবেচনার আহবান বিএনপির।

প্রকাশিত: ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি : আবার সিসিইউতে নেয়া হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। পরে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। কারণ তিনি মুক্ত হলে সরকারের পক্ষে ক্ষমতায় থাকা কঠিন হবে।” খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে; সেই আবেদন বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে সরকারের ক্ষমতায় থাকা কঠিন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। কারণ তিনি মুক্ত হলে সরকারের পক্ষে ক্ষমতায় থাকা কঠিন হবে। বেগম জিয়া কারাগার থেকে বের হলে, দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে এবং জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া যাবে না।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “আজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা খালেদা জিয়াকে আজ ঘরে বন্দী করে রাখা হয়েছে।আমি আশা করি, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে, তা সরকার বাস্তবায়ন করবে।”

ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আবার কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, “মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।”

খালেদা জিয়া, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। গত ৯ আগস্ট থেকে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। তার স্বাস্থ্যের অবস্থার অবনতি হওয়ায়, গত সপ্তাহে তাকে দুইবার কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

অন্যদিকে, খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে, স্থায়ী জামিনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। এবিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং তা যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।

২০২০ সালে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তির পর থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।