বোতলজাত বিশুদ্ধ পানিতে ন্যানোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপদান।

প্রকাশিত: ১১:৪৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২৪
গড়ে এক লিটার পানিতে প্রায় ২,৪০,০০০ সনাক্তযোগ্য প্লাস্টিকের টুকরো রয়েছে। যা পূর্বের ধারণা থেকেও ১০ থেকে ১০০ গুণ বেশি।

নিজস্ব প্রতিনিধি

সুস্থ থাকতে হলে বিশুদ্ধ পানি পানের বিকল্প কিইবা আছে। কিন্তু এমন যদি হয় বিশুদ্ধ পানি ভেবে যা পান করছি তাতেই থাকে ক্ষতিকর উপদান? চিন্তার বিষয় তো বটেই। গতকাল প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। বোতলজাত বা প্লাস্টিক বোতলে রাখা পানি প্রতি চুমুকেই নাকি বিপদে ফেলছে জীবনকে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে,বোতলজাত পানি নিরাপদ নয়। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং রুটজার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা গবেষণায় উঠে এসেছে- বোতলজাত পানি স্বাস্থ্যের পক্ষে আমরা যতটা ধারণা করতে পারি তারচেয়েও অনেক ক্ষতিকর। তাদের করা গবেষণার ফলাফল- গড়ে এক লিটার পানিতে প্রায় ২,৪০,০০০ সনাক্তযোগ্য প্লাস্টিকের টুকরো রয়েছে। যা পূর্বের ধারণা থেকেও ১০ থেকে ১০০ গুণ বেশি।
ন্যানোপ্লাস্টিক খুবই ছোট। এ কণা মানুষের রক্ত, অন্ত্রে এমনকি মস্তিষ্কেও সহজে প্রবেশ করতে পারে।খুব সম্প্রতি ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস এর জার্নাল প্রসিডিংস-এ প্রকাশিত সমীক্ষায় গবেষকরা গুরুত্ব দিয়েছেন ন্যানোপ্লাস্টিকের উপর। যা মূলত আরও ক্ষুদ্র হয়ে ভেঙে যাওয়া মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলোর স্প্যান।

নতুনভাবে করা এ গবেষণায় পিইটি (পলিথিলিন টেরেফথ্যালেট) এর টুকরো পাওয়া গেছে, যা দিয়ে বেশিরভাগ প্লাস্টিকের পানির বোতল তৈরি হয়। এছাড়া পানির ফিল্টারে পাওয়া গেছে পলিমাইডের উপস্থিতি। গবেষকদের ধারণা, এসব প্লাস্টিক কণা বোতল এবং পানি পরিশুদ্ধকরণ প্রক্রিয়া উভয়ভাবেই বোতলের পানিতে প্রবেশ করে।ন্যানোপ্লাস্টিকস স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। এ কণা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং টিস্যুতে লুকিয়ে থাকতে পারে।

ফলে প্রদাহ, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং সেলুলার ফাংশনগুলির ব্যত্যয় ঘটে। তদুপরি, তারা ক্ষতিকারক রাসায়নিক বহন করতে পারে এবং নানা রোগজীবাণুর বাহক হিসাবেও কাজ করে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই এ ধরনের স্বাস্থ্য হুমকির সমাধান টানতে প্লাস্টিক দূষণ কমানোর চেষ্টা করা অতি জরুরি।সূত্র: ব্লুমবার্গ