‘এত কিছু আমার জীবনে ঘটে যাবে এমনটা ভাবিনি’ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১২:৫৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪ টুর্নামেন্টসেরা ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার হাতে সগরিকা নিজস্ব প্রতিনিধি এলেন, দেখলেন, জয় করলেন―মোছা. সাগরিকার গল্পটাও ঠিক এমনই। অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফে মাত করে সাগরিকা এখনো আছেন ঘোরের মধ্যে। এত দ্রুত সব কিছু বদলে যাবে ভাবেননি বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলের এই ফরোয়ার্ড। সদ্য শেষ হওয়া সাফে চার গোল করে হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার খেলোয়াড়। সঙ্গে জিতেছেন যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারও। ১৮ বছর বয়সী সাগরিকার লক্ষ্য এখন জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়া। প্রশ্ন : দুইটা ট্রফি একসঙ্গে হাতে পেলেন। নিশ্চিতভাবেই অনেক ভালো লাগার ব্যাপার। এটাই কি সবচেয়ে ভালো স্মৃতি? সাগরিকা : ঠিক তা না। তবে এটাও ভালো লাগছে। অনেক ভালো লাগার ব্যাপার এটি আমার কাছে। প্রশ্ন : যখন ফুটবলে এসেছিলেন, তখন কি মনে হয়েছিল বয়সভিত্তিক এই পর্যায়ে প্রথম আসরেই বাজিমাত করবেন? সাগরিকা : না, এটা কখনোই ভাবিনি। তবে ইচ্ছা ছিল সুযোগ পেলে এমন কিছু করব। তবে সত্যি বলতে, এত কিছু এত দ্রুত আমার জীবনে ঘটে যাবে, এমনটা ভাবিনি। যা পেয়েছি, যেভাবে খেলেছি, তার স্বীকৃতি পেয়েছি। ভবিষ্যতে চেষ্টা করব আরো ভালো খেলতে। প্রশ্ন : টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কি কোনো লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন? সেরা গোলদাতা হবেন বা অন্য কিছু? সাগরিকা : না, এ রকম কিছু ভাবিনি। তবে লক্ষ্য ছিল, দলকে ভালো কিছু উপহার দেওয়া। প্রথম ম্যাচে গোল পাওয়ার পর মনে হয়েছিল, যদি প্রথম ম্যাচে গোল করতে পারি, তাহলে কেন দ্বিতীয় ম্যাচে পাব না! ফলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। প্রশ্ন : টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেরা খেলোয়াড়, কতটুকু চাপের, কতটুকু অনুপ্রেরণার? সাগরিকা : চাপ তো আছেই। সামনে আমাকে সিনিয়দের সঙ্গে লড়াই করতে হবে, যাতে তাদের মতো আমিও জাতীয় দলে নিয়মিত খেলতে পারি। এটাতেই বেশি খুশি হলে চলবে না। ভবিষ্যতে আরো বেশি কিছু পেতে হলে আমাকে আরো ভালো খেলতে হবে, আরো পরিশ্রম করতে হবে। প্রশ্ন : বললেন জাতীয় দলে সিনিয়রদের সঙ্গে লড়তে হবে। কিন্তু জাতীয় দলে আপনার পজিশনে যারা খেলেন তারা তো পরীক্ষিত। সেখানে জায়গা করে নেওয়া কি সহজ হবে? সাগরিকা : আপুরা এই পজিশনে খেলে জাতীয় দলে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু আমি মনে করি, আমিও যদি আপুদের মতো ভালো খেলতে পারি, তাহলে আমিও জাতীয় দলে আক্রমণভাগে খেলার সুযোগ পাব। এটা আসলে নির্ভর করবে আমার খেলার ওপর, আমি তাদের জায়গা পূরণ করতে পারব কি না। আমি যদি নৈপুণ্য দেখিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে পারি তাহলে কোচেরাই আমাকে বাছাই করে নেবেন। তবে আমাকে আগের চেয়ে দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে হবে। এতটুকুতে হবে না (সামনের দিনগুলোতে)। প্রশ্ন : লিগে তো সাবিনা খাতুনের গোলের সেঞ্চুরি আছে। তাকে ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য আছে কী? সাগরিকা : সবার দোয়া থাকলে আর আমার পরিশ্রম থাকলে অবশ্যই পারব। তবে এ জন্য পরিশ্রম করতে হবে। সেটা করতে হলে অবশ্যই আমাকে ফিটনেস ধরে রাখতে হবে। ফিটনেস ঠিক রাখতে না পারলে তো খেলা চালিয়ে যেতে পারব না। প্রশ্ন : আপনি ফুটবলার হতে চাইলেন কিভাবে? চোটসহ নানা কারণেই অনেক মেয়ে তো ফুটবলার হতে চায় না। সাগরিকা : আমার উঠে আসার পথটা খুব কঠিন ছিল। অনেক কথা শুনতে হয়েছে। বাবাও ফুটবল খেলতে দিতে চাননি, কিন্তু আমি ফুটবলারই হতে চেয়েছি। অনেক মেয়ে খেলতে চায় না (চোট পাওয়ার ভয়ে), কিন্তু আমি খেলতে চেয়েছি। আমার ফুটবলার হওয়ার শখই ছিল, সেটা হতে পেরেছি, এ জন্যই ভালো লাগে। আমাদের ওখানে অনেক গরিব মেয়েরা আছে। তাদের যদি সহযোগিতা করা যায়, তাহলে তারাও আমার মতো উঠে আসার পথ পাবে। SHARES খেলাধুলা বিষয়: নারী ফুটবলসাগরিকা
এলেন, দেখলেন, জয় করলেন―মোছা. সাগরিকার গল্পটাও ঠিক এমনই। অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফে মাত করে সাগরিকা এখনো আছেন ঘোরের মধ্যে। এত দ্রুত সব কিছু বদলে যাবে ভাবেননি বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলের এই ফরোয়ার্ড। সদ্য শেষ হওয়া সাফে চার গোল করে হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার খেলোয়াড়।
সঙ্গে জিতেছেন যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারও। ১৮ বছর বয়সী সাগরিকার লক্ষ্য এখন জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়া। প্রশ্ন : দুইটা ট্রফি একসঙ্গে হাতে পেলেন।
নিশ্চিতভাবেই অনেক ভালো লাগার ব্যাপার। এটাই কি সবচেয়ে ভালো স্মৃতি? সাগরিকা : ঠিক তা না। তবে এটাও ভালো লাগছে। অনেক ভালো লাগার ব্যাপার এটি আমার কাছে।
প্রশ্ন : যখন ফুটবলে এসেছিলেন, তখন কি মনে হয়েছিল বয়সভিত্তিক এই পর্যায়ে প্রথম আসরেই বাজিমাত করবেন? সাগরিকা : না, এটা কখনোই ভাবিনি। তবে ইচ্ছা ছিল সুযোগ পেলে এমন কিছু করব। তবে সত্যি বলতে, এত কিছু এত দ্রুত আমার জীবনে ঘটে যাবে, এমনটা ভাবিনি। যা পেয়েছি, যেভাবে খেলেছি, তার স্বীকৃতি পেয়েছি। ভবিষ্যতে চেষ্টা করব আরো ভালো খেলতে।
প্রশ্ন : টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কি কোনো লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন? সেরা গোলদাতা হবেন বা অন্য কিছু? সাগরিকা : না, এ রকম কিছু ভাবিনি। তবে লক্ষ্য ছিল, দলকে ভালো কিছু উপহার দেওয়া। প্রথম ম্যাচে গোল পাওয়ার পর মনে হয়েছিল, যদি প্রথম ম্যাচে গোল করতে পারি, তাহলে কেন দ্বিতীয় ম্যাচে পাব না! ফলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। প্রশ্ন : টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা, সেরা খেলোয়াড়, কতটুকু চাপের, কতটুকু অনুপ্রেরণার? সাগরিকা : চাপ তো আছেই। সামনে আমাকে সিনিয়দের সঙ্গে লড়াই করতে হবে, যাতে তাদের মতো আমিও জাতীয় দলে নিয়মিত খেলতে পারি। এটাতেই বেশি খুশি হলে চলবে না। ভবিষ্যতে আরো বেশি কিছু পেতে হলে আমাকে আরো ভালো খেলতে হবে, আরো পরিশ্রম করতে হবে। প্রশ্ন : বললেন জাতীয় দলে সিনিয়রদের সঙ্গে লড়তে হবে। কিন্তু জাতীয় দলে আপনার পজিশনে যারা খেলেন তারা তো পরীক্ষিত। সেখানে জায়গা করে নেওয়া কি সহজ হবে? সাগরিকা : আপুরা এই পজিশনে খেলে জাতীয় দলে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু আমি মনে করি, আমিও যদি আপুদের মতো ভালো খেলতে পারি, তাহলে আমিও জাতীয় দলে আক্রমণভাগে খেলার সুযোগ পাব। এটা আসলে নির্ভর করবে আমার খেলার ওপর, আমি তাদের জায়গা পূরণ করতে পারব কি না। আমি যদি নৈপুণ্য দেখিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে পারি তাহলে কোচেরাই আমাকে বাছাই করে নেবেন। তবে আমাকে আগের চেয়ে দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে হবে। এতটুকুতে হবে না (সামনের দিনগুলোতে)। প্রশ্ন : লিগে তো সাবিনা খাতুনের গোলের সেঞ্চুরি আছে। তাকে ছাপিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য আছে কী? সাগরিকা : সবার দোয়া থাকলে আর আমার পরিশ্রম থাকলে অবশ্যই পারব। তবে এ জন্য পরিশ্রম করতে হবে। সেটা করতে হলে অবশ্যই আমাকে ফিটনেস ধরে রাখতে হবে। ফিটনেস ঠিক রাখতে না পারলে তো খেলা চালিয়ে যেতে পারব না। প্রশ্ন : আপনি ফুটবলার হতে চাইলেন কিভাবে? চোটসহ নানা কারণেই অনেক মেয়ে তো ফুটবলার হতে চায় না। সাগরিকা : আমার উঠে আসার পথটা খুব কঠিন ছিল। অনেক কথা শুনতে হয়েছে। বাবাও ফুটবল খেলতে দিতে চাননি, কিন্তু আমি ফুটবলারই হতে চেয়েছি। অনেক মেয়ে খেলতে চায় না (চোট পাওয়ার ভয়ে), কিন্তু আমি খেলতে চেয়েছি। আমার ফুটবলার হওয়ার শখই ছিল, সেটা হতে পেরেছি, এ জন্যই ভালো লাগে। আমাদের ওখানে অনেক গরিব মেয়েরা আছে। তাদের যদি সহযোগিতা করা যায়, তাহলে তারাও আমার মতো উঠে আসার পথ পাবে।