অনলাইনে হেনস্তা এড়াতে যা করতে পারেন ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪ ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি হেনস্তার শিকার হতে হয় নারীকে। মডেল: সুলতানা রাজিয়া নিজস্ব প্রতিনিধি ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি হেনস্তার শিকার হতে হয় নারীকে। তবে এর মানে এটাও নয়, নারী ব্যতীত অন্য কেউ হেনস্তার শিকার হন না একদমই। বরং কমবেশি সবাইকেই এ অপরাধের শিকার হতে হয়। অনলাইলে কিভাবে নিরাপদ থাকা সম্ভব এবং হেনস্তা এড়াতে যা করতে পারেন সে সম্পর্কে কথা বলেছেন নাটোরের আইন গবেষক ও সামাজিক অধিকারকর্মী নিশাত আনজুম লোপা। সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য সবার আগে প্রয়োজন কার্যকর সচেতনতা। সচেতনতা সমাজে সব স্তরে বাড়ানো প্রয়োজন। প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। শিক্ষক, বাবা-মা ও অভিভাবকদের সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। সাইবার অপরাধের ব্যাপারে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে পরিবারকেই এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের সামাজিক দক্ষতা বাড়ানো গেলে এমন অপরাধ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সাইবার সংকট মোকাবেলার জন্য সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে নানা প্রয়োজনে অনেক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার রয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেডস, লিংকডইনের মতো প্ল্যাটফরমে আমাদের অ্যাকাউন্ট রাখতে হয়। অনেকেই সব জায়গায় একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। কঠিন ও নিরাপদ পাসওয়ার্ড হিসেবে নিউমেরিক, নম্বর, ছোট-বড় অক্ষর, সংকতে সমন্বয়ে আমরা পাসওয়ার্ড দিতে পারি। যেন সহজে হ্যাকাররা হ্যাক না করতে পারে। নিজের নাম বা পরিবারের কারো নাম বা জন্মতারিখ এসব তথ্য পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করবেন না। হেনস্তা এড়াতে যা করতে পারেন― সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন না। আপনি যদি মনে করেন ভবিষ্যতে ছবি বা ভিডিওর কারণে কোনো সংকট আসতে পারে, তখন সেই ছবি শেয়ার করবেন না। একেবারেই ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন জন্মতারিখ, বাড়ির ঠিকানা―এসব তথ্য অনলাইনে কখনোই প্রকাশ করবেন না। নিয়মিত ফেসবুক ও অন্যান্য ইন্টারনেট পোর্টালের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। আপনার পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ নারী ও কিশোরীদের সাইবার আতঙ্ক, বিভিন্ন আর্থিক অপরাধ সম্পর্কে সচেতন করুন। ইনবক্সে বা মেসেঞ্জারে অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন। ই-মেইলে সকল অপরিচিত বা ব্যাবসায়িক যোগাযোগ পরিচালনা করুন। কোনো ধরনের অচেনা লিংক বা ওয়েবসাইটে নিজের তথ্য প্রকাশ করবেন না। ফেসবুক মেসেঞ্জারে কোনো লিংক সন্দেহজনক মনে হলে অবশ্যই এড়িয়ে চলুন। SHARES লাইফস্টাইল বিষয়: অনলাইন হেনস্তানিশাত আনজুম লোপা
ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি হেনস্তার শিকার হতে হয় নারীকে। তবে এর মানে এটাও নয়, নারী ব্যতীত অন্য কেউ হেনস্তার শিকার হন না একদমই। বরং কমবেশি সবাইকেই এ অপরাধের শিকার হতে হয়। অনলাইলে কিভাবে নিরাপদ থাকা সম্ভব এবং হেনস্তা এড়াতে যা করতে পারেন সে সম্পর্কে কথা বলেছেন নাটোরের আইন গবেষক ও সামাজিক অধিকারকর্মী নিশাত আনজুম লোপা।
সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য সবার আগে প্রয়োজন কার্যকর সচেতনতা। সচেতনতা সমাজে সব স্তরে বাড়ানো প্রয়োজন। প্রযুক্তির ব্যবহারের পাশাপাশি সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সঠিক মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।
শিক্ষক, বাবা-মা ও অভিভাবকদের সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। সাইবার অপরাধের ব্যাপারে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে পরিবারকেই এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের সামাজিক দক্ষতা বাড়ানো গেলে এমন অপরাধ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সাইবার সংকট মোকাবেলার জন্য সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে নানা প্রয়োজনে অনেক ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার রয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, থ্রেডস, লিংকডইনের মতো প্ল্যাটফরমে আমাদের অ্যাকাউন্ট রাখতে হয়। অনেকেই সব জায়গায় একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেন। কঠিন ও নিরাপদ পাসওয়ার্ড হিসেবে নিউমেরিক, নম্বর, ছোট-বড় অক্ষর, সংকতে সমন্বয়ে আমরা পাসওয়ার্ড দিতে পারি।
যেন সহজে হ্যাকাররা হ্যাক না করতে পারে। নিজের নাম বা পরিবারের কারো নাম বা জন্মতারিখ এসব তথ্য পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করবেন না। হেনস্তা এড়াতে যা করতে পারেন― সব ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করবেন না। আপনি যদি মনে করেন ভবিষ্যতে ছবি বা ভিডিওর কারণে কোনো সংকট আসতে পারে, তখন সেই ছবি শেয়ার করবেন না। একেবারেই ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন জন্মতারিখ, বাড়ির ঠিকানা―এসব তথ্য অনলাইনে কখনোই প্রকাশ করবেন না। নিয়মিত ফেসবুক ও অন্যান্য ইন্টারনেট পোর্টালের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। আপনার পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ নারী ও কিশোরীদের সাইবার আতঙ্ক, বিভিন্ন আর্থিক অপরাধ সম্পর্কে সচেতন করুন। ইনবক্সে বা মেসেঞ্জারে অপরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন। ই-মেইলে সকল অপরিচিত বা ব্যাবসায়িক যোগাযোগ পরিচালনা করুন। কোনো ধরনের অচেনা লিংক বা ওয়েবসাইটে নিজের তথ্য প্রকাশ করবেন না। ফেসবুক মেসেঞ্জারে কোনো লিংক সন্দেহজনক মনে হলে অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।