কুমিল্লার চান্দিনায় স্ত্রীকে শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলে স্বামীর আত্মহত্যা। ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪ কাজী রাশেদ (কুমিল্লা প্রতিনিধি) :কুমিল্লার চান্দিনায় স্ত্রীকে শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে স্বামী। পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়ার পঁচা গন্ধ পেয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ দরজা ভেঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) রাত ৯টায় চান্দিনা পৌরসভার রারিরচর গ্রামের আনিছ মোহাম্মদের বাড়ি এলাকার স্বপ্না বেগম এর বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় একটি ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- চান্দিনার ছায়কোট গ্রামের আব্দুল জলিল এর মেয়ে রোজিনা আক্তার (২২) ও কুমিল্লা আদর্শ সদর এলাকার কাপ্তান বাজার এলাকার মুজিবুর রহমান এর ছেলে সোহেল (২৮)। রোজিনা আক্তার একটি পার্লারে কাজ করলেও সোহেল কোন নির্দিষ্ট কর্ম করতো না। একই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন জানান, আমি ওই ভবনের তৃতীয় তলায় থাকি। গতকাল থেকে দ্বিতীয় তলায় পঁচা গন্ধ পাই। প্রথমে ভেবেছি হয়তো ময়লার গন্ধ। আজ জুম্মার নামাজের পরও একই ভাবে গন্ধ পেয়ে দরজা থাকা দেই কিন্তু কারও কোন সাড়া শব্দ নেই। পর তাদের ফোন নম্বরে ফোন করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি। সন্ধ্যার পর থেকে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করলেও কেউ কিছু বলতে পারেনি। অবশেষে থানায় খবর দেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙ্গে দুই মরদেহ দেখতে পান। প্রথম কক্ষে স্বামীর ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে আর ভিতরের কক্ষের বিছানায় স্ত্রীর মরদেহ পড়ে আছে। আর দুইটি মরদেই ফুলে পঁচে আছে। নিহত রোজিনার ভাই শাহজাহান জানান, সোহেল মাদকাসক্ত ছিল। প্রায়ই রোজিনাকে মারধর করতো। ১০-১৫টি আগেও মাদকের টাকার জন্য রোজিনাকে মারধর করায় রোজিনা আমাদের বাড়িতে চলে যায়। আবার তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আনে। আমার বোনকে প্রায়ই মারধর করতো স্বামী সোহেল। নিহত সোহেল এর বোন মুন্নী আক্তার জানান, দুই বছর আগে তারা ভালবেসে বিয়ে করেছিল। তাদের কোন সন্তান নেই। সোহেল গত ১৯ তারিখে আমার বাসায় গিয়েছিল। তারপর থেকে তাকে ফোনেও আর পাইনি। তার স্ত্রীর ফোনেও কল দিয়েছিলাম কেউ সেও রিসিভ করেনি। আজ সন্ধ্যার পর বাসার মালিক ফোন করার পর আমি ঘটনাস্থলে আসি এবং এ ঘটনা দেখি। চান্দিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মীর রেজাউল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করি। ধারণা করা হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল থাকায় স্ত্রীকে শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে স্বামী সোহেল। মরদেহের অবস্থা দেখে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছি ৩-৪দিন আগে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। SHARES অপরাধ/দূর্নীতি বিষয়: