বঙ্গবন্ধু সবসময় দেশ ও দশের কথা চিন্তা করতেন: ড.কলিমউল্লাহ।

প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২৪

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :৩০ মে,২০২৪, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৩০ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গোপালগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মোঃ আবু সালেহ, সহকারী অধ্যাপক,
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ এর অধ্যক্ষ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক জনাব মোঃ মাসুদ আহমেদ।

সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে যুক্ত ছিলেন বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক বাবু রণজিৎ মল্লিক।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ব্যাংকার ও নাট্যব্যক্তিত্ব সন্দীপন কুমার বিশ্বাস, জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থী।

সভাপতির বক্তব্যে ড.কলিমউল্লাহ বলেন , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় দেশ ও দশের কথা চিন্তা করতেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো: আবু সালেহ বলেন, জাতির পিতা গোটা জাতি সম্পর্কে চিন্তা করতেন। পূর্ব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি গঠন করতে বঙ্গবন্ধু কঠিন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে পথ হেঁটেছেন। তিনি দীর্ঘ জীবন জেল খেটেছেন এবং স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু নির্মমভাবে হত্যার স্বীকার হয়েছেন।

স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে প্রবেশ করতে না করতেই বঙ্গবন্ধু দিল্লি বিমান বন্দরে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সাথে দেখা হওয়া মাত্র কুশলাদি বিনিময় করে জিজ্ঞেস করেন, ” আমার স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র থেকে আপনার সেনা বাহিনী কবে সরিয়ে নিবেন। ”

তার এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত সেনাবাহিনী সরিয়ে নেন।
৭ ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ” আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শবান নেতৃত্বে দেশ যেমন স্বাধীন হয়েছিল, তেমনি তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার জননী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।

সেমিনারের বিশেষ অতিথি পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মো:
মাসুদ আহমেদ বলেন , বাঙালি,বাংলাদেশে ও বাংলার মানুষদের জন্য বঙ্গবন্ধুর ভাবনা এতো গভীর ছিল যে তা সল্প পরিসরে আলোচনা সম্ভব না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাননি, বাংলা ভাষা ভিত্তিক রাষ্ট্র চেয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন আমাদের জ্ঞান- বিজ্ঞান চর্চা গবেষণা- সব বাংলা ভাষায় হবে।
বদ্ধ ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, তবেই বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে বাংলাদেশ অগ্রসর হবে , সেটা বণ্টনে হোক নিয়োগে হোক , জ্ঞান বিজ্ঞানে হোক , সংগীতে হোক , সাধনায় হোক , ধর্ম চিন্তায় হোক – সকল ক্ষেত্রেই।

তিনি আরও মন্তব্য করেন,
বাকশাল কায়েম হলে বাংলাদেশ রাজনীতিতে আরও অনেক উন্নয়ন হতো।

সেমিনারের গেস্ট অব অনার পি এইচ ডি গবেষক
রণজিৎ মল্লিক বলেন, উপমহাদেশের রাজনৈতিক উত্তাল মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানের কথা চিন্তা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার সমগ্র জীবনে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেছিলেন। আমরা বাঙালি হিসেবে নিজেদের জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করলেই আমরা দেশপ্রেমিক হিসাবে সমৃদ্ধ হবো।

সেমিনারে উপস্থিত জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু বলেন, বঙ্গবন্ধু দূরদর্শী ছিলেন বলেই সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার হাত ধরে।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।