১৯ শে জুলাই-বনশ্রীবাসী যেন এক রণক্ষেত্রের সাক্ষী

প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

বনশ্রী আবাসিক এলাকা হওয়াতে বরাবরই কোনো সংঘাতের ঘটনা শোনা যায় না।সেদিন ও তেমন ই সকাল থেকেই ঠান্ডা পরিবেশ বিরাজমান  থাকলেও দুপুরে জুম্মার নামযের পর পর ই  জনবাসী যেন এক ভিন্ন বনশ্রী দেখতে শুরু করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রতক্ষ্যদর্শী থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলের প্রেক্ষিতে বনশ্রী এ ব্লক এ সেদিন মানুষের ঢল দেখতে পেয়ে তিনিও এগিয়ে যান।পরবর্তীতে উচ্চ আওয়াজ শোনতে পেরে সকলেই সাউন্ড গ্রেনেড ভেবে দাঁড়িয়ে থাকলেও পরে তারা লক্ষ্য করেন যে মিছেলে থাকা মানুষের উদ্দেশ্যে বুলেট ছোড়া হচ্ছিল।অন্যান্য রিপোর্ট থেকে জানা যায়, সেদিন প্রায় বনশ্রী এ ব্লক এ ২০-৩০ জন গুলিবিদ্ধ হন।

পরবর্তীতে এই রণক্ষেত্রের লেলিহান শিখা যেন পুরো বনশ্রীতে ছড়িয়ে  যায়।মেরিদায় এলাকায় পিবিআই অফিসে ভাঙচুর ও আগুন জালিয়ে দেয় ক্ষুব্ধ জনগণরা। রামপুরা থানায় ও চালানো হয় তান্ডব।এইদিকে এলাকাবাসী জানায়,মেরদিয়া রোড এ ১৫-২০ জন কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

বিকালের পরে সেই রাস্তায় আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে ককটেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়া হয়।এতেও পরিবেশ শান্ত না হলে হঠাৎ রাস্তায় দুইজন সাধারণ জনগণের উপর গুলি ছোঁড়া হয়।এর মধ্যে একজন মৃত্যুবরণ করেন এবং আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।এইদিকে এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে সাধারন জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হয় যে এস কে টাওয়ার  বিল্ডিং থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়।এতে কিছু সংখ্যক মানুষ বিল্ডিং এর ভিতর ঢুকেই বিল্ডিং এর ম্যানেজার কে এলোপাথাড়ি মারধর করে।পরবর্তীতে আশে পাশের সকল মানুষ একত্রিত হয়ে বিল্ডিং টিকে ঘেরাও করে ফেলে এবং একটি ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।তারা  বিল্ডিং এ ভাংচুর করে এবং সেইসাথে ফ্ল্যাটে বসবাসকারী মানুষ দের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে। সাধারণ জনগ্ণ দের সাথে কিছু দুর্বৃত্তকারী রাও প্রবেশ করে সেখানে বসবাসরত মানুষ দের সম্পদ লুটপাট করার হুমকি সহ বিল্ডিং এ আগুন লাগিয়ে দেওয়ার হুমকি ও প্রদান করে।সেইখানে বসবাসরত একজন জানান,সেদিন যেন যুদ্ধের রাত নিজের চোখে দেখেছেন তিনি।

পরবর্তীতে রাত ১০ টার দিকে বিজিপি এসে পরিবেশ কে নিয়ন্ত্রণে আনে।