ঢাকার মতিঝিলে শতকোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার

প্রকাশিত: ৮:৪৭ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৪, ২০২৪

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজধানীর মতিঝিলে সার্কুলার রোডে শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ মন্দির বিগ্রহ নামে প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের ৩০ শতাংশ দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধার করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। উদ্ধার করা জমি হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান শনিবার সকালে অভিযানটি পরিচালনা করে দীর্ঘ দিন অবৈধ দখলে থাকা এই সম্পত্তি উদ্ধার করেন। সনাতন ধর্ম মতে, দেব/দেবীর জন্য উৎসর্গ করা সম্পদকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলে। আইন অনুযায়ী দেবোত্তর সম্পত্তি বিক্রি ও ব্যক্তিগতভাবে ভোগ করার কোনো সুযোগ নেই।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, মতিঝিল মৌজার সি.এস ১০/৪৩৩ নং দাগ, এস.এ ২৪২২ নং দাগ ও আর.এস ২২৩৪ দাগের ০.৩৮০০ একর ভূমি এবং সিটি ২৮৭০ নং দাগের ০.২৯৭৪ একর ভূমি সি.এস, এস. এ ও আর.এস রেকর্ডের ধারাবাহিকতায় শ্রী শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ জিউ ঠাকুর ম্যানেজিং সেবাইত সুজিত কুমার বসু, পিং সচিন্দ্র নাথ বসু, সাং ৩নং হরিশ চন্দ্র বাবু স্ট্রীট বাংলা বাজার, ঢাকা এর নামে সর্বশেষ সিটি রেকর্ড রয়েছে। উক্ত দেবোত্তর সম্পত্তি সেবাইতগ্ণ রক্ষণাবেক্ষণ না করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধ স্থাপনা ও দোকানঘর করে দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখল করছে।
মতিঝিল রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদুল হাসান জানান, রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের ৩০ শতাংশ দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করে রেখেছিল। সম্মানিত জেলা প্রশাসক, ঢাকা মহোদয়ের নির্দেশনায় অদ্য উচ্ছেদ করে উক্ত সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়।
সুত্র জানা যায়, নির্মাণাধীন এই ভবন ভেঙে এখানে নতুন মন্দির তৈরি করা হবে। কিছুদিন আগে এখানে আনসার ক্যাম্প ছিল। সেটি সরানোর পর প্রভাবশালী একটি মহল ক্রয়সূত্রে মালিকের ভুয়া কাগজ দেখিয়ে জায়গাটি দখল করে। পরে বিষয়টি মন্দির কমিটির নজরে এলে আবেদন করা হয়। তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় এই উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।
হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই ৩৬ শতাংশ জায়গা অবৈধ দখলদারদের হাতে ছিল। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে আমাদের সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করি। পরে তিনি এসিল্যান্ডের মাধ্যমে তদন্ত করেছেন যে এটি দেবোত্তর সম্পত্তি কি না। তদন্ত শেষে সত্যতা পাওয়ায় তারা এটি হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেন। আমরা এখানে একটি মন্দির নির্মাণ করব। আগেও এখানে মন্দির ছিল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা নির্মল গোস্বামীসহ আরও অনেকে ।