জাতির পিতা ছিলেন দু:খী অন্ত:প্রাণ একজন মানুষ: ড. কলিমউল্লাহ

প্রকাশিত: ৯:০১ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৬, ২০২৪

 

স্টাফ রিপোর্টার :২৫ ই জুন, ২০২৪, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৫৫ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।

সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক ও বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য বাবু রণজিৎ মল্লিক।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা বেগম লাবনী।

বিশেষ অতিথিবৃন্দ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা নাঈমা ফেরদৌস ও পারভীন আক্তার।

সেমিনারে আলোচকবৃন্দ হিসেবে যুক্ত ছিলেন, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার মো: শাকিব হোসেন।

সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা ছিলেন দু:খী অন্ত:প্রাণ একজন মানুষ।

সেমিনারের মুখ্য আলোচক পি এইচ ডি বাবু রণজিৎ মল্লিক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি জাতীয়তাবাদ আন্দোলনকে পরিপূর্ণতা দিয়েছেন। এই আন্দোলনে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন আর এক মহান বাঙালি নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোসের দ্বারা। সেসাথে চিত্তরঞ্জন দাস ও মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের দ্বারাও তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, জাতির পিতা ফরাসি বিপ্লব দ্বারাও অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। যেখানে ৩ টি মর্মবানী ছিলো, আর তা হলো- সাম্য, মৈত্রী ও স্বাধীনতা, যা হলো সমস্ত পৃথিবীর নির্যাতিত মানুষের একটি স্লোগান।

সেমিনারের প্রধান অতিথি সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা বেগম লাবনী বলেন, জাতির পিতা শিক্ষকদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন। জাতির পিতার আত্মজীবনী থেকে জানা যায়, তিনি ছোটবেলায় তার প্রিয় শিক্ষক হামিদুর রহমান স্যার এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত হন। এছাড়াও, তিনি যখন কলকাতায় পড়াশোনা করেন, তখন তার প্রিয় শিক্ষক সাইদুর রহমান স্যার এর দ্বারাও অনুপ্রাণিত হন। জাতির পিতার জীবনে শিক্ষকদের ভুমিকা অসাধারণ।

সেমিনারের বিশেষ অতিথি নাঈমা ফেরদৌস বলেন,
১৯৬৪ সালের কাউন্সিল এর সভায় মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশকে পুরোপুরি সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমান পূর্বের পদ সাধারণ সম্পাদক থেকে যান। জাতির পিতার রাজনৈতিক উত্থান ছিলো ধীরে ধীরে ও বহুবিধ বাস্তব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে।

সেমিনারের বিশেষ অতিথি মিসেস পারভিন আক্তার বলেন, ছোট বেলায় বাবা মা আর দাদীর মুখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নাম শুনেছি। আর আজ, সেমিনারে উপস্থিত হয়ে প্রতিনিয়ত জাতির পিতা সম্পর্কে শুনছি ও সমৃদ্ধ হচ্ছি।

সেমিনারে উপস্থিত বিশিষ্ট গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা শুধু বাংলায় কেন, এই গোটা পৃথিবীতে খুব বেশি নেই যিনি একটা জাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি, দিনের পর দিন লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন স্বাধীনতার জন্য এবং সত্যি সত্যি তিনি সেই দেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন!

জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার জনাব মোঃ
শাকিব হোসেন বলেন , ২৫ জুন ১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এনামুল হকের নেতৃত্বে ৩৪৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী গণভবনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে বাকশালের সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছিলেন।

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।