কুমিল্লার দেবিদ্বারে ১৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে দুই শতাংশ জমিসহ সেমি পাকা ঘর হস্তান্তর।

প্রকাশিত: ৯:০০ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২৩

কুমিল্লা প্রতিনিধি ঃ কুমিল্লার দেবিদ্বারে ১৫০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে দুই শতাংশ জমিসহ সেমি পাকা ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (২২ মার্চ) সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব জমি ও ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মানুষের সঙ্গে যুক্ত হন। সেখানে থাকা উপকার ভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে আয়েজিত দেবিদ্বারে উপকার ভোগীদের ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিগার সুলতানা। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাজমা বেগম, দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধর, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.গোলাম মাওলা, বরকামতা ইউপি চেয়ারম্যান  মো. নুরুল ইসলাম, সুলতানপুর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির, গুনাইঘর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোকবল হোসেন মুকুল, মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ময়নাল হোসেন। উপজেলা সহকারি প্রোগ্রামার বেনজির আহমেদের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী আব্দুল ওয়াহিদ মো. সালেহ,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ভানী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী জালাল উদ্দিন ভূঁইয়া, রাজামেহার ইউপি চেয়ারম্যান মো.জসিম উদ্দিন প্রমুখ। উপকারভোগী শেফালি আক্তার, নিলুফা বেগম, মো. মহসিন বলেন, একটি পাকা ঘর পেয়েছি, স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে। আর্থিকভাবে খুবই কষ্টে দিন পার করতাম। খেয়ে না খেয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে মানুষের বাড়িতে থেকে দিন কাটতে হতো। আজ প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পেয়েছি। এ আনন্দ প্রকাশের ভাষা আমাদের জানা নেই। প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া ছাড়া দেওয়ার কিছুই নেই। ইউএনও নিগার সুলতানা বক্তব্যে বলেন, ‘মুজিবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনায় সারাদেশের মতো এবার  দেবিদ্বার উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে। দেবিদ্বারে ৪র্থ পর্যায়ে ১৫০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। দুই রুমের পাকা টিনসেডের প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ ৮৫ হাজার টাকা। তিনি আরও বলেন, ঘর পাওয়ার পর এর রক্ষণাবেক্ষণ করা আপনাদের সবার দায়িত্ব। ঘরের আশপাশে শাক সবজির বাগান করবেন, হাস-মুরগী, গরু ছাগল পালন করে নিজেরাই স্বাবলম্বী হবেন।