কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী রসমালাই “জিআই” পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন।

প্রকাশিত: ৫:০৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২৩

কুমিল্লা প্রতিনিধি : বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক পন্য বা জিআই পণ্য হিসেবে অনুমোদনের জন্য যে ১৮টি পন্যের আবেদন করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী রসমালাই। গতকাল জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম। আন্তর্জাতিক মেধাসত্ত্ব কর্তৃপক্ষ এই ভোগলিক নিদের্শক বা জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন পণ্যের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। এর আগে জামদানি, ক্ষীরসাপাতি ও ফজলি আম, ইলিশ, কালজিরা ধানসহ ১১ পণ্য বাংলাদেশী জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, কুমিল্লা একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা। কুমিল্লার অনেক কিছুরই সুনাম সারাবিশ^ ব্যাপী রয়েছে। কুমিল্লার রসমালাই, মৃৎশিল্প এবং খাদি কাপড়ের পরিচয় সারা পৃথিবী জোড়া। রসমালাই যেন বাংলাদেশের ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে শিল্পমন্ত্রনালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে। শুনানি শেষে আমরা আশা করি  স্বীকৃতি পাবো। মৃৎশিল্প এবং খাদিকে নিয়েও কাজ চলছে।গতকাল মঙ্গলবার ই-কর্মার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের একটি প্রতিনিধি দল কুমিল্লার থেকে জিআই পণ্য হিসেবে মৃৎশিল্প এবং রসমালাই এর তথ্য ও প্রমাণ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের হাতে তুলে দেন। জেলা প্রশাসক তথ্য যাচাই শেষে ই-কর্মার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের মাধ্যমে এই আবেদন বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রনালয়ের প্যাটেন্ট ডিজাইন এণ্ড ট্রেডমার্ক বিভাগের রেজিষ্ট্রার বরাবর প্রেরণ করেন। এই আনুষ্ঠানিকতায় জেলা প্রশাসনের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক পঙ্কজ বড়ুয়া, এনডিসি কানিজ ফাতেমা, জেলা ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবেদ আলী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তা সাহেব আলী। ই-কমার্স ডেভলপমেন্ট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট কাকলী তালুকদারের নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট নিগার ফাতেমা, কোষাধ্যক্ষ উম্মে সাহারা এনিকা, সদস্য আরজেনা হক সেবতি ও আইরিন আক্তার রিতা।
ই-কমার্স ডেভলপমেন্ট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট কাকলী তালুকদার বলেন, আমরা ১৮টি পণ্যের ডকুমেন্টেশন করে সহায়ক হিসেবে কাজ করছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কুমিল্লার রসমালাই, নাটোরের কাচাগোল্লা, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, সিলেটের মনিপুরী পণ্য, মৌলভীবাজারের আগরসহ বিভিন্ন পণ্যের তথ্য ও প্রমান সংগ্রহ করে আমরা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করছি।