নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে কুমিল্লার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবেঃ ডা:প্রান গোপাল দত্ত এম পি।

প্রকাশিত: ৮:১৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৫, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় কুমিল্লার পিছিয়ে পড়া নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করে কুমিল্লার-৭ চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিসি ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্ত বলেছেন, লেখাপড়ার দিক দিয়ে কুমিল্লা সবসময়ই এগিয়ে ছিল।  স্বাধীনতার পরপর ১৪ জন সচিব ছিলেন কুমিল্লার। আমরা যখন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র ছিলাম তখন ৬ জন শিক্ষক সপ্তাহের ছয়দিন শুধুমাত্র বাংলারই ক্লাস নিতেন। প্রতিটি বিষয়ই এভাবে যত্নসহকারে পড়ানো হতো। এই ভিক্টোরিয়া কলেজের অনেক শিক্ষার্থী দেশের শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত গিয়েছেন। দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করেছেন। কিন্তু বর্তমানে কুমিল্লা কেনো পিছিয়ে যাচ্ছে? কোথাও কি ঘাপলা রয়ে গেছে?
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমাদের ভিক্টোরিয়া কলেজ কি পিছিয়ে যাচ্ছে? জিলা স্কুল, ফয়জুন্নেসা স্কুল কি পিছিয়ে যাচ্ছে?
এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, কুমিল্লার ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে কুমিল্লাকে এগিয়ে নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার-১৫ জুন কুমিল্লা জিলা পরিষদের উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্ত এসব কথা বলেন।
কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সদর আসনের এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ডাক্তার প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি আরো বলেন, লেখা পড়ার কোন বিকল্প নেই। তোমাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। শুধু শিক্ষিত হলেই চলবে না। মনে রাখতে হবে শিক্ষা এবং সুশিক্ষার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। এই বাংলাদেশকে আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে। এ প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।

তিনি বলেন জীবনে বড় হতে হলে পড়ালেখার যেমন বিকল্প নেই তেমনি মা-বাবারও বিকল্প নেই।পিতা-মাতার প্রতি যত্নশীল হতে হবে। বাবা-মাকে কষ্ট দেওয়া যাবে না।  কোনো সু সন্তান মা-বাবাকে কষ্ট দেয় না।