একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকাশিত: ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি : একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে, সোমবার (২১ আগস্ট) রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহবান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, “২১ আগস্ট, দিনের বেলায় আইভি রহমানসহ আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা হয়। বিচার হয়েছে। এর (ট্রায়াল কোর্ট) রায় দেয়া হয়েছে। এই রায় শিগগিরই কার্যকর করা উচিত।” তিনি বলেন, “বিএনপি নেতা তারেক রহমানসহ ১৮ দণ্ডিত ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন। বর্তমানে রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি চলছে উচ্চ আদালতে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “গ্রেনেড হামলা মামলার কিছু সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এখন কারাগারে থাকলেও, মূল হোতা দেশের বাইরে আছেন।” তারেক রহমানের নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “তিনি বন্ডে সই করে বিদেশে গেছেন। সাহস থাকলে সে ফিরে আসে না কেন? আমরা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছি। সে এখন এর সুবিধা নিয়ে বড় বড় কথা বলছে। তার সাহস থাকলে ফিরে আসা উচিত। বাংলাদেশের জনগণ সেই খুনিকে রেহাই দেবে না।”

শেখ হাসিনা আরো বলেন, “খালেদা জিয়া তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং সে সময় তিনি কী ভূমিকা পালন করেছিলেন সেটাই প্রশ্ন।” তিনি প্রশ্ন করেন, “কেন খালেদা জিয়া পুলিশকে সঠিক ভূমিকা পালন করতে বাধা দিয়েছেন এবং কেন হামলার প্রমাণ রক্ষার কোনো উদ্যোগ নেননি। এটা কী প্রমাণ করে?” তিনি বলেন, “এই গ্রেনেড হামলায় খালেদা, তারেক ও তাদের লোকজন যে সম্পূর্ণভাবে জড়িত ছিলো তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তদন্তে তাও বেরিয়ে এসেছে।”

উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে, তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন নিহত এবং প্রায় ১ হাজার মানুষ আহত হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান। তবে বারবার গ্রেনেড বিস্ফোরণে তার শ্রবণশক্তি বিঘ্নিত হয়।

এরই মধ্যে ঢাকার একটি আদালত ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর, ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।