গাইবান্ধায় ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ, কুড়িগ্রামে পানি বন্দী ৭ হাজার পরিবার; আছে নদী ভাঙন।

প্রকাশিত: ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি : দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বাড়ছে; তবে কমছে কুড়িগ্রাম জেলায়। জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় গাইবন্ধা জেলার ৬০টি স্কুলে পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আর, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও জনপদ থেকে জল সরেনি। এই জেলায় এখনো জলবন্দী জীবন যান করছেন ৫ উপজেলার অন্তত ৭ হাজার পরিবারের মানুষ। ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বাড়া-কমার মধ্যেই চলছে ভাঙ্গন। নদী গ্রাস করছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি।

গাইবান্ধায় বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে গাইবান্ধা জেলায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদ সীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে, জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা তীরবর্তী নিচু এলাকা এবং চরাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকায় পানি উঠেছে।

এসব এলাকার ফসলি জমি, আমন বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। নিচু এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে কয়েক হাজার পরিবার দুর্ভোগে পড়েছে। জলমগ্ন হওয়ার কারণে, ১৬৫ চরের ৬০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান জানান, “পানি বৃদ্ধির ফলে কড়াইবাড়ি, খারজানি, পারদিয়ারা ও কুন্দেরপাড়া গ্রামে ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে এসব গ্রামের মানুষ ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।

গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদ বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে, তিস্তার পানি ২৩ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুন্দরগঞ্জ, সদর, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য ৭৫ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।