গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ওয়াশিংটনে লাখো মানুষের বিক্ষোভ ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৮:৫৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২৩ গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনের সমর্থকরা। ছবি : এপি নিজস্ব প্রতিবেদক ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে ওয়াশিংটন ডিসি, লন্ডন, বার্লিন, প্যারিস, ইতালিসহ ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। গত শনিবার (৪ নভেম্বর) গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলকে মার্কিন সহায়তা বন্ধ করার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বৃহত্তর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিক্ষোভকারীরা দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘বাইডেন, বাইডেন, আপনি লুকাতে পারবেন না; আমরা আপনাকে গণহত্যার অভিযুক্ত করব।’ সমাবেশে অংশ নেওয়া নাদা বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ কোরো। বোমানিক্ষেপ বন্ধ কোরো। গাজায় গণহত্যা বন্ধ কোরো। এটিই সবার প্রতি আমাদের প্রথম বার্তা। আমি আশা করব, সরকার আমাদের কথা শুনবে। আমি আশা করব, গাজা, ফিলিস্তিনে থাকা আমাদের মানুষগুলো জানবে যে তারা একা নন, আমরাও তাদের সঙ্গে রয়েছি।’ ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সময় নিজ বাড়ি উচ্ছেদ হওয়া সিহাম আলফ্রেড অংশ নেন এ মিছিলে। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘তাদের জন্য লজ্জা। তারা বর্ণবাদী। তারা বিশ্বাস করে না যে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলিদের সমান। আমি বাইডেনকে কখনো ভোট দেব না। সে কাপুরুষ ও অপরাধী।’ ফ্লেরিডা থেকে ওয়াশিংটন ডিসির সমাবেশে অংশ নেওয়া হুদা আল-কুরদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘৭০ বছর পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরা তাদের স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি। আমাদের কথা শোনার এখনই সময়। এ অন্যায়ের কথা আমরা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছি।’ এদিকে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড সার্কাস ও পিকাডিলি সার্কাসে বিশাল বিশাল সভা ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে প্ল্যাকার্ড হাতে এ বিক্ষোভে অংশ নেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। তাদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চাই, এখনই যুদ্ধবিরতি, আমরা সবাই ফিলিস্তিনিসহ নানা ধরনের স্লোগান। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যাকায় ইসরায়েল নৃশংস হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। এতে অর্ধেকের বেশি শিশু ও নারীসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা গেলেও দখলদার ইসরায়েলকে ১৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ যুদ্ধ সহায়তা হিসেবে দেওয়ার কথা জানায় বাইডেন প্রশাসন। অবশ্য অবিরত বোমাবর্ষণের মাধ্যমে গাজায় গণহত্যার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। জাতিসংঘের জেনোসাইড কনভেনশনে গণহত্যার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘কোনো জাতি, গোষ্ঠী বা ধর্মীয় সম্প্রদায়কে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত কাজ; যার মধ্যে হত্যা ও জন্ম প্রতিরোধ ব্যবস্থা অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।’ সূত্র : আলজাজিরা SHARES ইসলাম বিষয়: #গাজাওয়াশিংটনযুদ্ধ বন্ধ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে ওয়াশিংটন ডিসি, লন্ডন, বার্লিন, প্যারিস, ইতালিসহ ইউরোপজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। গত শনিবার (৪ নভেম্বর) গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলকে মার্কিন সহায়তা বন্ধ করার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বৃহত্তর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিক্ষোভকারীরা দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডের উদ্দেশে বলতে থাকেন, ‘বাইডেন, বাইডেন, আপনি লুকাতে পারবেন না; আমরা আপনাকে গণহত্যার অভিযুক্ত করব।’ সমাবেশে অংশ নেওয়া নাদা বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ কোরো।
বোমানিক্ষেপ বন্ধ কোরো। গাজায় গণহত্যা বন্ধ কোরো। এটিই সবার প্রতি আমাদের প্রথম বার্তা। আমি আশা করব, সরকার আমাদের কথা শুনবে।
আমি আশা করব, গাজা, ফিলিস্তিনে থাকা আমাদের মানুষগুলো জানবে যে তারা একা নন, আমরাও তাদের সঙ্গে রয়েছি।’ ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সময় নিজ বাড়ি উচ্ছেদ হওয়া সিহাম আলফ্রেড অংশ নেন এ মিছিলে। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘তাদের জন্য লজ্জা। তারা বর্ণবাদী।
তারা বিশ্বাস করে না যে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলিদের সমান। আমি বাইডেনকে কখনো ভোট দেব না। সে কাপুরুষ ও অপরাধী।’ ফ্লেরিডা থেকে ওয়াশিংটন ডিসির সমাবেশে অংশ নেওয়া হুদা আল-কুরদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘৭০ বছর পর্যন্ত ফিলিস্তিনিরা তাদের স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি। আমাদের কথা শোনার এখনই সময়।
এ অন্যায়ের কথা আমরা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছি।’ এদিকে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড সার্কাস ও পিকাডিলি সার্কাসে বিশাল বিশাল সভা ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে প্ল্যাকার্ড হাতে এ বিক্ষোভে অংশ নেন অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। তাদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা চাই, এখনই যুদ্ধবিরতি, আমরা সবাই ফিলিস্তিনিসহ নানা ধরনের স্লোগান। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যাকায় ইসরায়েল নৃশংস হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। এতে অর্ধেকের বেশি শিশু ও নারীসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা গেলেও দখলদার ইসরায়েলকে ১৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ যুদ্ধ সহায়তা হিসেবে দেওয়ার কথা জানায় বাইডেন প্রশাসন। অবশ্য অবিরত বোমাবর্ষণের মাধ্যমে গাজায় গণহত্যার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির ব্যাপারে সতর্ক করেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা। জাতিসংঘের জেনোসাইড কনভেনশনে গণহত্যার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘কোনো জাতি, গোষ্ঠী বা ধর্মীয় সম্প্রদায়কে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত কাজ; যার মধ্যে হত্যা ও জন্ম প্রতিরোধ ব্যবস্থা অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।’ সূত্র : আলজাজিরা