অচল ব্র্যান্ডের বাংলাদেশ ক্রিকেট ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:৫০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৩ নাজমুলের এই ছবিটি যেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলের পারফরম্যান্সের প্রতীকী। ছবি : মীর ফরিদ, পুনে থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি মুখে বড় ইনিংস খেলার প্রতিশ্রুতি শোনা গেলেও এর বাস্তবায়ন এবার তেমন দেখাই যায়নি। সাকিব আল হাসানের জায়গায় এই আসরের দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্তও এখন আর মুখে সেই কথার খই ফোটাতে চান না। তিনি সত্যি সত্যিই তা করে দেখাতে চান, ‘আমরা বারবারই মুখে বলি, তবে এখন এটি করে দেখানোটা গুরুত্বপূর্ণ।’ এই বিশ্বকাপে তা আর করে দেখানোর সুযোগ নেই। অস্ট্রেলিয়ার কাছে আরেকটি বড় হারে বিশ্বকাপ শেষ করা এই বাঁহাতি ব্যাটার তাকাচ্ছেন সামনে। কাজে লাগাতে চান এই বিশ্বকাপ থেকে নিয়ে যাওয়া শিক্ষা। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে উইকেট ছিল রীতিমতো ব্যাটিং স্বর্গ। এখানে প্রথম সাত ব্যাটারই ভালো শুরু পেয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে তাওহিদ হৃদয় ফিফটি করলেও নিজের ইনিংসটি সেঞ্চুরিতে নিয়ে যেতে পারেননি। অন্যদের অবস্থা না বললেও চলছে। ম্যাচের পর নতুন করে পুরনো আক্ষেপও তাই করতে হলো নাজমুলকে, ‘ওপরের দিকে কেউ সেঞ্চুরি করলে অবশ্যই ভালো হতো। তানজিদ থেকে শুরু করে লিটন ভাই এবং আমি ভালো শুরু পেয়েছিলাম। আমরা সবাই যে ম্যাচগুলোতে ভালো শুরু করেছিলাম, সেগুলো বড় ইনিংস হয়নি।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও না হওয়ায় বাংলাদেশকে দারুণ ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে থেমে যেতে হয় ৩০৬ রানে। অথচ ওয়ানডে ক্রিকেটের বর্তমান ট্রেন্ডই হলো এ রকম উইকেটে অন্তত সাড়ে ৩০০ রান করার। আগে ব্যাটিং করলে অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের পক্ষে ৪০০ করে ফেলাও অসম্ভব নয়। এই যখন বাস্তবতা, তখন চলতি ঘরানার চেয়ে অনেকখানি পিছিয়ে থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফিরছে কি না, এমন প্রশ্নও হলো। নাজমুল ইনিয়েবিনিয়ে অনেক কথার শেষে যা বললেন, তাতে সেটি একরকম মেনে নিলেন। শুরুতে বলছিলেন, ‘দেখুন, এ রকম বোলিংয়ের বিপক্ষে আজ আমরা ৩০০ করেছি। রান আউট দুটি যদি না হতো বা মাঝখানে আরেকটি বড় জুটি হতো, তাহলে হয়তো ওখান থেকে আমরা সাড়ে তিন শই করতাম। তবে এ রকম মানসম্পন্ন বোলিংয়ের বিপক্ষে ৩০০ করাও কম নয়।’ জেতার জন্য যে কম, সেটিও পরে মানলেন, ‘কিন্তু এটিও সত্যি যে আমরা যত ভালো উইকেটে খেলব, আমার মনে হয় আমাদের ওই অভ্যাসটি দরকার। আমরা জানি যে কিভাবে ২৬০ রান করতে হয়। (এখান থেকে) আমরা কিভাবে ৩০০ করতে পারি, ওই অভ্যাসটি যদি আমাদের তৈরি হয়, দেখা যাবে আমরা ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ রানই করছি।’ অর্থাৎ বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ঘাটতির জায়গাটা ২৬০ রান থেকে ৩০০ পর্যন্ত পৌঁছনোর মধ্যেই। এটি পূরণ করার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উদ্যোগের দিকেও তাকিয়ে থাকলেন তিনি, ‘সবাই তো দেখলাম, আমরা কী অবস্থায় আছি। আমরা যত খারাপ ব্যাটিং করেছি, তত খারাপ দল নই। তবে এটিও আশা করব যে সামনে যখন আমরা সাদা বলের সংস্করণে খেলব, সেটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি হোক, উইকেট যেন ভালো এবং স্পোর্টিং হয়। সে ক্ষেত্রে বোলাররাও উন্নতি করতে পারবে। ভালো উইকেটে ৩০০ রান কিভাবে ডিফেন্ড করতে হয়, সেটি শিখবে। আমি নিশ্চিত ক্রিকেট বোর্ডও বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছে। আশা করছি, তারা সামনে ও রকম উইকেটেই আমাদের খেলার ব্যবস্থা করে দেবে।’ দলের ব্যাটিং অর্ডার ওলটপালট করাও যে এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে যায়নি, শেষে এসে সেটিও এক পর্যায়ে স্বীকার করে নিলেন নাজমুল। এত দিন ধরে হেড কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহে, নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব এবং তিনি নিজে যা যা বলে আসছিলেন, শুরুতে তা-ই বলতে চাইলেন, ‘ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোনো খেলোয়াড়ের কোনো অভিযোগ ছিল না। যে যেখানে ব্যাটিং করেছে, খুশিই ছিল।’ কিন্তু তাতে তো সুফল মেলেনি। তা নিয়েই আরেক জিজ্ঞাসার জবাবে বিশ্বকাপের শেষে এমন উপসংহার টানলেন নাজমুল, ‘এ রকম (ব্যাটিং অর্ডার ওলটপালট) যত কম করা যায়, তত ভালো। এই বিশ্বকাপে একটু বেশিই করা হয়েছে। না করলে আরো ভালো হতো।’ SHARES খেলাধুলা বিষয়: ক্রিকেটবাংলাদেশ
মুখে বড় ইনিংস খেলার প্রতিশ্রুতি শোনা গেলেও এর বাস্তবায়ন এবার তেমন দেখাই যায়নি। সাকিব আল হাসানের জায়গায় এই আসরের দুই ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্তও এখন আর মুখে সেই কথার খই ফোটাতে চান না। তিনি সত্যি সত্যিই তা করে দেখাতে চান, ‘আমরা বারবারই মুখে বলি, তবে এখন এটি করে দেখানোটা গুরুত্বপূর্ণ।’ এই বিশ্বকাপে তা আর করে দেখানোর সুযোগ নেই।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে আরেকটি বড় হারে বিশ্বকাপ শেষ করা এই বাঁহাতি ব্যাটার তাকাচ্ছেন সামনে। কাজে লাগাতে চান এই বিশ্বকাপ থেকে নিয়ে যাওয়া শিক্ষা। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ) স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে উইকেট ছিল রীতিমতো ব্যাটিং স্বর্গ। এখানে প্রথম সাত ব্যাটারই ভালো শুরু পেয়েছিলেন।
তাঁদের মধ্যে তাওহিদ হৃদয় ফিফটি করলেও নিজের ইনিংসটি সেঞ্চুরিতে নিয়ে যেতে পারেননি। অন্যদের অবস্থা না বললেও চলছে। ম্যাচের পর নতুন করে পুরনো আক্ষেপও তাই করতে হলো নাজমুলকে, ‘ওপরের দিকে কেউ সেঞ্চুরি করলে অবশ্যই ভালো হতো। তানজিদ থেকে শুরু করে লিটন ভাই এবং আমি ভালো শুরু পেয়েছিলাম।
আমরা সবাই যে ম্যাচগুলোতে ভালো শুরু করেছিলাম, সেগুলো বড় ইনিংস হয়নি।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও না হওয়ায় বাংলাদেশকে দারুণ ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে থেমে যেতে হয় ৩০৬ রানে। অথচ ওয়ানডে ক্রিকেটের বর্তমান ট্রেন্ডই হলো এ রকম উইকেটে অন্তত সাড়ে ৩০০ রান করার। আগে ব্যাটিং করলে অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলের পক্ষে ৪০০ করে ফেলাও অসম্ভব নয়। এই যখন বাস্তবতা, তখন চলতি ঘরানার চেয়ে অনেকখানি পিছিয়ে থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফিরছে কি না, এমন প্রশ্নও হলো।
নাজমুল ইনিয়েবিনিয়ে অনেক কথার শেষে যা বললেন, তাতে সেটি একরকম মেনে নিলেন। শুরুতে বলছিলেন, ‘দেখুন, এ রকম বোলিংয়ের বিপক্ষে আজ আমরা ৩০০ করেছি। রান আউট দুটি যদি না হতো বা মাঝখানে আরেকটি বড় জুটি হতো, তাহলে হয়তো ওখান থেকে আমরা সাড়ে তিন শই করতাম। তবে এ রকম মানসম্পন্ন বোলিংয়ের বিপক্ষে ৩০০ করাও কম নয়।’ জেতার জন্য যে কম, সেটিও পরে মানলেন, ‘কিন্তু এটিও সত্যি যে আমরা যত ভালো উইকেটে খেলব, আমার মনে হয় আমাদের ওই অভ্যাসটি দরকার। আমরা জানি যে কিভাবে ২৬০ রান করতে হয়। (এখান থেকে) আমরা কিভাবে ৩০০ করতে পারি, ওই অভ্যাসটি যদি আমাদের তৈরি হয়, দেখা যাবে আমরা ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ রানই করছি।’ অর্থাৎ বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ঘাটতির জায়গাটা ২৬০ রান থেকে ৩০০ পর্যন্ত পৌঁছনোর মধ্যেই। এটি পূরণ করার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উদ্যোগের দিকেও তাকিয়ে থাকলেন তিনি, ‘সবাই তো দেখলাম, আমরা কী অবস্থায় আছি। আমরা যত খারাপ ব্যাটিং করেছি, তত খারাপ দল নই। তবে এটিও আশা করব যে সামনে যখন আমরা সাদা বলের সংস্করণে খেলব, সেটি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি হোক, উইকেট যেন ভালো এবং স্পোর্টিং হয়। সে ক্ষেত্রে বোলাররাও উন্নতি করতে পারবে। ভালো উইকেটে ৩০০ রান কিভাবে ডিফেন্ড করতে হয়, সেটি শিখবে। আমি নিশ্চিত ক্রিকেট বোর্ডও বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছে। আশা করছি, তারা সামনে ও রকম উইকেটেই আমাদের খেলার ব্যবস্থা করে দেবে।’ দলের ব্যাটিং অর্ডার ওলটপালট করাও যে এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে যায়নি, শেষে এসে সেটিও এক পর্যায়ে স্বীকার করে নিলেন নাজমুল। এত দিন ধরে হেড কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহে, নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব এবং তিনি নিজে যা যা বলে আসছিলেন, শুরুতে তা-ই বলতে চাইলেন, ‘ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোনো খেলোয়াড়ের কোনো অভিযোগ ছিল না। যে যেখানে ব্যাটিং করেছে, খুশিই ছিল।’ কিন্তু তাতে তো সুফল মেলেনি। তা নিয়েই আরেক জিজ্ঞাসার জবাবে বিশ্বকাপের শেষে এমন উপসংহার টানলেন নাজমুল, ‘এ রকম (ব্যাটিং অর্ডার ওলটপালট) যত কম করা যায়, তত ভালো। এই বিশ্বকাপে একটু বেশিই করা হয়েছে। না করলে আরো ভালো হতো।’