ট্রাভিস হেডের যে জীবন স্বপ্নের ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:৫৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২৩ ম্যাচসেরা ট্রাভিস হেড। ছবি : মীর ফরিদ, আহমেদাবাদ থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি স্বপ্নের জীবন ঠিক কেমন হয়? আদতে হয় নাকি? ট্রাভিস হেডের জীবনের দিকে তাকালে সবকিছু আপনার কাছে স্বপ্নের মতোই মনে হবে। চোটের কারণে বিশ্বকাপের প্রথম ৫ ম্যাচে দলের সঙ্গে ছিলেন না। কিন্তু তাঁকে স্কোয়াডে বয়ে বেড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কেন অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচকেরা সেটা করেছিলেন, এতক্ষণে আপনি জেনে গেছেন। পাঁচ ম্যাচ পর ফিরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেললেন ৬৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস। ম্যাচ সেরাও হন। আজ শেষটাও করলেন সেঞ্চুরি দিয়ে। ১২০ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস, তাতে ভারতের হৃদয় ভেঙে রেকর্ড ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। স্বাভাবিকভাবে ম্যাচ সেরা হেড। সেমিফাইনালে তাঁর কাঁধে চড়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁধা পেরিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলা প্রোটিয়াদের গতি রোধ করেছেন পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার ২১২ রানে আটকে রাখতে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখলেন। ২১৩ রানের ট্রিকি চেজে ওপেনিংয়ে করলেন ৪৮ বলে ৬২ রান। ম্যাচ সেরা হেড। মহিন্দর অমরনাথ, অরবিন্দ ডি সিলভা, শেন ওয়ার্নের পরে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন হেড। শুধু কি এই? ট্রাভিস হেডের স্বপ্নের জীবনের আরো একটু গুণকীর্তন করা যাক। দেশের মাঠে তাঁর অ্যাশেজ অভিষেক হয়েছিল অনবদ্য এক সেঞ্চুরিতে। ১৪৮ বলে ১৫২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি। এবার আসা যাক গত জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। প্রতিপক্ষ আজকের মতোই ভারত। প্রথম ইনিংসে হেড খেললেন ১৭৪ বলে বলে ১৬৩ রানের ইনিংস। সেটাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিল। অস্ট্রেলিয়াও জিতল শিরোপা। হেড হলেন ম্যাচ সেরা। আজ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শকের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যে ইনিংসটা খেললেন, হেডের জীবনকে স্বপ্নের বলবেন না তো আর কোনটাকে বলবেন! ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলে অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে মারনাশ লাবুশেনকে দিয়ে একার হাতে ম্যাচ জিতেয়েছেন। ম্যাচ শেষে জানালেন স্নায়ু চাপ পেয়ে বসেছিলে তাঁকেও, ‘একটু নার্ভাস তো লাগছিলই। তবে মার্নাস (লাবুশানে) দুর্দান্ত খেলেছে, চাপ শুষে নিয়েছিল। তবে আমার মনে হয় মিচ (মার্শ) অল্প সময় ব্যাটিং করলেও ম্যাচের টোন সেট করে দিয়েছিল। এই এনার্জিটাই আমরা চাচ্ছিলাম।’ টস জেতাটা অনেক বড় ফ্যাক্টর ছিল। হেডও জানালেন সেটাই, ‘টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তটা দুর্দান্ত ছিল। ম্যাচ যত গড়িয়েছে, উইকেট তত ভাল হয়েছে।’ স্বপ্নের জীবন তো এমনই হয়! SHARES খেলাধুলা বিষয়: জীবনট্রাভিস হেডস্বপ্ন
স্বপ্নের জীবন ঠিক কেমন হয়? আদতে হয় নাকি? ট্রাভিস হেডের জীবনের দিকে তাকালে সবকিছু আপনার কাছে স্বপ্নের মতোই মনে হবে। চোটের কারণে বিশ্বকাপের প্রথম ৫ ম্যাচে দলের সঙ্গে ছিলেন না। কিন্তু তাঁকে স্কোয়াডে বয়ে বেড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কেন অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচকেরা সেটা করেছিলেন, এতক্ষণে আপনি জেনে গেছেন।
পাঁচ ম্যাচ পর ফিরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেললেন ৬৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস। ম্যাচ সেরাও হন। আজ শেষটাও করলেন সেঞ্চুরি দিয়ে। ১২০ বলে ১৩৭ রানের ইনিংস, তাতে ভারতের হৃদয় ভেঙে রেকর্ড ষষ্ঠবার বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া।
স্বাভাবিকভাবে ম্যাচ সেরা হেড। সেমিফাইনালে তাঁর কাঁধে চড়েই দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁধা পেরিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলা প্রোটিয়াদের গতি রোধ করেছেন পরপর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার ২১২ রানে আটকে রাখতে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখলেন।
২১৩ রানের ট্রিকি চেজে ওপেনিংয়ে করলেন ৪৮ বলে ৬২ রান। ম্যাচ সেরা হেড। মহিন্দর অমরনাথ, অরবিন্দ ডি সিলভা, শেন ওয়ার্নের পরে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন হেড। শুধু কি এই? ট্রাভিস হেডের স্বপ্নের জীবনের আরো একটু গুণকীর্তন করা যাক। দেশের মাঠে তাঁর অ্যাশেজ অভিষেক হয়েছিল অনবদ্য এক সেঞ্চুরিতে।
১৪৮ বলে ১৫২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জিতেছিলেন তিনি। এবার আসা যাক গত জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। প্রতিপক্ষ আজকের মতোই ভারত। প্রথম ইনিংসে হেড খেললেন ১৭৪ বলে বলে ১৬৩ রানের ইনিংস। সেটাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিল। অস্ট্রেলিয়াও জিতল শিরোপা। হেড হলেন ম্যাচ সেরা। আজ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শকের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যে ইনিংসটা খেললেন, হেডের জীবনকে স্বপ্নের বলবেন না তো আর কোনটাকে বলবেন! ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলে অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে মারনাশ লাবুশেনকে দিয়ে একার হাতে ম্যাচ জিতেয়েছেন। ম্যাচ শেষে জানালেন স্নায়ু চাপ পেয়ে বসেছিলে তাঁকেও, ‘একটু নার্ভাস তো লাগছিলই। তবে মার্নাস (লাবুশানে) দুর্দান্ত খেলেছে, চাপ শুষে নিয়েছিল। তবে আমার মনে হয় মিচ (মার্শ) অল্প সময় ব্যাটিং করলেও ম্যাচের টোন সেট করে দিয়েছিল। এই এনার্জিটাই আমরা চাচ্ছিলাম।’ টস জেতাটা অনেক বড় ফ্যাক্টর ছিল। হেডও জানালেন সেটাই, ‘টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তটা দুর্দান্ত ছিল। ম্যাচ যত গড়িয়েছে, উইকেট তত ভাল হয়েছে।’ স্বপ্নের জীবন তো এমনই হয়!