ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্যতালিকা যেভাবে সাজাবেন

প্রকাশিত: ১১:৫৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২৩
প্রাকৃতিকভাবে সব ফল এবং সবজিতেই ফাইবার রয়েছে

নিজস্ব প্রতিনিধি

কেবল ক্ষুধা মেটানোর জন্যই কি খাওয়া লাগে আমাদের? এমনটা নিশ্চয়ই নয়। বরং পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদানেরও প্রয়োজন রয়েছে সুস্থতার জন্য। অন্যদিকে শারীরিক নানা সমস্যার প্রতিকারের জন্যও সঠিক খাদ্যভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন। অনেকেই হজমের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্যসহ অন্ত্রের নানা সমস্যায় ভোগেন।

এ সমস্যাগুলোর প্রতিকার হিসেবে প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করার কথা বলা হয়ে থাকে।  মূলত দু ধরনের ফাইবার রয়েছে। একটি দ্রবণীয় ফাইবার এবং অন্যটি অদ্রবণীয় ফাইবার। ফাইবারকে খাদ্যতালিকায় যুক্ত করতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন-
ফল এবং সবজিকে নিত্যকার অভ্যাসে রূপ দিন
প্রাকৃতিকভাবে সব ফল এবং সবজিতেই ফাইবার রয়েছে।
দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে তাই ফল এবং সবজীকে রাখুন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে প্রতিটি খাবারের আগে একটি আপেল খাওয়ার ভীষণ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। কেবল আপেলই নয়, খাওয়ার আগে যেকোন ফলই উপকারিতা বয়ে আনবে। তাই এখন থেকে খাদ্যতালিকায় দিনে অন্তত একটা ফল যুক্ত করুন।
ঋতুতে যা আছে তা খান
যখন যে ঋতু সে অনুসারে ফল,শাকসবজী খাওয়ার মাধ্যমে অন্ত্রের নানা সমস্যাকে মোকাবিলা করতে পারবেন সহজেই। ঋতুভেদে খাবারেও বৈচিত্র্য আনুন। অর্থাৎ যে ঋতুতে যে ফল বা সবজী সহজলভ্য তাই গ্রহণ করুন। মৌসুমী ফল কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই দুর্দান্ত নয়, সেসঙ্গে স্বাদেও অতুলনীয় হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবারকে বাদ দিন
প্রক্রিয়াজাত খাবারে গোটা শস্য বা গোটা গম থাকে না।
তাই এসবে ফাইবার কম থাকে। এর মধ্যে রয়েছে সাদা আটার রুটি, নুডুলস, পাস্তার মত খাবার। এমনকি ফলের রস বা জুস করে খাওয়াও এক অর্থে প্রক্রিয়াজাত করা হয়, কারণ এটি খাবার থেকে অদ্রবণীয় ফাইবার সরিয়ে দেয়। ফলস্বরূপ ফাইবারের গুণাবলী হারিয়ে যায়। চেষ্টা করুন প্রক্রিয়াজাত খাবারকে বাদ দিতে পরিবর্তে শস্য জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করতে। 

সূত্র: হেলথলাইন