ত্বকের যত্নে সিরাম

প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
ত্বকের যত্নে সিরাম

নিজস্ব প্রতিনিধি

ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ুক কেও চান না। এ জন্য বয়স ধরে রাখতে চান। নিয়মিত সুষম খাবার খাওয়া, শরীরচর্চা করা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মাধ্যমে বার্ধক্যের থেকে দূরে থাকা যায়। পাশাপাশি ত্বকের যত্নে সিরাম ব্যবহার করলে আরো ভালো ফল পাওয়া যায়।

নিয়মিত সিরাম ব্যবহার শুধু ত্বকে বয়সের ছাপই লুকায় না; ত্বকের জেল্লাও বাড়িয়ে দেয়। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ক্রিম ও ময়েশ্চারাইজারের চেয়েও অনেক সময় ভালো কাজ করে ফেস সিরাম। হালকা হওয়ায় সহজে ত্বক শুষে নেয় এবং দ্রুত ত্বকের গভীরে পৌঁছে যায়।

আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত সমস্যা থেকেও সুরক্ষা দেয় সিরাম। 

ব্র্যান্ড শপগুলোতে নানা ধরনের ফেস সিরাম পাওয়া যায়। এন্টি এজিং, তৈলাক্ত ত্বক, শুষ্ক ত্বক, স্বাভাবিক ত্বক উপযোগী সিরাম থেকে পছন্দমতো বেছে নিতে পারবেন। ত্বকে থাকা অবাঞ্ছিত দাগ, ব্রণ, ফুসকুড়িও দূর করার ফেস সিরামও পাওয়া যাবে।

 

এতে থাকা স্যালিসিলিক এসিডের কারণে সহজেই ব্রণের বিরুদ্ধে কাজ করে। ত্বকের গভীরে পৌঁছে ভেতর থেকে লোমকূপের ছিদ্র খুলে দেয়। ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস এবং ব্রণের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। একেক উপাদানে তৈরি সিরাম ত্বকে একেক উপকার এনে দেয়। খাঁটি সোনায় সমৃদ্ধ ফেস সিরাম ত্বকে এনে দেবে উজ্জ্বল আভা।

এতে থাকা চন্দন, জাফরান. অশ্বগন্ধার নির্যাস বার্ধক্যের লক্ষণ কমিয়ে দেয়, দাগ দূর করে, ত্বকে এনে দেয় সতেজ লাবণ্য। 

ত্বকের ধরন বুঝে সিরাম ব্যবহার করতে হবে। বাজারে শুষ্ক, তৈলাক্ত ও স্বাভাবিক ত্বক উপযোগী সিরাম পাওয়া যায়। সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও রয়েছে বিশেষ ধরনের সিরাম। সিরামের মধ্যে নানা রাসায়নিক ও আয়ুর্বেদিক উপাদান থাকে এ  এজন্য বয়স বুঝে সিরাম ব্যবহার করা ভালো। ২০ বছর বয়স পর্যন্ত ত্বকে কোনো সমস্যা না থাকলে কোনো প্রকার সিরাম ব্যবহার না করাই ভালো। অল্প বয়সে ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে এন্টি একনে সিরাম ব্যবহার করতে পারেন।

বাজার থেকে ত্বকের সঙ্গে মানানসই যেকোনো ফেস সিরাম কিনে ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে বাড়িতে ফেস সিরাম বানিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। যাদের ত্বকে এরই মধ্যে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করেছে তারা এন্টি ফেস সিরামে উপকার পাবেন। এক চা চামচ গোলাপজল, এক চা চামচ জোজোবা তেল, ১০ ফোঁটা ভিটামিন- ই অয়েল ও এক চা চামচ ল্যাভেন্ডার তেল একটি কাচের বোতলে নিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। তৈরি এন্টি এজিং সিরাম। প্রতিবার ব্যবহারের আগে বোতলটি ঝাঁকিয়ে নিন। ড্রপারের সাহায্যে ত্বকে ব্যবহার করুন। এতে থাকা বিভিন্ন গুণাগুণ ক্ষতিকর চাপ, বলিরেখা ও বার্ধক্যজনিত লক্ষণ থেকে ত্বক রক্ষা করবে। তারুণ্য ধরে রাখবে। ত্বকে এনে দেবে নরম ও কোমল অনুভূতি।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এক চা চামচ অলিভ অয়েল, এক চা চামচ জোজোবা তেল ও কয়েক ফোঁটা লেমন এসেনশিয়াল তেল একটি কাচের বোতলে ভরে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। ড্রপারের সাহায্যে ত্বকে ব্যবহার করুন। এক সপ্তাহের মধ্যে ত্বকের জেল্লা ফিরবে।

প্রতিবার সিরাম ব্যবহারের পূর্বে মুখ ও ত্বক ভালো করে ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে নিন। নইলে ত্বকে সংক্রমণ হতে পারে। সারা দিনে একবার সিরাম ব্যবহার করাই ভালো। খুব বেশি পরিমাণ সিরাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ড্রপারের সাহায্যে কয়েক ফোঁটা সিরামই সারা দিনে ত্বকের জন্য যথেষ্ট। সিরাম কেনার আগে প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ আছে কি না খেয়াল করুন।