হঠাৎ কানে ব্যথা হলে যা করব

প্রকাশিত: ৮:৪৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩
ঘরোয়া উপায়ে সারা যায় কানের ব্যথা।

নিজস্ব প্রতিনিধি

কানে হঠাৎ করেই ব্যথা। বিশেষ করে শীতকালে এ ব্যথা প্রবল হয়ে ওঠে। জীবন যায় যায় এমন পরিস্থিতিতে কমবেশি সবাইকেই জীবনে একবার না একবার পড়তে হয়েছে! অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ পেইনকিলারে কানের ব্যথা যেতে চায় না। কানে ব্যথা হয় সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে।

পুরনো সর্দি-কাশি থেকেও কানে ব্যথা হতে পারে। আবার গোসল করতে গিয়ে কানে পানি ঢুকে গিয়েও ব্যথা হতে পারে। কানে ব্যথা কমাতে হলে আগে সংক্রমণ কমাতে হবে এবং তেমন সংক্রমণ হলে অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া উপায় নেই, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। তবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন তৎক্ষণাৎ ব্যথা কমাতে, জেনে নিন সেসব- 

গরম সেঁক

কানে গরম সেঁক নিলে প্রবল ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।

কান থেকে পুঁজ বেরোতে দেখলে গরম সেঁক নিন। তাতে কানের ভেতরে জমে থাকা পুঁজ বেরিয়ে যাবে, ব্যথার বোধও কম হবে। গরম পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিংড়ে নিন। তারপর যে কানে ব্যথা, তার ওপর ভেজা কাপড়টা দিয়ে মিনিট দুই রাখুন।
তারপর মাথা অন্যদিকে কাত করে পুঁজটা বেরিয়ে যেতে দিন। 

ভিনেগার

ভিনেগারের এসিড কানের সংক্রমণ কমাতে পারে। সমপরিমাণে সাদা ভিনেগার আর রাবিং অ্যালকোহল নিন একটা পাত্রে। ড্রপার দিয়ে সংক্রমিত কানে দু-তিন ফোঁটা দিন। পাঁচ মিনিট ওভাবেই শুয়ে থাকুন, তারপর আগের মতোই মাথা অন্যদিকে কাত করে তরলটা কান থেকে বের করে দিন।

কান শুকনো রাখুন

গোসলের সময় কানে যেন পানি ঢুকতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতেই হবে। গোসল করতে যাওয়ার আগে কানে পেট্রোলিয়াম জেলি মাখানো তুলা গুঁজে নিন।

কান খোঁচাবেন না

কানে ব্যথা হলে আমাদের প্রথম প্রবণতাই হয় খোঁচাখুঁচি করার। তাতে সংক্রমণ আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কানে কোনোরকম ইয়ারবাড, দেশলাই কাঠি, সেফটিপিন জাতীয় জিনিস ঢোকাবেন না, তাতে সমস্যা আরো জটিল হতে বাধ্য!

রসুনের তেল

অল্প অলিভ অয়েলে এক কোয়া রসুন অল্প থেঁতো করে গরম করুন। তেল গরম হলে ছেঁকে নিয়ে তা সংক্রমিত কানে দু-তিন ফোঁটা দিন। বারকয়েক এমন করলে একটু আরাম পাবেন।

নিমের রস

নিমপাতা ভালো করে ধুয়ে থেঁতো করে নিন। নিমপাতার এই রসটা কানে দিতে পারেন। অথবা নিমের তেলে তুলো ভিজিয়ে নিংড়ে কানে কয়েক মিনিট দিয়ে রাখুন। নিমে ব্যথা কমানোর গুণ রয়েছে, যা কান ব্যথায়ও ফল দেয়।

মনে রাখুন

আপনার কানে যদি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটে থাকে, তাহলে এখানে দেওয়া টোটকাগুলো আপনাকে সাময়িক আরাম দেবে ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে। কিন্তু তা পুরোদস্তুর চিকিৎসার বিকল্প নয়। তাই ব্যথা সাময়িক কমে গেলেও অবশ্যই ডাক্তার দেখিয়ে নিতে ভুলবেন না।

সূত্র : ফেমিনা