যাপিত জীবনে যেসব পরিবর্তন ভালো ঘুমের সহায়ক, জেনে নিন

প্রকাশিত: ১:২০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
সুস্থ থাকতে রাতে ভালো ঘুম হওয়া খুবই জরুরি। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিনিধি

অনেকেই রাতে ঘুমের সমস্যায় ভোগেন। সহজে ঘুম আসে না। ফলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এজন্য সুস্থ থাকতে রাতে ভালো ঘুম  হওয়া খুবই জরুরি।

একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ মানুষের দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমের আগে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে রাতে ঘুম ভালো হবে। জেনে নিন ভালো ঘুমের জন্য দৈনন্দিন জীবনযাপনে যে পরিবর্তন আনতে পারেন- 

ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধ পান করুন। এতে থাকা অ্যামিনো এসিড ট্রায়পোফান মস্তিষ্কের বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ  যেমন- সেরোটনিন ও মেলাটনিন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় যা ভালো ঘুমের জন্য কার্যকারী।

খাদ্যতালিকায় ম্যাগনেসিয়াম, জিংক এবং আয়রন
দৈনন্দিন খাবার তালিকায় ম্যাগনেসিয়াম, জিংক এবং আয়রন এর ঘাটতির কারনে ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এই উপাদানগুলোর ঘাটতি রাতে অনেকক্ষণ জেগে থাকার কারন। তাই খাদ্যতালিকায় এই উপাদান সমৃদ্ধ খাবার যেমন: পালং শাক, বাদাম, বিভিন্ন ধরনের শস্যবীজ, মাছ ইত্যাদি রাখুন।

ভেষজ চা
ঘুমানোর আগে ভেষজ চা ভালো ঘুমের প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।

এজন্য চা হিসেবে ক্যামোমাইল, প্যাশন ফুল বা ভ্যালারিয়ান ফুলের নির্যাস সমৃদ্ধ চা ঘুমানোর আগে পান করুন। 

চিনি পরিহার 
মাত্রারিক্তি চিনি বা চিনিসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ আমাদের রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম না আসার অন্যতম কারন। তাই রাতে ভালো ঘুমের জন্য চিনিসমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন।

আগেভাগে সান্ধ্যভোজ
ঘুমানোর কমপক্ষে ৪ ঘন্টা আগে সান্ধ্যকালীন ভোজনপর্ব শেষ করার চেষ্টা করুন। অন্যথায় ঘুমের কিছুক্ষণ আগে খাবার গ্রহন ঘুমে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।

ক্যাফেইন বর্জন
ক্যাফেইন আমাদের শরীরে ঘুম তাড়াতে বা স্নায়ুউদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। আর ক্যাফেইনের প্রভাব আমাদের শরীরে অনেকক্ষণ থাকে। তাই যাদের ঘুমের সমস্যা তাদের ক্যাফেইন বর্জন করতে হবে।
ঘুমানোর আগে

ইলেকট্রিক গ্যাজেট ব্যবহার বর্জন
ইলেকট্রিক গ্যাজেটের স্ক্রিনে থাকা নীল রম্মি মস্তিষ্কে মেলাটোনিন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় যা আমাদেরকে সজাগ রাখে অনেক্ষণ। তাই ঘুমানোর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে মোবাইল ফোন এর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
ঘুমানোর আগে এই ছোট বিষয়গুলোতে পরির্তন আনতে পারলেই রাতে ভালো ঘুম হবে।

সূত্র: বিবিসি