৫০ বছর পূর্তিতে এফবিসিসিআই: বিদেশী বিনিয়োগে সমৃদ্ধশালী হবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ১:৪১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক: ১৫ মার্চ, ২০২৩ ইং

 

International Business Summit-2023 (আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলন-২০২৩) এর শেষ দিনে জিবি মেম্বার হিসাবে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, আগারগাঁওয়ে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারগণ অংশগ্রহণ করেছেন আন্তর্জাতিক বানিজ্য সম্মেলনে। সিএনএনের অংশগ্রহণ এই সম্মেলনকে দিয়েছে বিশেষ গুরুত্ব ও নতুন ব্যঞ্জনা। আশা করছি এই সম্মেলন বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে বিদেশী বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করবে। এই জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এফবিসিসিআই সভাপতি আমাদের প্রিয় নেতা মো: জসিম উদ্দিন ভাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

সমালোচনা খুবই ঘৃণ্য কাজ, ইসলামে এটি ব্যাভিচারের চেয়ে মারাত্মক অপরাধ। সুতরাং আজকের লেখা শুধু সমালোচনার জন্য সমালোচনা নয়। ভুলগুলো তুলে ধরবো যেন শুধরে নেয়া যায়।

আমার মতো অনেক জিবি মেম্বার গতকাল আন্তর্জাতিক বানিজ্য সম্মেলনের শেষ দিনে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। অনেকে ঢুকতে পেরেছেন আবার অনেকে ঢুকতে না পেরে মনোকষ্ট নিয়ে ফিরে এসেছেন। যে দাওয়াত পেয়ে আমরা গেলাম সেটা ছিলো-
Dear Colleagues,
Greetings.
You are cordially invited to attend the FBCCI Business Excellence Award 2023 and Gala Night to be held tomorrow, March 13, 2023 at 6:00 pm at Hall of Fame, Bangabandhu International Conference Centre, Agargoan, Dhaka organized by FBCCI on the occasion of its’ 50 years anniversary.
Regards
Md. Jashim Uddin
President, FBCCI

যিনি দাওয়াত দিয়েছেন, তিনি আমাদের প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন “এফবিসিসিআই” এর সম্মানিত সভাপতি। জিবি মেম্বারদেরকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ ছিলো তাঁর দেয়া এই দাওয়াতি ম্যাসেজে। সম্মেলন কেন্দ্রের রিসিপশনে অনেকেই আইডি কার্ড শো করতে পারেননি, কিন্তু ম্যাসেজ দেখিয়েছেন, অথচ তাদেরকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। কী দোষ ছিলো তাদের? দাওয়াতি ম্যাসেজের কোথাও তো আইডি কার্ড নিয়ে আসার কোন নির্দেশনা দেয়া ছিলো না, তাহলে তাদেরকে ফিরে যেতে হলো কেন? এই প্রশ্নের কোন সদুত্তর আমাদের অনেকেরই জানা নেই।

সবার জন্য গিফট ব্যাগের আয়োজন ছিল অথচ বেশিরভাগ মেম্বার সেগুলো পায়নি বলে বেশ আলোচনা হয়েছে। এফবিসিসিআই সহ দেশের প্রাইভেট সেক্টরে অবদান রাখা অনেকেই ক্রেস্ট পাননি, ক্রেস্ট পাননি স্পনসর করেছে এমন অনেকেও।

পাওয়া না পাওয়ার অভাব অভিযোগের আওয়াজ তুলে, লেখালেখি করে হিরো হবার বা এফবিসিসিআইকে ছোট করার কোন হীন প্রয়াস আমার নেই। কিন্তু যে অনিয়মগুলো ঘটেছে সেগুলো আমলে নেয়ার মতো বলেই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।

ডিনারের অব্যবস্থাপনায় অধিকাংশ অতিথিবৃন্দ ছিলেন ক্রুদ্ধ, ক্ষুব্ধ। ব্যবস্থাপনায় যারা ছিলেন তাদের “অবহেলা” এবং “ডোন্ট কেয়ার” মনোভাব ছিলো চোখে পড়ার মতো। একটা ঘোষণা দিয়ে অপেক্ষায় থাকতে বলার মতোও কেউ ছিলো না। ডিনারের অপেক্ষায় থেকে রাত ১০.৩০টার পরে দলে দলে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ অতিথিকে চলে যেতে হয়েছে। সবার মুখেই ছিলো প্রোগ্রামের অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গ নিয়ে কথোপকথন।

সার্বিক ব্যবস্থাপনায় গোলমাল ছিলো। এফবিসিসিআই চাইলে আরও ভালো প্রোগ্রাম উপহার দিতে পারে, তার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।

যারা দায়িত্বে ছিলো তারা কেন এতোটা অবহেলায় গা ভাসিয়ে দিলেন সভাপতি মহোদয় চাইলে নিশ্চয়ই তাদের কাছে জবাবদিহিতা তলব করতে পারেন।

তবে যা-ই হোক, আগামী দিনগুলোতে দেশ ও জাতিকে এফবিসিসিআই আরও ভালো কিছু দেবে, এই প্রত্যাশাতো আমাদের থাকতেই পারে।

এম এফ ইসলাম মিলন
Email: mfimilon@gmail.com