আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে জাপান ও বিশ্বব্যাংক ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে ঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

প্রকাশিত: ১:৩৭ অপরাহ্ণ, মে ১৬, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে জাপান সরকার ও বিশ্বব্যাংক ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (১৫ মে) জাপানের নাগাসাকি ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ মেডিসিন মেমোরিয়াল হলে জাপানের নাগাসাকি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত, এডভান্সিং দ্য গ্লোবাল হেলথ এজেন্ডা ফ্রম নাগাসাকি টু দ্য ওয়ার্ল্ড শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১০ বছরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। গত তিন বছরে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি করতে, প্রায় ৭০ হাজার নতুন জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে।এরমধ্যে রয়েছে, ২০ হাজার চিকিৎসক, ৩০ হাজার নার্স এবং ২০ হাজার জন অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী।”

বাংলাদেশের হাসপাতাল সেবার মান বৃদ্ধি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, “প্রায় ৫০০টি উপজেলায় ২৫ বেড থেকে বর্তমানে ৫০ বেডের আধুনিক হাসপাতাল করা হয়েছে। প্রতিটি জেলা হাসপাতালকে ২৫০ বেডে উন্নীত করা হয়েছে। ২২টি ৫০০ বেডের আধুনিক মানের চিকিৎসা ইনস্টিটিউট, ১০০০ বেডের ৩৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ৫টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।”

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১৪ হাজার ২৮০টি কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে ৩২ ধরণের ওষুধ দেয়া হয়। ক্লিনিকগুলোতে প্রায় ৫০ হাজার লোকবল স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে চার হাজার ৬৫০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের বিনামূল্যে ওষুধ, পরামর্শ ও প্রসব সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।”

জাহিদ মালেক বলেন, “স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক বিবাহিত নারী গড়ে ৬ দশমিক ৯ জন সন্তান জন্ম দিতেন। বর্তমানে প্রতিটি নারী গড়ে ২ জন সন্তান জন্ম দিচ্ছেন। এতে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে ভারসাম্য রক্ষা পেয়েছে। বাংলাদেশ শিশু মৃত্যু ও মাতৃমৃত্যু হ্রাসে অভাবনীয় সাফল্য লাভ করায় জাতিসংঘের কাছ থেকে ২০১০ সালে এমডিজি পুরস্কার লাভ করেছে।”

টিকা প্রদানে বাংলাদেশের সফলতা তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “১৯৮৪ সালে টিকাদানে বাংলাদেশের সফলতা ছিলো ২ শতাংশের নিচে। বর্তমানে ২০২২ সালে এই হার দাঁড়িয়েছে ৯২ শতাংশে। বর্তমানে দেশের ৯২ শতাংশ ১২-১৩ বছর বয়সী শিশু যক্ষ্মা, হাম, পোলিও, টিটেনাস, হেপাটাইটিস রোগমুক্ত।

করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বে ৫ম স্থান ও দক্ষিণ এশিয়ায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেণ, “স্বল্প সময়ে অধিক জনবল কাজে লাগিয়ে, লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এই টিকার প্রায় ৩৭ কোটি ডোজ মানুষকে বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ করোনায় কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দ্রুত ঘুরে দাঁড়িয়েছে।”

সম্মেলনে বাংলাদেশ, কেনিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া ও জাপানসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঊর্দ্ধতন প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।