ময়মনসিংহের ভালুকায় বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকা-ময়মসিংহ মহাসড়ক অবরোধ।

প্রকাশিত: ৯:৫১ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২৩

 

নিজস্ব প্রতিনিধি।

ময়মনসিংহের ভালুকায় জামিরদিয়া আব্দুল গণি মাস্টার স্কুল এন্ড কলেজের ক্লাশের সময় ও বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্লাশ বর্জন করে সোমবার সকাল ১১টা থেকে এক ঘন্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

এ সময় মহা সড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার লম্বা বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় ভ্যাপসা গরমে দূরপাল্লার যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে দেখাযায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, স্কুল কর্তৃপক্ষ ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি শিক্ষার্থীকে ১হাজার টাকা করে মাসিক বেতন বৃদ্ধি করেন। এবং স্কুলের ক্লাশের সময় ২ঘন্টা বাড়িয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত করা হয়। বেতন ও স্কুলের ক্লাশের সময় ২ঘন্টা বৃদ্ধি না করায় বেশ কয়েক দিন যাবৎ স্কুলের ভেতরেই শিক্ষার্থীরা শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি আমলে না নেয়ায় প্রতিবাদে সোমবার সকালে ক্লাশ বর্জন করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা-সড়কে নেমে আসেন এবং বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিয়ে মহা সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

এতে মহা সড়কের দুই পাশে কয়েক কিলোমিটার লম্বা যানজটের সৃষ্টি হয়।

আন্দোলনরত জনৈক শিক্ষার্থী জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠানে ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মাঝে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পূর্বে ছাত্রদের বেতন ২৫০টাকা ও ছাত্রীদের বেতন ১৫০টাকা ছিল। দ্বাদশ শ্রেণীতে বেতন ছিল ৭০০টাকা। ক্লাশ ভেধে বেতন বিভিন্ন রকম। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ পূর্বের বেতনের সাথে আরও ১০০০টাকা বৃদ্ধি করেন। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে আমাদের অভিভাবকদের যা দেয়া সম্ভব নয়। তাই আজকের এ আন্দোলন।

খবর পেয়ে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদুল আহমেদ, ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাদের (শিক্ষার্থীদের) দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে মহা-সড়ক থেকে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে স্কুল পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকদের নিয়ে সভার করেন। সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় পূর্বের নিয়মেই স্কুল পরিচালনা করা হবে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো: মোখলেছুর রহমান জানান, তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অস্টম শ্রেণী পর্যন্ত এমপিওভূক্ত। কিন্তু একাদশ শ্রেণী পর্যন্ত তাদের প্রতিষ্ঠানে ৯ শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে এবং শিক্ষার্থীদের মাাসিক বেতনের উপরই শিক্ষকদের বেতন দেয়া হয়ে থাকে।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছিলো। তবে শিক্ষার্থীরা রাজি না থাকায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। পূর্বের নিয়মেই বেতন আদায় ও ক্লাশ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদুল আহমেদ জানান, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে হয়ে এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার পর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পূর্বের নিয়মেই মাসিক বেতন ও ক্লাস করানোর নির্র্দেশ দিয়েছি।