মুডসুয়িং হতে পারে পুরুষেরও ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩ সংগৃহীত ছবি নিজস্ব প্রতিনিধি আমাদের সবারই মন খারাপ হয়। তবে ঘন ঘন মন খারাপ হওয়া ভালো না। কোনো কারন ছাড়াই যখন দীর্ঘসময় মন খারাপ থাকে তখন তাকে মুডসুয়িং বলে। সাধারণত ধারণা করা হয় মুডসুয়িং শুধু মেয়েদের হয়। তবে ধারণাটি ভুল। পুরুষেরও মুডসুয়িং হয়। পুরুষের মুডসুয়িং কে বলা হয় ইরিটেবল মেল সিনড্রোম। ইরিটেবল মেল সিন্ড্রোম কী? ছেলেদের বা মেয়েদের উভয়ের শরীরে টেস্টোস্টেরনের পাশাপাশি ইস্ট্রোজেন (ফিমেল সেক্স হরমোন)ও আছে। মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন বেশি এবং টেস্টোস্টেরন কম, ছেলেদের ক্ষেত্রে তা বিপরীত। ছেলেদের শরীরে কিছু টেস্টোস্টেরন ভেঙে ইস্ট্রোজেনে রূপান্তরিত হয়। ছেলেদের শরীরে যত বেশি ইস্ট্রোজেন বাড়তে থাকে টেস্টোস্টেরন তত কমতে থাকে এবং ছেলেরা ততবেশি বিরক্ত হতে থাকে। ইরিটেবল মেল সিন্ড্রোম মেডিকেল দ্বারা স্বীকৃত শব্দ নয়, তবে এটি পুরুষের মানসিক অবস্থা বোঝানোর একটি টার্ম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত পুরুষ যখন বিরক্তি, রাগ, হতাশা এবং বিষণ্ণতায় ভুগে, তখন তাকে ইরিটেবল মেল সিন্ড্রোম বলে। এই সিন্ড্রোমের সম্মুখীন পুরুষেরা প্রায়ই তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যার ফলে ব্যক্তিগত সম্পর্ক, কাজের পরিবেশ এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রায় অসুবিধা হয়। সাধারণ লক্ষণ ১. ইরিটেবল মেল সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সহজেই ছোট-বড় বিষয়ে হতাশ হয়ে পরে, যার ফলে হঠাৎ রাগ বা বিরক্তির উদ্রেক হয়। ২. ঘন ঘন মন মেজাজ পরিবর্তন হয়। ৩. এই অবস্থার পুরুষেরা সামাজিক মিথস্ক্রিয়া থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে শুরু করে। অন্যদের সাথে থাকার চেয়ে একাকীত্ব বেশি পছন্দ করে। ৪. মাথাব্যথা, পেশিতে টান দেখা দিতে পারে। ৫. সামাজিক প্রত্যাশা বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কারণে পুরুষদের তাদের আবেগ প্রকাশ করতে পারে না। পুরুষের মুডসুয়িং বা ইরিটেবল মেল সিন্ড্রোমের কারণ কী? বেশ কয়েকটি কারণে এটি হতে পারে। ১. একজন পুরুষ সাধারণত প্রথাগত কারণে দুর্বলতা প্রকাশ বা মানসিক অসুবিধার জন্য সাহায্য চাইতে পারে না। পুরুষ সিংহ বলেই সমাজে দেখানো হয়। তাই নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করা মানা করা হয়। সমাজে প্রচলিত এই স্টেরিওটাইপগুলির সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য পুরুষ নিজের আবেগ প্রকাশ করতে ভয় পায়। যা কিনা কষ্ট,হতাশা ও বিরক্তি সৃষ্টি করতে পারে। ২. টেস্টোস্টেরনের মাত্রার ওঠানামা সহ হরমোনের পরিবর্তন, মেজাজ এবং মানসিক প্রতিক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। এই হরমোনের পরিবর্তনগুলি পুরুষদের মানসিক সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ৩. কাজ-সম্পর্কিত চাপ, সম্পর্কের সমস্যা, আর্থিক উদ্বেগ, এবং অন্যান্য চাপ ইরিটেবল ম্যান সিন্ড্রোমের লক্ষণগুলিতে অবদান রাখে। যেভাবে পুরুষ তার মুডসুয়িং নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন মুড সুইং কী তা বুঝে নিয়ে সেটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। কেননা আপনার ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন কেন ঘটছে, তা জেনে চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে দ্রুত সুস্থ হতে পারবেন। যেমন, ১. আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। ২. রাত জাগার অভ্যাস পরিহার করুন। ৩. নিয়মিত ব্যায়াম এবং মেডিটেশন করতে হবে । ৪. স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে হবে। ৫. মুড সুইং এড়াতে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরতে যেতে পারেন। ৬. ধূমপান কিংবা মদ্যপানের বদভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করতে হবে। কেননা তা মন-মেজাজের অবনতি ঘটাতে পারে। ৭. আপনাকে সুষম খাদ্যতালিকা মেনে চলতে হবে। ৮. মন মেজাজের উন্নতি ঘটাতে এবং মানসিক চাপ এড়াতে ধর্মীয় প্রার্থনা করতে পারেন। ৯. মুড সুইং কাটাতে প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের আওতায় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। এমনকি দরকার পড়লে কাউন্সিলিং করতেও হতে পারে। ইরিটেবল মেল সিন্ড্রোম (আইএমএস )বা পুরুষের মুডসুয়িং নিয়ন্ত্রণের জন্য আত্ম-সচেতনতা বাড়ানো, জীবনধারা পরিবর্তন, যোগাযোগ বাড়ানো জরুরি। সূত্র : দ্য ওয়েলনেস কর্ণার SHARES লাইফস্টাইল বিষয়: মুডসুয়িং
নিজস্ব প্রতিনিধি আমাদের সবারই মন খারাপ হয়। তবে ঘন ঘন মন খারাপ হওয়া ভালো না। কোনো কারন ছাড়াই যখন দীর্ঘসময় মন খারাপ থাকে তখন তাকে মুডসুয়িং বলে। সাধারণত ধারণা করা হয় মুডসুয়িং শুধু মেয়েদের হয়।
তবে ধারণাটি ভুল। পুরুষেরও মুডসুয়িং হয়। পুরুষের মুডসুয়িং কে বলা হয় ইরিটেবল মেল সিনড্রোম। ইরিটেবল মেল সিন্ড্রোম কী? ছেলেদের বা মেয়েদের উভয়ের শরীরে টেস্টোস্টেরনের পাশাপাশি ইস্ট্রোজেন (ফিমেল সেক্স হরমোন)ও আছে।
মেয়েদের শরীরে ইস্ট্রোজেন বেশি এবং টেস্টোস্টেরন কম, ছেলেদের ক্ষেত্রে তা বিপরীত। ছেলেদের শরীরে কিছু টেস্টোস্টেরন ভেঙে ইস্ট্রোজেনে রূপান্তরিত হয়। ছেলেদের শরীরে যত বেশি ইস্ট্রোজেন বাড়তে থাকে টেস্টোস্টেরন তত কমতে থাকে এবং ছেলেরা ততবেশি বিরক্ত হতে থাকে। ইরিটেবল মেল সিন্ড্রোম মেডিকেল দ্বারা স্বীকৃত শব্দ নয়, তবে এটি পুরুষের মানসিক অবস্থা বোঝানোর একটি টার্ম হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
সাধারণত পুরুষ যখন বিরক্তি, রাগ, হতাশা এবং বিষণ্ণতায় ভুগে, তখন তাকে ইরিটেবল মেল সিন্ড্রোম বলে। এই সিন্ড্রোমের সম্মুখীন পুরুষেরা প্রায়ই তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যার ফলে ব্যক্তিগত সম্পর্ক, কাজের পরিবেশ এবং সামগ্রিক জীবনযাত্রায় অসুবিধা হয়। সাধারণ লক্ষণ ১. ইরিটেবল মেল সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সহজেই ছোট-বড় বিষয়ে হতাশ হয়ে পরে, যার ফলে হঠাৎ রাগ বা বিরক্তির উদ্রেক হয়। ২. ঘন ঘন মন মেজাজ পরিবর্তন হয়।
৪. মাথাব্যথা, পেশিতে টান দেখা দিতে পারে। ৫. সামাজিক প্রত্যাশা বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের কারণে পুরুষদের তাদের আবেগ প্রকাশ করতে পারে না। পুরুষের মুডসুয়িং বা ইরিটেবল মেল সিন্ড্রোমের কারণ কী? বেশ কয়েকটি কারণে এটি হতে পারে। ১. একজন পুরুষ সাধারণত প্রথাগত কারণে দুর্বলতা প্রকাশ বা মানসিক অসুবিধার জন্য সাহায্য চাইতে পারে না। পুরুষ সিংহ বলেই সমাজে দেখানো হয়। তাই নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করা মানা করা হয়। সমাজে প্রচলিত এই স্টেরিওটাইপগুলির সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য পুরুষ নিজের আবেগ প্রকাশ করতে ভয় পায়। যা কিনা কষ্ট,হতাশা ও বিরক্তি সৃষ্টি করতে পারে। ২. টেস্টোস্টেরনের মাত্রার ওঠানামা সহ হরমোনের পরিবর্তন, মেজাজ এবং মানসিক প্রতিক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে। এই হরমোনের পরিবর্তনগুলি পুরুষদের মানসিক সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ৩. কাজ-সম্পর্কিত চাপ, সম্পর্কের সমস্যা, আর্থিক উদ্বেগ, এবং অন্যান্য চাপ ইরিটেবল ম্যান সিন্ড্রোমের লক্ষণগুলিতে অবদান রাখে। যেভাবে পুরুষ তার মুডসুয়িং নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন মুড সুইং কী তা বুঝে নিয়ে সেটা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। কেননা আপনার ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন কেন ঘটছে, তা জেনে চিকিৎসার পাশাপাশি কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চললে দ্রুত সুস্থ হতে পারবেন। যেমন, ১. আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। ২. রাত জাগার অভ্যাস পরিহার করুন। ৩. নিয়মিত ব্যায়াম এবং মেডিটেশন করতে হবে । ৪. স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলতে হবে। ৫. মুড সুইং এড়াতে প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরতে যেতে পারেন। ৬. ধূমপান কিংবা মদ্যপানের বদভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করতে হবে। কেননা তা মন-মেজাজের অবনতি ঘটাতে পারে। ৭. আপনাকে সুষম খাদ্যতালিকা মেনে চলতে হবে। ৮. মন মেজাজের উন্নতি ঘটাতে এবং মানসিক চাপ এড়াতে ধর্মীয় প্রার্থনা করতে পারেন। ৯. মুড সুইং কাটাতে প্রয়োজনে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের আওতায় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। এমনকি দরকার পড়লে কাউন্সিলিং করতেও হতে পারে। ইরিটেবল মেল সিন্ড্রোম (আইএমএস )বা পুরুষের মুডসুয়িং নিয়ন্ত্রণের জন্য আত্ম-সচেতনতা বাড়ানো, জীবনধারা পরিবর্তন, যোগাযোগ বাড়ানো জরুরি। সূত্র : দ্য ওয়েলনেস কর্ণার