লেপ তোশকের যত্ন

প্রকাশিত: ১০:১৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
নতুন লেপ-তোশক ব্যবহারেও কিছু নিয়ম মেনে চলুন

নিজস্ব প্রতিনিধি

শীতে লেপ-তোশক ব্যবহারের আগে কিছু যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। নতুন লেপ-তোশক ব্যবহারেও কিছু নিয়ম মেনে চলুন। পরামর্শ দিয়েছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের বস্ত্র পরিচ্ছদ ও বয়নশিল্প বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামীমা রহমান

শীত পড়তে শুরু করেছে।

আলমারি থেকে নিশ্চয় লেপ, তোশক ও কম্বল বের করার চিন্তা করছেন। দীর্ঘদিন তুলে রাখার কারণে এগুলোয় নানা ধুলাময়লা পড়ে। ভাপসা গন্ধ বের হয়। ব্যবহারের আগে তাই পরিষ্কার করতে হবে তুলে রাখা লেপ, তোশক ও কম্বল।
সব লেপ, তোশক ও কম্বলের কাপড়ের ধরন এক রকম নয়। এ জন্য কাপড়ের ধরন, রঙের ভিন্নতা ও ময়লার ধরন বুঝে যত্ন করতে হবে।কোনোটাতে দরকার লন্ড্রিওয়াশ,আবার কোনোটা ড্রাইওয়াশ করলেই চলে। 

প্রতিদিন ব্যবহারের ফলে বালিশ যেমন শক্ত হয়;তেমনি লেপ, তোশক, কম্বল ও জাজিমের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে।

তাই নিয়মিত লেপ, তোশক, বালিশ, কম্বল ও জাজিম রোদে দিতে হবে। দৈনিক সম্ভব না হলে সপ্তাহে অন্তত দু-তিন দিন পর পর রোদে দিতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে রোদে দিলেও তোশক বা জাজিমের তুলা ফুলে ওঠে না।তখন পাল্টে ফেলতে হবে অথবা নতুন করে বানাতে হবে। শীতের শুরুতে কাঁথার ব্যবহার একটু বেশি থাকে, শীতে কাঁথা ব্যবহারের আগে সেগুলো ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে নিন।

এমনিতে কাঁথা পরিষ্কার খুব পরিশ্রমের কাজ। ডিটারজেন্ট দিয়ে ভিজিয়ে পরে কেচে ফেললেই মোটামুটি কাঁথা পরিষ্কার হয়ে যায়। 

লেপ পরিষ্কারের ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। শিমুল তুলার লেপ বা বালিশ কখনোই ধোয়া বা ড্রাইওয়াশ করা যাবে না। লেপটা শুধু রোদে দিন। লেপের সুবিধার মধ্যে একটি হচ্ছে এর জন্য আলাদা কভার থাকে, যা লেপের তুলনায় অনেক হালকা। তাই লেপ রোদে দিলেও কভার ভালো করে ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। যখন লেপটি তুলে রাখার সময় আসবে তখনো একই ভাবে ধুয়ে লেপ ও এর কভার পরিষ্কার করে রেখে দিন। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে ন্যাপথলিন যোগ করতে ভুলবেন না।

শীতকালে কম্বল অনেকের কাছেই বেশ প্রিয়। শীতে ব্যবহারের আগে কম্বল লন্ড্রি থেকে ড্রাইওয়াশ করিয়ে আনা ভালো। চাইলে ঘরে বসেও এটি ধুয়ে নেওয়া সম্ভব। কম্বল ব্যবহারের জন্য ডিটারজেন্টের বদলে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে শ্যাম্পু গোলানো পানিতে ১০ থেকে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর আযত্নলতোভাবে হাত দিয়ে কচলে ধুয়ে ফেলুন। ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে ছায়াযুক্ত স্থানে বাতাসে শুকাতে দিন। ব্যবহারের সময় মাঝেমধ্যে কম্বলটি রোদে দিন। কম্বলে যাঁদের অ্যালার্জি তাঁরা কভার ব্যবহার করতে পারেন। আর উঠিয়ে রাখার সময়ও কভার দিয়েই উঠিয়ে রাখবেন।

আজকাল কমফোর্টার বেশ জনপ্রিয়। শুধু শীতকালে নয়, যাঁরা ঘরে এয়ারকন্ডিশনার ব্যবহার করেন, তাঁদের অনেকেই সারা বছর কমফোর্টার ব্যবহার করেন। এটি লেপ ও কম্বলের তুলনায় ওজনে হালকা। যত্ন, সংরক্ষণও সহজ। তবে দীর্ঘদিন পর ব্যবহারের জন্য কমফোর্টার ড্রাইওয়াশ করিয়ে নিন। কমফোর্টারের ওপরে কভার লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে বারবার ওয়াশ করতে হবে না। কেবল কভার ডিটারজেন্টমিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই চলবে।