গাজা অভিযান ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার ইঙ্গিত

প্রকাশিত: ১:৩১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিনিধি

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন তেল-আবিবে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিনভর এই বৈঠক হয়। দীর্ঘ এই বৈঠকে গাজা অভিযানের তীব্রতা ক্রমশ কমিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেই দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন।

বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানানো হচ্ছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও ফের এ বিষয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা, তার ঠিক আগে এই ইঙ্গিত মিলল। 

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ফের ভোটাভুটি হওয়ার কথা। মঙ্গলবার পর্যন্ত তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

এই পরিস্থিতিতে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার যুদ্ধবিরতির দাবি তুলেছেন। সোমবারের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে জানিয়েছে, ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর ইসরায়েল যে পাল্টা লড়াই শুরু করেছে, যুক্তরাষ্ট্র তা সমর্থন করে। কারণ ইসরায়েলের আত্মরক্ষার সম্পূর্ণ অধিকার আছে। কিন্তু একইসঙ্গে বেসামরিক মানুষকে রক্ষা করার দায়িত্বও আছে ইসরায়েলের।
সেদিকে এবার নজর দিতে হবে। 

সোমবার বিকেল পাঁচটায় নিরাপত্তা পরিষদে গাজা অভিযান নিয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। আরব দেশগুলো এ নিয়ে নতুন খসড়াও তৈরি করছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এদিন ভোটে অংশ নিতে চায়নি। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছে।

কিন্তু সূত্রের খবর, এবার যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিতে চাইছে না। একটা সর্বসম্মত প্রস্তাব সামনে আসতে পারে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে চূড়ান্ত ভোটাভুটি হতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবের খসড়া নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। সে বিষয়ে ঐক্যমত্য না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটি মানবে না বলেই জানা গেছে। তার আগে সোমবার ইসরায়েলের সঙ্গে বৈঠকে কী হয়, সেদিকেও নজর ছিল সকলের। 

এদিকে লোহিত সাগরে নিরাপত্তা বাড়াতে একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। লোহিত সাগর দিয়ে যে জাহাজগুলো যাবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এই গোষ্ঠী। গত কিছুদিনে একাধিকবার ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা এই পথে মার্কিন জাহাজের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই অভিযানে যোগ দেবে বাহরিন, যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা, ফ্রান্স, ইটালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন এবং সেশেলস।

২০২২ সালের এপ্রিলে এই রাস্তায় একটি নিরাপত্তা বাহিনী আগেই তৈরি করা হয়েছিল। এবার সেই বাহিনীকে আরো শক্তিশালী করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র তিনটি ডেস্ট্রয়্যার যুদ্ধ জাহাজ ওই এলাকায় পাঠিয়ে দিয়েছে। যারা নিয়মিত সেখানে টহল দিচ্ছে। কিন্তু তাতেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হয়নি। বহু বাণিজ্যিক জাহাজ ওই পথে চলাচল বন্ধ রেখেছে। গত ৩ ডিসেম্বর ইরানের মদতপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীদের মিসাইল তিনটি জাহাজে গিয়ে পড়ে। তিনটি জাহাজই বাণিজ্যিক। এর পরেই ওই পথে জাহাজ চালানো বন্ধ করে দেয় অসংখ্য জাহাজ সংস্থা।