যে ফুল দেখতেও সুন্দর খেতেও ভালো

প্রকাশিত: ১২:২২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
ছবি : সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিনিধি

বিভিন্ন শাক-সবজির পাশাপাশি আমরা কিন্তু ফুলও খেতে পারি। শাকসবজি, ফল-মূল আমাদের খাদ্যতালিকায় স্থান পেলেও ফুলেরও খাদ্যগুণ আছে। তবে সব ফুল আবার খাওয়া যায় না। চলুন জেনে নিই এ রকমই কিছু ফুলের পুষ্টিগুণের কথা।

 

শজনে ফুল

শজনের ফুলকে ঔষধি গুণসম্পন্ন বলা হয়ে থাকে। ফুলটি শরীরের ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এতে আছে ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ও ক্যালসিয়ামের মতো উপাদান।

বক ফুল

সেই প্রাচীনকাল থেকেই বক ফুল খেয়ে আসছে মানুষ।

এই ফুলের অনেক গুণ। এতে আছে ফাইবার, ক্যালরি, আয়রন, ফসফরাস, ভিটামিন ও খনিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এ ছাড়া আছে, স্যাপোনিন ও সেসবানিমাইড, এই উপাদানগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। আবার গ্যাসট্রিক ও আলসার প্রতিরোধেও এই ফুলের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।
সরিষা ফুল

সরিষা ফুলের মধু বা তেল তো আমরা অনেকেই চিনি, তবে সরিষা ফুলও কিন্তু চাইলে খাওয়া যায়। সরিষা ফুলের গ্লুকোসিনোলেটস ও মাইরোসিনোজ একসঙ্গে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলে। আবার হজমেও সহায়তা করে।

গোলাপ ফুল

ভালোবাসার প্রতীক এই গোলাপের কিন্তু পুষ্টিগুণও অনেক। যেমন গরমের সময় গোলাপ শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

গোলাপ ফুল পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, চোখ ফোলা, ক্লান্তি ইত্যাদি সমস্যা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে। 

শিউলি ফুল

শরতের চিরচেনা ফুল শিউলি ফুল। শিউলি ফুলে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটারি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা আমাদের শরীরে বিশেষ অবদান রাখে। জ্বর কমাতেও এই ফুল বেশ কার্যকর।

শিমুল ফুল

আমাদের দেশে পাহাড়ি অঞ্চলে শুকিয়ে সবজি হিসেবে খাওয়া হয় এই ফুল। কলেরা, টিউবারকুলার ফিস্টুলা, কাশি, মূত্রনালির সমস্যাজনিত রোগ, আমাশয়ের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এই ফুল।

হলুদ ফুল

হলুদের মতোই হলুদ ফুলের নির্যাস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।  ক্লান্তি, শরীরের ব্যথা দূর করতে এই ফল বেশ কার্যকর।

সূত্র : অর্গানিক ফ্যাক্ট