এই ঋতুতে তককে প্রাণবন্ত রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি

প্রকাশিত: ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
কিছু বিষয় মাথায় রাখলে এই সময়টাতেও থাকতে পারেন সতেজ ও সুন্দর। মডেল: নওবা তাহিয়া

নিজস্ব প্রতিনিধি

শীতের পর এখন প্রকৃতিতে বসন্তের ছোঁয়া। ত্বকে এরই মধ্যে একটা শুষ্ক শুষ্ক ভাব থাকে সারাক্ষণ। এই অবস্থায় কিভাবে ত্বককে প্রাণবন্ত রাখবেন পরামর্শ দিয়েছেন রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি। এক সিজন থেকে আরেক সিজনের প্রাথমিক সময়ে ত্বক পরিচর্যার বিষয়টি একটু ঝামেলার বৈকি।
তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখলে আর সেভাবে একটু কেয়ার করলে এই সময়টাতেও আপনি থাকতে পারেন সতেজ ও সুন্দর। এখন তেমন শীত না থাকলেও বিকেলের দিকে বা রাতে বেশ ঠাণ্ডা ভাবটা  আছে। ত্বকে টান টান একটা ভাব থাকছেই। এ সময় কিছু নিয়ম মেনে ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি।
এতে আপনার ত্বক যেমন ভালো থাকবে, আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবও পড়বে না ত্বকে।নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার
শীত চলে গেলেও সন্ধ্যা নামতেই হালকা একটা বাতাস অনুভব করা যায়। আর বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রায়ও হেরফের হচ্ছে। আর এ অবস্থায় ত্বক বেশ রুক্ষ হয়ে ওঠে।
তাই এই সময়ে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। এটি আপনার ত্বককে ভালো রাখবে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে। আর রুক্ষ ত্বকের সমস্যাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।দিনের বেলা সানস্ক্রিন
রোদের তাপ এই সময় একটু কম থাকে।
তাই বলে সানস্ক্রিন ব্যবহার বাদ দেবেন, এই ভুল করবেন না। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির প্রভাব কিন্তু কম আলোতেও থাকে। তাই সানস্ক্রিন মাখতে ভুলবেন না।দিনের বেলায় বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন মাখুন।ক্লিনজিংটা জরুরি
সারা দিনে অন্তত দুবার মুখ ক্লিনজিং করুন। সে ক্ষেত্রে ফোমিং ফেসওয়াশ এড়িয়ে চলাই ভালো। সাধারণ কোনো ক্লিনজার, যা আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই এমন ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের মাত্রাও ঠিক থাকে। আর ত্বকেও একটা সতেজ ভাব থাকে। আর এর পাশাপাশি সপ্তাহে এক দিন স্ক্রাবিংটা জরুরি। এতে মুখের মরা চামড়া ওঠে যায়। আর ত্বক পরিষ্কার ও সতেজ হয়।কুসুম গরম পানি
অনেকেই সারা বছর গরম পানিতে গোসল করতে পচ্ছন্দ করে। এতে ত্বক আরো শুষ্ক হয়ে যায়। তবে আবহাওয়া বদলের এই সময়টাতে হালকা গরম পানিতে গোসল করা ত্বকের জন্য ভালো।

পুষ্টিকর খাবার
ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি আপনি লাইফস্টাইলের দিকেও নজর ফেরান। প্রতিদিন ভিটামিন ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান অবশ্যই। খাবারের তালিকায় সবুজ শাক-সবজি ও ফলমূল অবশ্যই রাখবেন। পালংশাক, বাঁধাকপি, সরিষা শাক, মুলা শাক, মেথি শাকসহ আরো অনেক ধরনের শাক-সবজি পাওয়া যায় এ সময়। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে ভুলবেন না। শরীরে পানির ঘাটতি হলে ত্বকেও এর প্রভাব পড়ে। আর শীতকালে ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কাও থাকে বেশি। তাই এই সময় দিনে অন্তত তিন লিটার পানি পান করা উচিত। সেই সঙ্গে খেতে পারেন আরো কিছু পানীয়। যেমন—লেবুর শরবত, ডাবের পানি, ফলের রস ইত্যাদি খেলে ত্বক ভালো রাখতে কাজ করবে।