ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ স্যালমন মাছের স্বাস্থ্য উপকারিতা ক্রাইম পেট্রোল ক্রাইম পেট্রোল News প্রকাশিত: ১১:৪৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪ ছবি: সংগৃহীত নিজস্ব প্রতিনিধি স্যালমন মাছ আমরা সবাই কম বেশি চিনি। সামুদ্রিক মাছগুলোর মধ্যে বেশ জনপ্রিয় প্রোটিন, ফ্যাট এবং নানারকম ভিটামিন ও মিনারেলে পরিপূর্ন এই মাছ। শুধু স্বাদের দিক থেকে নয়, এতে আছে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ যা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর। চলুন জেনে নিই স্যালমনের কিছু পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধস্যালমনে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। পুষ্টিবিদরা দৈনিক ২৫০-১০০০ মিলিগ্রাম করে এই উপাদান খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে দুইবার স্যালমন খেলে এই চাহিদা পূরণ হবে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়, আবার ধমনীর কার্যকারিতাও বৃদ্ধি করে। প্রোটিনের অন্যতম উৎসস্যালমন হলো উচ্চ মানের প্রোটিনের একটি অন্যতম উৎস। এই মাছ শরীরের নিরাময়, হাড়ের স্বাস্থ্য এবং পেশী ভরের জন্য প্রয়োজনীয়। দৈনিক খাবারে ২০-৩০ গ্রাম প্রোটিন সরবরাহ করা উচিত, সেক্ষেত্রে স্যালমনের প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে ২২-২৫ গ্রাম প্রোটিন, যা দৈনিক চাহিদা মেটায়। ভিটামিন সমৃদ্ধ স্যালমনে থাকা প্রচুর ভিটামিন শরীরের শক্তি উৎপাদন করে ও হার্ট ভালো রাখে। আবার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এটি বেশ উপকারী।পটাশিয়ামের অন্যতম উৎস প্রতি ১০০গ্রাম স্যালমনে আছে ১৩ শতাংশ পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ভরপুর সেলেনিয়াম প্রতি ১০০ গ্রাম স্যালমনে আছে ৭৫-৮৫ শতাংশ সেলেনিয়াম নামক মিনারেল, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও থাইরয়েডের সমস্যা কমায়। আবার ক্যানসারের ঝুঁকিও হ্রাস করে। হার্টের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ স্যালমন শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটের মাত্রা বাড়ায় ও ওমেগা-৬ ফ্যাটের মাত্রা কমায়, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নিয়মিত স্যালমন খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় বলে এক গবেষণা জানা গেছে। আবার গর্ভবতী নারীদের জন্যও ভ্রুণের মস্তিষ্ক গঠনে বেশ উপকারী এই মাছ। মানসিক স্বাস্থ্য কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্যালমনে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হতাশা এবং উদ্বেগের লক্ষণগুলো হ্রাস করতে পারে এবং মন সতেজ রাখতে পারে। SHARES লাইফস্টাইল বিষয়: স্বাস্থ্য উপকারিতাস্যালমন মাছ
স্যালমন মাছ আমরা সবাই কম বেশি চিনি। সামুদ্রিক মাছগুলোর মধ্যে বেশ জনপ্রিয় প্রোটিন, ফ্যাট এবং নানারকম ভিটামিন ও মিনারেলে পরিপূর্ন এই মাছ। শুধু স্বাদের দিক থেকে নয়, এতে আছে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ যা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর। চলুন জেনে নিই স্যালমনের কিছু পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধস্যালমনে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। পুষ্টিবিদরা দৈনিক ২৫০-১০০০ মিলিগ্রাম করে এই উপাদান খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সপ্তাহে দুইবার স্যালমন খেলে এই চাহিদা পূরণ হবে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়, আবার ধমনীর কার্যকারিতাও বৃদ্ধি করে।
প্রোটিনের অন্যতম উৎসস্যালমন হলো উচ্চ মানের প্রোটিনের একটি অন্যতম উৎস। এই মাছ শরীরের নিরাময়, হাড়ের স্বাস্থ্য এবং পেশী ভরের জন্য প্রয়োজনীয়। দৈনিক খাবারে ২০-৩০ গ্রাম প্রোটিন সরবরাহ করা উচিত, সেক্ষেত্রে স্যালমনের প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে ২২-২৫ গ্রাম প্রোটিন, যা দৈনিক চাহিদা মেটায়। ভিটামিন সমৃদ্ধ স্যালমনে থাকা প্রচুর ভিটামিন শরীরের শক্তি উৎপাদন করে ও হার্ট ভালো রাখে।
আবার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এটি বেশ উপকারী।পটাশিয়ামের অন্যতম উৎস প্রতি ১০০গ্রাম স্যালমনে আছে ১৩ শতাংশ পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ভরপুর সেলেনিয়াম প্রতি ১০০ গ্রাম স্যালমনে আছে ৭৫-৮৫ শতাংশ সেলেনিয়াম নামক মিনারেল, যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ও থাইরয়েডের সমস্যা কমায়। আবার ক্যানসারের ঝুঁকিও হ্রাস করে। হার্টের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ স্যালমন শরীরে ওমেগা-৩ ফ্যাটের মাত্রা বাড়ায় ও ওমেগা-৬ ফ্যাটের মাত্রা কমায়, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
মস্তিষ্কের সুস্বাস্থ্য নিয়মিত স্যালমন খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় বলে এক গবেষণা জানা গেছে। আবার গর্ভবতী নারীদের জন্যও ভ্রুণের মস্তিষ্ক গঠনে বেশ উপকারী এই মাছ। মানসিক স্বাস্থ্য কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্যালমনে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হতাশা এবং উদ্বেগের লক্ষণগুলো হ্রাস করতে পারে এবং মন সতেজ রাখতে পারে।